শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচনকালীন সরকার শুরু হয়েছে : মন্ত্রিপরিষদ সচিব

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ নভেম্বর, ২০১৮, ৩:৩০ পিএম

ঘোষণা না এলেও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচনকালীন সরকার শুরু হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

আর নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রিসভায় আইন অনুমোদনে কোনো বাধা নেই বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (১২ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে একটি আইন অনুমোদন ও দু’টি চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।

বৈঠক ‘বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০১৮’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। তফসিল ঘোষণার পর মন্ত্রিসভায় আইন অনুমোদনে কোনো বাধা আছে কিনা এবং নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সাংবাদিকেরা।

‘মন্ত্রিসভা ছোট করা বা নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কোন আলোচনা আছে কিনা’- প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, না এরকম কোনো সংবাদ নেই। থাকলে তো আপনাদের বলবোই।

২৩ ডিসেম্বর নির্বাচনের তারিখ ঠিক করে গত ৮ নভেম্বর জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে কমিশন। তবে ঐক্যফ্রন্টের দাবির পর সোমবার নির্বাচন এক সপ্তাহ পিছিয়ে ৩০ ডিসেম্বর নির্ধারণ করেছে কমিশন।

নির্বাচনকালীন সরকার কোনো আইন বা নীতি নির্ধারণী সিদ্ধান্ত নিতে পারে এবং নির্বাচনকালীন সরকার কবে থেকে- প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, যেহেতু ডিক্লারেশন অব সিডিউল হয়ে গেছে, ওই সময় থেকেই নির্বাচনকালীন সরকার শুরু হয়ে গেছে।

আইন উঠতে পারে কিনা-প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পারে। মন্ত্রিসভায় আইন উঠতে কোনো বাধা নেই।

‘সিডিউল ঘোষণার শুরু থেকেই এ সরকার নির্বাচনকালীন সরকার। কনস্টিটিউশনে ওভাবে লেখা নেই আসেল…।’

একটি আইন অনুমোদন নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এগুলো কেবিনেট রিলেটেড কার্যক্রমের মধ্যেই পড়ে। রুটিনই বলা যায় এটা। এটা কোনো উন্নয়ন প্রকল্পকে স্পর্শ করে না।

‘রেগুলোর সরকারের অন্যতম কাজ আইন পাস করা- সরকার তো রেগুলারই আছে। সমস্যা কী?’

মন্ত্রিপরিষদ সচিবের উত্তর (নির্বাচনকালীন সরকার) ধরে প্রশ্ন করলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এগুলোতো আমাদের দেওয়া নাম, এগুলো কনস্টিটিউশনাল নাম না।

পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া চার মন্ত্রীও এদিন মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়েছিলেন বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গত ৬ নভেম্বর টেকনোক্র্যাট কোটায় নিয়োগ পাওয়া চার মন্ত্রী পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলেন।

যে চারজন পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তাদের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ওটা হলো আমাদের যে কনস্টিটিউশন-প্রভিশন তাতে প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত। অর্থাৎ একজন মন্ত্রী যদি তার দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন, সাবমিশন হচ্ছে ওই গেজেট নোটিফিকেশন হওয়া পর্যন্ত। অর্থাৎ উনার পদত্যাগটা চূড়ান্ত হবে যখন গেজেট নোটিফিকেশন হবে। সেটা যেহেতু হয়নি, ততদিন পর্যন্ত উনারা মন্ত্রী হিসেবে বহাল আছেন বলে গণ্য হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (3)
Billal Hosen ১২ নভেম্বর, ২০১৮, ৪:৫৩ পিএম says : 1
আমার মতে ১৩ জানুয়ারী ২০১৯ ভোট হলে ভালো হয়।
Total Reply(0)
Md Mamun ১২ নভেম্বর, ২০১৮, ৭:৩৩ পিএম says : 0
একটু পর কাদের.. বলবে এতে আমাদের কিছুই করার নেই, এটা মন্ত্রি পরিষদ সচিবের বিষয়।
Total Reply(0)
Noor Ul Islam ১২ নভেম্বর, ২০১৮, ৭:৩৪ পিএম says : 0
কোথায় গেলো ৭ দফা,কোথায় গেলো কি! গণভবনে ভাতের সাথে খেয়ে আসলো ঘি! হয়ে গেলো দফা রফা,চোখ রাঙ্গানীর ফলে। আন্দোলনের গর্জন ডুবলো শীতের ঠান্ডা জলে!
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন