সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পর তুরস্ক ও সৌদি আরবের কূটনৈতিক সম্পর্ক আসলে কেমন তা স্পস্ট নয়। বিষয়টি নিয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান সরাসরি সৌদি যুবরাজকে উল্লেখ করে কোনো বক্তব্য দেননি।
তবে এ পর্যন্ত যেসব তথ্যপ্রমাণ প্রকাশ পেয়েছে তার ভিত্তিতে সৌদি যুবরাজকেই এ হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা হিসেবে শনাক্ত করা হচ্ছে। আর হত্যাকারীদের তুরস্কের মাটিতেই বিচার করার দাবি জানিয়ে আসছে তুরস্ক। খবর প্রেস টিভি’র।
এমন পরিস্থিতিতে চলতি মাসের শেষে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিপেস তাইয়েপ এরদোগানের সঙ্গে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দেখা হওয়ার একটি সুযোগ তৈরি হয়।
৩০ নভেম্বর ‘জি২০’ এর ১৩তম সম্মেলন উপলক্ষে আর্জেন্টিনা যাচ্ছেন দুই নেতা। সেখানেই তাদের সাক্ষাৎ হতে পারে বলে এরদোগানের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। কিন্তু এর কয়েক ঘণ্টা ব্যবধানে তুরস্কের জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেল ‘এ হাবের’ জানিয়েছে, আর্জেন্টিনার জি২০ সম্মেলনে সৌদি যুবরাজের সঙ্গে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিপেস তাইয়েপ এরদোগানের দেখা করার কোনো ইচ্ছা নেই।
উল্লেখ্য, ২ অক্টোবর সাংবাদিক জামাল খাশোগি (৫৯) তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে গিয়ে নিখোঁজ হন। সৌদি কর্তৃপক্ষ প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরে তারা তার নিহত হওয়ার ঘটনা স্বীকার করতে বাধ্য হয়।
পরে জানা যায়, সৌদি রাজপরিবারের সমালোচক এ সাংবাদিককে কনস্যুলেটের মধ্যেই হত্যা করা হয়। ধারণা করা হয়, সৌদি যুবরাজের নির্দেশে তার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন