সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ সাত দফা দাবিতে সিলেট ও চট্টগ্রামের পর ঢাকায় জনসভার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। আগামী ২ নভেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বা বিএনপি কার্যালয়ে সামনে এই জনসভার জন্য পুলিশের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকালর রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে। ঢাকার পর রাজশাহীতে আগামী ৬ নভেম্বর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জনসভা হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, মতিঝিলে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের চেম্বারে ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধিদল আর ইসিতে যাচ্ছে না। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেখানে আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন সেজন্য আমরা মনে করছি যে, এই মুহূর্তে নির্বাচন কমিশনে বোধ হয় যাওয়ার প্রয়োজন নেই। কালকে আমাদের ইসিতে যাওয়ার কথা ছিলো তিনটার সময়ে সেখানে আমরা যাচ্ছি না। মওদুদ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, জেএসডির আ স ম আবদুর রব, আবুল মালেক রতন, গণফোরামের মোস্তফা মহসিন মন্টু, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, মোকাব্বির খান, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, ডা. জাহেদ উর রহমান, গণস্বাস্থ্য সংস্থার ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সুলতান মো. মনসুর ও আ ব ম মোস্তফা আমিন প্রমুখ।
অন্যদিকে, দলীয় কার্য়ালয়ে রুহুল কবির রিজভী বিভিন্ন জেলায় ‘গায়েবি মামলায়’ নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে এই পর্যন্ত সারা দেশে গায়েবি মামলার সংখ্যা ৪ হাজার ২৪৫টি। এতে মোট আসামি করা হয়েছে ৩ লাখ ৯২ হাজার ১২ জনকে। গ্রেফতারের সংখ্যা ৫ হাজার ৫৩৭ জন। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন