বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

আইএসের দায় স্বীকার অবিশ্বাসের কারণ নেই : নিশা দেশাই

ধর্মবিরোধী লেখালেখি ফৌজদারি অপরাধ : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ৬ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:১৪ এএম, ৬ মে, ২০১৬

কূটনৈতিক সংবাদদাতা : দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বলেছেন, আইএসের দায় স্বীকার অবিশ্বাসের কারণ নেই। সেই সাথে বাংলাদেশের জঙ্গীদের আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ভেঙে দিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র জুলহাজ হত্যা তদন্তের শেষ দেখতে চায় বলেও জানান নিশা। অপরদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিশাকে বলেছেন, বাংলাদেশে আইএস বা আল-কায়েদা নেই। নিশাকে তিনি এও বলেছেন যে, বাংলাদেশে সমকামিতা এবং ধর্মবিরোধী লেখা ফৌজদারি অপরাধ। প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎকালে নিশা বাংলাদেশকে সন্ত্রাসবাদ-চরমপন্থা ও জঙ্গীবাদ মোকাবিলায় সহায়তার প্রস্তাব দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাসী তৎপরতার আগাম তথ্য থাকলে জানানোর জন্য বলেন নিশাকে। গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সাথে সাক্ষাৎকালে নিশা এসব কথা বলেন।
গতকাল সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশ সফররত যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের অবগত করেন। তিনি বলেন, নিশা দেশাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন। সন্ত্রাসী কর্মকা- মোকাবেলায় তথ্য আদান-প্রদানের কথাও বলেছেন নিশা। বৈঠকে সাম্প্রতিক গুপ্তহত্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থা মোকাবেলায় বাংলাদেশকে সহায়তার জন্য নিজেদের আগ্রহ প্রকাশ করে নিশা দেশাই বিসওয়াল বলেন- এ বিষয়ে তাদের বিশেষজ্ঞ রয়েছে। সন্ত্রাস মোকাবেলায় অভিজ্ঞতা ও কারিগরি সহায়তা দেয়ার কথাও বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ইহসানুল করিম বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের কর্মকর্তাদের নিরাপত্তায় বাংলাদেশ সরকারের নেয়া পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করেন নিশা দেশাই বিসওয়াল।
জুলহাস মান্নানসহ সাম্প্রতিক সময়ে মসজিদের ইমাম, চার্চের পাদ্রিসহ যেসব হত্যাকা- ঘটেছে সেগুলোকে ‘সফট টার্গেট’ মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সেনসেটাইজেশন’ করতেই ঠা-া মাথায় এ সব হত্যাকা- ঘটানো হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা ও প্রধানমন্ত্রীর প্রাণনাশের জন্য বিভিন্ন সময়ে সন্ত্রাসী হামলার কথা উল্লেখ করে বিসওয়াল বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকা- ও চরমপন্থা মোকাবলোয় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বিশাল অভিজ্ঞতা ও ত্যাগ রয়েছে। সন্ত্রাসী তৎপরতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আগাম কোনো তথ্য থাকলে তা দিয়ে বাংলাদেশকে সহায়তার কথাও বলেন শেখ হাসিনা। সন্ত্রাসী কর্মকা-ের বিরুদ্ধে তার সরকারের ‘জিরো টলারেন্সের’ কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অপরাধীরা অপরাধী এবং সন্ত্রাসীরা সন্ত্রাসীই তাদের কোনো ধর্ম নেই।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭১তম অধিবেশন চলাকালে অভিবাসন সম্পর্কিত একটি উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে কো-চেয়ার করার জন্য শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানান নিশা দেশাই বিসওয়াল। ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের আইনের আওতায় এনে বিচার করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি। সাক্ষাতের সময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এবং বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট উপস্থিত ছিলেন।
এর পরে নিশা দেশাই সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জমান খানের সঙ্গে বৈঠক করেন। এতে নিশা দেশাই ছাড়াও ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্টিফেনস মার্শা ব্লুম বার্নিকাট এবং কয়েকজন উর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশের পক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ছাড়াও ছিলেন স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, র‌্যাবের মহাপরিচালকসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সিনিয়র কর্মকর্তারা। বৈঠক শেষে বাইরে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের নিশা দেশাই বিসওয়াল বলেন, বাংলাদেশে নৃশংস হত্যাকা-গুলোর দায় স্বীকার করে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) ও আল-কায়েদা যে বক্তব্য দিচ্ছে, তা অবিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই। আইএস, আল-কায়েদা ও আইএস-এর মতো সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো এখানকার বিভিন্ন সন্ত্রাসী ঘটনায় যে দায়িত্ব স্বীকার করে আসছে, সেটিকে আমরা বিবেচনায় নিয়ে থাকি। কারণ, এসব সংগঠন হয় সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটাচ্ছে কিংবা এখানকার সংগঠনগুলোর সঙ্গে নিজেদের মধ্যে একটা যোগসূত্র স্থাপনের চেষ্টা চালাচ্ছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। বাংলাদেশের মতো সুন্দর একটি দেশে এসব সন্ত্রাসী সংগঠন যাতে ঘাঁটি গাড়তে না পারে, সে ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারকে নিয়ে তাদের প্রতিহত করতে আমরা বদ্ধ পরিকর।
জুলহাস মান্নানের হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে সরকার যা যা করছে, সে বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের জানিয়েছেন। তবে আমরা এই হত্যাকা-ের তদন্ত এবং দোষীদের খুঁজে বের করার যে চেষ্টা বা প্রয়াস চলছে, তার চূড়ান্ত পরিণতি দেখতে চাই।
বৈঠকের বিষয়ে নিশা দেশাই সাংবাদিকদের বলেন, জুলহাস মান্নানসহ নৃশংস হত্যাকা-গুলোর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ। এই কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে (আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল) জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে তিনি জানতে চেয়েছেন, জুলহাস মান্নান মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তা ছিলেন। তাঁকে হত্যা করাটা বাংলাদেশে বসবাসরত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য হুমকি কি না।
যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির অন্যতম অংশীদার যুক্তরাষ্ট্র। কমিউনিটি পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রশিক্ষণে যুক্তরাষ্ট্র ভূমিকা রাখতে চায়। এ সময় তিনি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের একটি সাইবার নিরাপত্তা দল শিগগিরই বাংলাদেশে আসবে।
মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জঙ্গিরা ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে লিয়াজোঁ করছে কি না, তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছেন। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এ ব্যাপারে একমত পোষণ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।  
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির দেয়া দায়িত্ব পালনে বাংলাদেশে এসেছি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জন কেরি বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতিগুলো পুনর্ব্যক্ত করার দায়িত্ব দিয়ে আমাকে পাঠিয়েছেন।
এদিকে টুইট বার্তায় নিশা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে জুলহাস মান্নান এবং অন্যান্য হত্যাকা-ের তদন্ত ও এ ধরনের আক্রমণ ঠেকাতেও পূর্ণ সহায়তা দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছি।
বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, তিনি মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়ালের কাছে সমকামিতাকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। নিশা দেশাইকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সমকামিতা আনন্যাচারাল সেক্স (অস্বাভাবিক যৌনকর্ম)। নিশা দেশাইকে মার্কিন দূতাবাসের সাবেক কর্মকর্তা জুলহাস মান্নান ও নিহত ব্লগারদের লিখিত বিভিন্ন বিষয়বস্তু (কনট্যান্ট) তুলে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, সমকামিতা আমাদের সমাজ, আইন ও ধর্ম কোনোভাবেই অনুমোদন করে না। এটি একটি ফৌজদারি অপরাধ। পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশেই এটাকে নিষিদ্ধ। আমাদের দেশের সমস্ত ধর্মের প্রধানরা এটা নিষেধ করেছেন। কাজেই এদেশে এটার প্রচার-প্রচারণা করা অপরাধ। এ থেকে সংযত হওয়া উচিত।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা বাক স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুললে আমরা বলেছি, এখানে অনেক ব্লগার লেখালেখি করেন। তবে দু’একজন ব্লগার ধর্মের বিরুদ্ধে লেখেন। আমাদের বিশ্বাসের বিরুদ্ধে লেখেন। যেগুলো আমাদের সংবিধানে স্পষ্ট করে নিষেধ রেয়েছে। সব ধর্মের মানুষ এখানে বসবাস করবেন। কোনো ধর্মের মানুষ অন্যের ধর্মের ওপর আঘাত করতে পারবেন না। আনসেনসরড ফ্যাক্ট ও ধর্মবিরোধী লেখালেখি ক্রিমিনাল অফেন্স বা ফৌজদারী অপরাধ। এ অপরাধে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন ব্লগে ব্লগারদের লেখা কিছু কনট্যান্ট আমি নিশা দেশাইকে দিয়ে বলেছি যে, এ ধরনের লেখা কোনো ধর্মই অনুমোদন করে না। কারো ধর্ম বিশ্বাসে আঘাত দেয়ার অধিকার অন্য কারো নেই। এ ধরনের লেখা যেই লিখবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এটা আমাদের প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন। ধর্মকে কটাক্ষ করে ব্লগারদের লেখাগুলোকে আমরা যেভাবে ঘৃণা করছি। একইভাবে তাদের হত্যা করাটাও গ্রহণযোগ্য নয়। হত্যাকারীদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা হবে। তবে ব্লগারদেরও আরো সংযত হওয়ার জন্য আমরা তাদের প্রতি আহ্বান জানাই।
বৈঠকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, নিশা দেশাই নিহত জুলহাজ মান্নানের হত্যাকা-কে এ দেশে বসবাসরত মার্কিন নাগরিকদের হত্যার আগাম সতর্কসংকেত কি না জানতে চেয়েছেন। আমি জবাবে বলেছি যে, প্রতিটা হত্যাকা-ের পরই আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত ও অনুসন্ধান করছি। অনেক অপরাধীকে আমরা ধরেছি। পুলিশের সক্ষমতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। এ দেশে বসবাসরত প্রত্যেক বিদেশি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে একটি চক্র দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত ও দেশকে অস্থিতিশীল করতে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা তাদের মূলোৎপাটন করতে পেরেছি।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে পরিষ্কার বলে দিয়েছি, দেশে কোনো আইএস নেই। কোনো জঙ্গির অস্তিত্ব নেই। দেশ সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। আন্তর্জাতিক কোনো সন্ত্রাসী চক্রও যদি দেশীয় গোষ্ঠাীর সঙ্গে মিলিত হয়ে কোনো অপরাধ করে, তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হত্যাকা- নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে যদি আগাম কোনো তথ্য থাকে তাহলে আমাদের দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য আমি নিশা দেশাইয়ের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছি।
সরকার দেশের গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করছ্-ে নিশা দেশাই এমন অভিযোগ করেন জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তার এমন দাবি সঠিক নয়। আমি বলেছি বাংলাদেশে ২২টি বেসরকারি টেলিভিশন ও ১২ হাজার পত্রিকা রয়েছে। তারা সবাই নিজ নিজভাবে নিয়ন্ত্রিত। সরকারের কোনো চাপ ও নিয়ন্ত্রণ নেই। এ দেশে সবাই মুক্তভাবে লেখতে পারে।
মন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসসহ সাইবার ক্রাইমের বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এ জন্য পুলিশ বাহিনীকে প্রশিক্ষণে সব কিছু সহযোগিতা করবে।
য্ক্তুরাষ্ট্র জুলহাজ হত্যার তদন্তসহ সন্ত্রাস দমনে সাহায্য করতে চেয়েছে। আমরা বলেছি, প্রয়োজন হলে সাহায্য চাওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারিত্বের বিষয়ে নিশা দেশাইয়ের আলোচনা হয়েছে। আমরা কোন ধরনের সাহায্য চাই, তা তাদের বলেছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন