ক্রিমিয়ার উপদ্বীপে ইউক্রেন নৌবাহিনীর তিনটি জাহাজ জব্দ করেছে রাশিয়া। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরম আকার নিয়েছে। বেশ কয়েকজন ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। দুটো দেশই একে-অন্যকে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেদ্রো পোরোশেঙ্কো বলেছেন, এর প্রতিক্রিয়ায় তিনি পার্লামেন্টে সামরিক আইন জারির ঘোষণার জন্য আহ্বান জানাবেন। রোববার জাহাজগুলো জব্দ করার আগে সেগুলোর দিকে গুলি ছুড়ে বেশ কয়েকজন ইউক্রেনীয় নাবিককে আহত করেছে রুশ নিরাপত্তা বাহিনী। রাশিয়ার এ পদক্ষেপে দেশ দুটির মধ্যে বিপজ্জনক নতুন সংকট শুরু হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য রয়টার্সের। ইউরোপীয় ইউনিয়ন কের্চ স্ট্রেইট-এ চলাচলের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করার জন্য রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এবং ‘চরম সংযমের সাথে যেকোনো কাজ করার জন্য সবাইকে’ তাগিদ দিয়েছে। ন্যাটো বলেছে, তারা ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বকে সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করে এবং এর আঞ্চলিক অখণ্ডতা, আঞ্চলিক পানি সীমায় তার নেভিগেশন অধিকারকে সমর্থন দেয়। ইউক্রেন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকের অনুরোধ করেছে এবং মস্কোর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের দাবি করেছে। রাশিয়ার বার্তা সংস্থাগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার দিনের শুরুতে রাশিয়ার এফএসবি নিরাপত্তা বিভাগ জানিয়েছে, তাদের সীমান্ত টহল বোটগুলো কৃষ্ণ সাগরে ইউক্রেন নৌবাহিনীর জাহাজগুলো জব্দ করেছে এবং সেগুলো থামাতে অস্ত্র ব্যবহার করেছে। এফএসবি জানিয়েছে, তারা এ পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে কারণ ইউক্রেনের জাহাজগুলো অবৈধভাবে তাদের সীমায় প্রবেশ করেছে, অবৈধ পদক্ষেপের উদ্যোগ নিয়েছে এবং বিপজ্জনকভাবে এগিয়ে যাওয়ার সময় সতর্কতা জানানো হলেও তা উপেক্ষা করেছে। জাহাজগুলোর মধ্যে দুটি গানবোট ও একটি টাগবোট রয়েছে। বিবিসি, রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন