বিশেষ সংবাদদাতা : পবিত্র ঈদুল আজহায় পশু কোরবানির জন্য ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে (উত্তর ও দক্ষিণ) ৫২৮টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব কোরবানির জন্য মাওলানার তালিকা করা হয়েছে ৬৯৬ জনের। এছাড়া গোশত প্রস্তুতের জন্য ৪৮০ জন কসাইয়ের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এ তালিকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এ সংখ্যা আরো বাড়ানো হবে। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধিসহ দেশের ১১টি সিটি করপোরেশন এবং বিভিন্ন পৌরসভার প্রতিনিধিরা তাদের তথ্য তুলে ধরেন। বৈঠকে স্থানীয় সরকার সচিব আব্দুল মালেক বলেন, আইনি বেড়াজালে আটকে ঈদ উদযাপন অনুষ্ঠান নয়। পবিত্রতার আবহেই ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হবে। আর সে লক্ষ্যে আগে থেকেই কোরবানির স্থান, মাওলানা এবং কসাই নির্ধারণের বিষয়টি নিশ্চিত করা হচ্ছে। সচিব জানান, যেহেতু বর্ষা মৌসুমে কোরবানির ঈদ অনুষ্ঠিত হবে, তাই আগে থেকেই এ প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
সভায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে জানানো হয়, এখন পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে ২০৪টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। মাওলানার তালিকা তৈরি করা হয়েছে ৩৩৬ জনের। এছাড়া গোশত প্রস্তুত করতে ২০৫ জন কসাইয়ের প্রাথমিক তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে এখন পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে ৩২৪টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। মাওলানার তালিকা তৈরি করা হয়েছে ৩৬০ জনের। এছাড়া গোশত প্রস্তুত করতে ২৭৫ জন প্রাথমিকভাবে কসাইয়ের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রামে ৩৮৭টি, খুলনায় ১৫৫টি, নারায়ণগঞ্জে ১৯০টি, গাজীপুরে ৪১৪টি, রাজশাহীতে ১৫০টি, রংপুরে ৩৩টি, বরিশালে ১৪০টি, সিলেটে ২৭টি কোরবানির স্থান নির্ধারণ করা হয়।এর মধ্যে চট্টগ্রামে ১৭০, নারায়ণগঞ্জে ২০০, গাজীপুরে ৪১৪, রাজশাহীতে ৩৭৭, রংপুরে ৩৩, বরিশালে ২৮০ এবং সিলেটে ৭৫৫ জন মাওলানার তালিকা তৈরি করা হয়েছে প্রাথমিকভাবে।সভায় কোরবানির সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য দেশের সব জেলা প্রশাসকদের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন