কলকাতা থেকে কালীপদ দাস : পশ্চিমবঙ্গে আজ বিধানসভা নির্বাচনের সপ্তম তথা শেষ দফার ভোট গ্রহণ। ইতোমধ্যে মঙ্গলবারই শেষ হয়েছে ভোটের প্রচারের কাজ। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সব রাজনৈতিক দলেরই ভোটের প্রচার ছিল তুঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গে শাসকদল অর্থাৎ তৃণমূল কংগ্রেস বনাম বাম-কংগ্রেসের জোটের দ্বিমুখী লড়াই। বিজেপিসহ অন্যান্য আরও কিছু দল থাকলেও এবারের বিধানসভা নির্বাচনে জোট বনাম তৃণমূলের লড়াইটাই জমে উঠেছে। প্রায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই যাকে বলে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতোমধ্যেই বলেছেন ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তারাই জিতছেন, এবারে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি। অন্যদিকে বাম-কংগ্রেস জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী সূর্যকান্ত মিশ আশা প্রকাশ করেছেন এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল সরকারের পতন হবে। সরকার গড়বে বাম-কংগ্রেস জোট। রাস্তা-ঘাটে, ট্রামে-বাসে, ট্রেনে এখন একটাই আলোচনা, কে আসছে এবারে? যদিও জোটের নেতারা যেমন জানেন, এবারে ‘জোট সরকার’, ‘জোট সরকার’ বলে তারা যতই গলাবাজি করুন না কেন, তৃণমূলকে উচ্ছেদ করাটা তেমন সহজ হবে না। অন্যদিকে নিজেদের সরকারে ফেরার ব্যাপারে যতই নিশ্চয়তা থাকুক না কেন, মমতার চলনে বলনে কোথাও একটা কাঁটা খচ খচ করছেই। সুতরাং জয় নিশ্চিত হলেও তাদের আসন সংখ্যা যে বেশ কিছুটা কমবে তা বলাই বাহুল্য।
আজ পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহার ও পূর্ব মেদিনীপুর, এই দুটি জেলার ২৫ আসনে ভোট গৃহীত হবে। কুচবিহারের আসন সংখ্যা ৯ এবং পূর্ব মেদিনীপুরের আসন সংখ্যা ১৬। ২৫ আসনের মোট প্রার্থী সংখ্যা ১৭০। এদের মধ্যে আছেন ১৮ জন মহিলা প্রার্থী। শেষ দফার ভোটে দুই জেলা মিলিয়ে আজ মোট ৫৮ লাখ ৪ হাজার ভোটার তাদের প্রার্থী নির্বাচন করবেন। এদেও মধ্যে পুরুষ ভোটার আছেন ৩০ লাখ ১১ হাজার ৫৭৪ জন এবং মহিলা ভোটার আছেন ২৭ লাখ ৮০ হাজার ১৫০ জন। ভোট গ্রহণ চলবে সকাল ৬ টা থেকে সন্ধ্যে ৭টা পর্যন্ত।
এই পর্বের উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো কুচবিহারের বাংলাদেশ সীমান্তঘেঁষা এলাকার ৯৭৭৬ জন মানুষ, যারা বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসে বসবাস করছেন, এই প্রথম তারা তাদের ভোটধিকার প্রয়োগ করবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন