নীলফামারী জেলা সংবাদদাতা : নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ছাতনাই সীমান্তে ইয়াসমিন আক্তার (১০) নামের ৩য় শ্রেণীর ছাত্রীকে হত্যার পর লাশ বালু দিয়ে চাপা দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার বিকালে ভারতের অভ্যন্তরের লাশটি দেখতে পেয়ে এলাকাবাসীকে খবর দিলে লাশটি ভারতের পুলিশ নিয়ে যায়। ভারতে লাশ ময়না তদন্তে শেষে শুক্রবার বিকালে হস্তান্তর করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
ইয়াজমিন ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ছাতনাই গুচ্ছগ্রামের ইয়াচিন আলীর কন্যা ও দক্ষিণ ঝাড়সিংশ্বের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী। সে গত শনিবার গ্রোয়িং বাঁধ সংলগ্ন তিস্তা নদীর পাড়ে বান্ধবীদের সাথে খেলা করার সময় নিখোঁজ হয়। ইয়াসমিনের বান্ধবী হোসনে আরা জানান ঘটনার দিন বিকালে ইয়াজমিনসহ আমরা ৭/৮জন খেলা করছিলাম। সন্ধ্যায় সময় আমরা সকলে বাড়ী ফিরে গেলেও ইয়াজমিন গরু আনার জন্য পার্শ্ববর্তী ক্ষেতে যায়। সেই থেকে সে নিখোঁজ ছিল। এব্যাপারে ইয়াসমিনের পিতা ডিমলা থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেন।
এদিকে বুধবার বিকালে লাশের সংবাদ শুনে বিজিবির ৭ ব্যাটলিয়ান কমান্ডার কর্নেল মোস্তাফিজুর রহমান, থানার হাট বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার আবুল কালাম আজাদ ও ভারতের বিএসএফে পক্ষে ১৩ ব্যাটালিয়ন রানীনগর কোম্পানি কমান্ডার একে ঠাকুর বিকাল ৪টার পর পতাকা বৈঠক করেন। লাশটি ভারতের অভ্যন্তরে ৫ গজ ভিতরে থাকায় বিএসএফ লাশটি দিতে অস্বীকৃতি জানায়। ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, লাশ ময়না তদন্ত শেষে শুক্রবার বিকালে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।
মন্দিরে আগুন
ডোমারে এক মন্দিরে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। উপজেলার জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বেতগাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই গ্রামের নিলদ চন্দ্র রায়ের ব্যক্তিগত মনসা মন্দিরে বুধবার গভীর রাতে কে বা কারা আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাটি পথচারীরা দেখে চিৎকার করলে লোকজন এসে দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেলে। আগুনে মন্দিরের একাংশ পুড়ে যায়। ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ মোয়াজ্জেম হোসেন ও ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন