শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

টেকসই উন্নয়নের জন্য গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে টিআইবি

প্রকাশের সময় : ৩ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : গণতান্ত্রিক জবাবদিহিতা ও টেকসই উন্নয়নের জন্য গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। জাতিসংঘের ইউনেস্কো ঘোষিত ৩ মে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষ্যে গতকাল সোমবার সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান। বিবৃতিতে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক জবাবদিহিতা ও টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে সংবিধান-স্বীকৃত গণমাধ্যমের স্বাধীনতার অধিকার সমুন্নত রাখতে সকল প্রকার গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ও সাংবাদিকদের স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালনে সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, শত প্রতিকূলতা ও ঝুঁকি স্বত্ত্বেও গণমাধ্যম দেশে গণতান্ত্রিক বিকাশ ও প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের পাশাপাশি টেকসই উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় সরকারের সহায়ক শক্তি হিসেবে অমূল্য অবদান রাখছে। এই ভূমিকা অব্যাহত রাখতে সাংবিধানিক অঙ্গীকার অনুযায়ী গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতা ও গণমাধ্যম কর্মীদের নিরাপত্তাসহ স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালনের উপযোগী পরিবেশের উত্তরোত্তর বিকাশ নিশ্চিত করা সরকার ও সকল অংশীজনের অপরিহার্য দায়িত্ব। তিনি বলেন, একদিকে গণতান্ত্রিক জবাবদিহিতা ও সুশাসন ও অন্যদিকে জনকল্যাণমুখী, অংশগ্রহণমূলক ও টেকসই উন্নয়ন প্রক্রিয়া সুদৃঢ়তর করণের লক্ষ্যে তথ্য ও মত প্রকাশের অন্যতম প্রতিষ্ঠান গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সকল প্রকার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ হস্তক্ষেপ ও সংবাদকর্মীদের ওপর হয়রানি প্রতিবন্ধকতা প্রতিহত করা সরকারের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব। এমন কোনো আইনি, প্রশাসনিক, নীতি বা প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার প্রবর্তন থেকে বিরত থাকা উচিত যার ফলে গণমাধ্যমের স্বাধীন কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে। তিনি আরো বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০১৩ এর ৫৭ ধারাসহ সরকারের বিবেচনাধীন জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা, খসড়া সম্প্রচার আইন ও প্রেস কাউন্সিল আইনের সাম্প্রতিক সংশোধনী প্রস্তাবসমূহ চূড়ান্তকরণের ক্ষেত্রে এমন সব ধারা বাতিল করতে হবে যার ফলে মাত্রাতিরিক্ত ও নিবর্তনমূলক নজরদারির সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে এবং তথ্যের অবাধগম্যতা ও মত ও তথ্য প্রকাশের মৌলিক অধিকার খর্ব হতে পারে। ড. জামান বলেন, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করে যেমন গণতন্ত্র, জবাবদিহিতা ও সুশাসন অর্জন সম্ভব নয়, তেমনি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তথ্য ও মত প্রকাশ ব্যতিরেকে উন্নয়ন ও সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তন টেকসই ও অর্থবহ হতে পারে না। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং মত ও তথ্য প্রকাশের স্বাধীনতা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অন্যতম মূলস্তম্ভ বিধায় এর সুরক্ষা ও বিকাশ করা সরকারসহ সকল অংশীজনের পবিত্র দায়িত্ব। একইসাথে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি নৈতিকতা নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্বের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধাশীল হয়ে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানায় টিআইবি। গণতন্ত্র, সুশাসন ও শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠায় অন্যতম প্রতিষ্ঠান হিসেবে গণমাধ্যমের উত্তরোত্তর উৎকর্ষ বৃদ্ধিই গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় সর্বোত্তম সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে বলে মনে করে টিআইবি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন