এশিয়ার অন্যতম পরাশক্তি চীন ও জাপান ‘ইতিহাসের সন্ধিক্ষণে’ আরো ঘনিষ্ঠ মৈত্রী গড়ে তোলার লক্ষ্যে শুক্রবার বিশাল পরিসরে কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এগুলোর মধ্যে তিন হাজার কোটি ডলার সমমূল্যের মুদ্রা বিনিময় চুক্তিও রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ক্ষেত্রে উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যে এসব চুক্তি স্বাক্ষর করল চীন ও জাপান। বেইজিংয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের তিন দিনের সফরের দ্বিতীয় দিন এসব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
১৯৭২ সালে দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের পর বেশ কয়েকবার তাদের মধ্যকার সম্পর্ক নাজুক হয়ে পড়ে। বর্তমানে তারা পরস্পরের সঙ্গে সহযোগিতা ও আস্থা বৃদ্ধির নতুন নতুন ক্ষেত্র সৃষ্টির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। টয়োটাসহ জাপানের বিভিন্ন বৃহৎ প্রতিষ্ঠান চীনের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপনের আশা করছে। এর ফলে তারা যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপের প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিতে পারবে।
অন্যদিকে বেইজিং চাইছে, তাদের বেল্ট অ্যান্ড রোড নামের বৃহৎ পরিকল্পনাকে সমর্থন দিবে টোকিও। এই সড়ক নেটওয়ার্ক বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চীনের যোগাযোগ ও বাণিজ্য ব্যাপক বৃদ্ধিতে হারে রাখবে বলে আশা করছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
শুক্রবার আবে বলেন, চীনের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক একটি ‘ঐতিহাসিক বাঁক বদলে’ এসে পৌঁছেছে। অবকাঠামো, প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য ও অর্থায়নের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
‘প্রতিযোগিতা থেকে সহাবস্থান, জাপান ও চীনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন এক পর্যায়ে উপনীত হয়েছে,’ বলেন আবে।
চীন ও জাপান বাৎসরিক সম্মেলন, সংলাপ ও মতবিনিময়ের পরিকল্পনের বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করে। একই সঙ্গে তারা উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে একে অপরকে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য একমত হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় মুক্ত বাণিজ্য চালুর জন্য রিজিওনাল কম্প্রিহেন্সিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ (আরসিইপি) এবং চীন-জাপান-কোরিয়া ট্রেড জোন প্রতিষ্ঠার আলোচনাও তরান্বিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই দেশ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন