শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

কলম্বিয়ার সমুদ্রের নীচে চলছে চাষ!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ নভেম্বর, ২০১৮, ৪:১৭ পিএম

কলম্বিয়ায় সমুদ্রের তলায় জমিতে প্রবাল বুনে চলছে ‘কৃষিকাজ’। সমুদ্রের গভীরে কোরাল রিফের গুরুত্ব বুঝে সরকারের নেয়া বিশেষ উদ্যোগে এই চাষাবাস শুরু হয়েছে। খবর রয়টার্স।
ক্যারিবিয়ান সাগরে জাভিয়ের বেকার নামে এক ব্যক্তি কলম্বিয়া সান আন্দ্রেজ এই প্রবাল বোনার কাজ শুরু করেন, সংরক্ষণ করছেন প্রবাল দ্বীপ। সঙ্গে রয়েছেন আরও অনেকে। যারা কাজ করছেন এখানে। একটা সুস্থ প্রবাল কিন্তু প্রকৃতির কাছে একটা সামু্দ্রিক মাছের চেয়ে বেশি জরুরি। কারণ বিশ্ব উষ্ণায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এই প্রবাল প্রাচীরের। সামুদ্রিক মাছের একটা বড় অংশ বাঁচে প্রবাল প্রাচীরের প্রবাল অর্থাৎ কোরালের উপর নির্ভর করে। সেখানে জন্মানো নানা ছোট প্রাণী বা গাছ থেকেই পুষ্টি সংগ্রহ করে মাছ।
অতিরিক্ত মাছ ধরা, দূষণ ও পর্যটকদের দৌরাত্ম্যেপ্রবালের অস্তিত্ব বিপন্ন। তাই একাধিক মৎস্যজীবী পরিবার যোগ গিয়েছে এই প্রবাল বোনার কাজে। সামুদ্রিক জমিতে কোরাল ফার্মিংয়ের জন্য প্রতি মাসে কলম্বিয়ার সান আন্দ্রেজ ও প্রভিদেনশিয়ার ৪০ জন মৎস্যজীবী এগিয়ে এসেছেন। প্রতি মাসে প্রায় ৮৯০০ টাকা (১২৫ ডলার) পান তারা ‘আন্ডার সি গার্ডেনিং’ প্রকল্পে কাজের জন্য।
প্রথম ধাপের প্রবালগুলি সমুদ্রে রাখা হয়েছে। বেঁচেও গিয়েছে তারা। এই আর্কিপেলাগো কলম্বিয়ার ৮০ শতাংশ প্রবালের বাসস্থান। ক্যারিবিয়ান সাগরের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রকল্প এটি। গত বছরে প্রায় ১০ হাজার প্রবালের টুকরো নিয়ে সমুদ্রের তলদেশে ভাসমান নার্সারিতে সংরক্ষণের কাজ হয়েছিল। প্রকল্পে যুক্ত ব্যক্তিদের ধারণা, ধীরে ধীরে প্রায় ১৫০ একর এলাকাজুড়ে এই নতুন প্রবাল কলোনি গড়ে উঠবে।
সি-ফ্লাওয়ার বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ নাম দেওয়া হয়েছে এই সংরক্ষিত এলাকাটিকে। ইউনেসকো এটিকে ২০০০ সালে সংরক্ষিত বলে ঘোষণা করেছে। তবে শুধু প্রবালই নয়, সমুদ্রের তলার আবর্জনায় আটকে থাকা মাছ, কচ্ছপ কাঁকড়া-সহ বিভিন্ন প্রাণীকে রক্ষাও করে এই দলটি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন