নিজেদের পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থা সচল রাখার কৌশল হিসেবে এবং একক দেশের ওপর নির্ভরতা কমাতে বেশকিছু উৎপাদনশীল কারখানা চীন থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাপান। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এরই মধ্যে কারখানা স্থানান্তরে সহায়তা করতে ২ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় ১৮ হাজার ৭শ' কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন।
সম্প্রতি জাপান নিজের দেশের কোম্পানিগুলোকে চীন ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। প্রতিবেশী দেশ ছেড়ে নিজের বা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় উৎপাদনের জন্য কোম্পানিগুলোকে ঋণ দেবে জাপান সরকার।
শুক্রবার চীন থেকে ছেড়ে আসবে এমন ৮৭ কোম্পানিকে মোট ৭০ বিলিয়ন ইয়েন ঋণ দেবে বলে জানায় জাপানের অর্থনৈতিক, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়। যা মার্কিন মুদ্রায় দাঁড়ায় ৬৫৩ মিলিয়ন ডলার।
এর মধ্যে ৩০ শতাংশ কোম্পানি, বিশেষ করে হার্ড ড্রাইভের যন্ত্রাংশ উৎপাদনকারী হোয়াসহ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভিয়েথনাম বা লাওসে স্থানান্তর হবে।
সুমিটোমো রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ মালয়েশিয়ায় নাইট্রিল রাবার গ্লোভ তৈরি করবে, আর অন্যদিকে শিন-এতুসু কেমিকেল কোম্পানি পৃথিবীর বিরল- চৌম্বকগুলোর উৎপাদন ভিয়েতনামে স্থানান্তর করবে।
এছাড়া ৫৭ প্রকল্প জাপান মুখি হবে। চীনের লিয়াওনিং প্রদেশের ডালিয়ান বন্দর নগরী, সুঝু ও সাংহাইয়ের পশ্চিমে মাস্ক উৎপাদন করছে গৃহস্থালি জিনিসপত্র প্রস্তুতকারী আইরশ ওইয়ামা। এসব নন ওভেন কাপড় ও অন্যান্য প্রধান কাঁচমাল চায়নিজ কোম্পানি থেকে আসছে।
ভর্তুকির মাধ্যমে এ কোম্পানি জাপানের উত্তরাংশের মিয়াগি প্রিফেকচারের কাকুডা কারখানায় মাস্ক উৎপাদন করবে। স্থানীয়ভাবে সব কাঁচামাল সেখানে সরবরাহ করা হবে। পরে স্বাধীনভাবে বিদেশে এসব পণ্য রফতানি করা হবে। স্বাস্থ্যসম্মত পণ্য উৎপাদনকারী সারায়া কোম্পানি ভতুর্কির জন্য উপযুক্ত হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
শার্প, শায়নোগি, টেরোমো ও কানেকা যারা বিমানের যন্ত্র, গাড়ির যন্ত্র, সার, মেডিসিন ও কাগজ উৎপাদন করে তাদেরও ভর্তুকির আওতায় আনা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন