খাগড়াছড়ি জেলা সংবাদদাতা : মৃত্যুর তিন মাস পর জানা গেল স্ত্রীর পরকীয়ার বলি হয়েছেন সৌদি প্রবাসী মোমিনুল হক। তিন মাস আগে খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলায় খুন হন তিনি। তখন লাশের পরিচয় গোপন থাকলেও মঙ্গলবার স্ত্রী রাবেয়া বেগম ও চার ভাড়াটিয়া খুনিকে আটকের পর পুলিশের কাছে খুনের স্বীকারোক্তি দেয় তারা। নিহত মোমিনুল হক রামগড় উপজেলার চৌধুরীপাড়ার বাসিন্দা ও সৌদি প্রবাসী। স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমে বাধা দেয়ায় স্ত্রীর ভাড়াটিয়া খুনিরা হত্যা করে তাকে। তাও আবার স্বামীর বিদেশ থেকে পাঠানো টাকায়।
মঙ্গলবার আটকের পর হত্যাকা-ের সঙ্গে যুক্ত ফিরোজ (২২), কালাম (২১) ও সাইফুল (২৩) অকপটে খুনের স্বীকারোক্তি দিয়ে বলেন, রাবেয়া বেগমের সঙ্গে এক লাখ টাকা চুক্তিতে মোমিনুল হককে খুন করা হয়। গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: মোস্তাফিজুর রহমান জানান, চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি গুইমারা উপজেলার বাইল্যাছড়ি চন্দ্ররঞ্জন কার্বারীপাড়া এলাকা থেকে অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। দীর্ঘ তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, ওই লাশটি জেলার রামগড় উপজেলার চৌধুরীপাড়ার বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী মোমিনুল হকের (৪০)। কিন্তু তার স্ত্রী রাবেয়া বেগমকে জিজ্ঞেস করলে স্বামী বিদেশে চলে গেছেন বলে জানায় সে। অবশেষে সোমবার পরিচয় নিশ্চিত হবার পর প্রথমে রাবেয়া বেগমকে এবং পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রামগড় সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মুহাম্মদ কাজী হুমায়ুন রশিদের নেতৃত্বে গুইমারা, রামগড় ও ফেনীতে অভিযান চালিয়ে অপর চারজন খুনিকে আটক করা হয়।
রামগড় সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মুহাম্মদ কাজী হুমায়ুন রশিদ জানান, হত্যার দায় স্বীকার করে খুনের পরিকল্পনা ও হত্যার বর্ণনা দিয়েছে আটককৃতরা।
হত্যাকা-ের মূল পরিকল্পনাকারী স্ত্রী রাবেয়া বেগম জানান, স্বামী মোমিনুল হক দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবে ছিলেন। স্বামীর অনুপস্থিতিতে দেবর একরামুল হকের সঙ্গে তার দৈহিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্প্রতি দেশে ফেরার পর স্বামী বিষয়টি জানতে পারেন। শেষ পর্যন্ত পরকীয়ার পথ পরিষ্কার করতে স্বামীকে হত্যার পরিকল্পনা করে রাবেয়া।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন