কাশ্মীর ইস্যুতে হুঁশিয়ারি দিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি কাশ্মীর ইস্যুতে গণভোট চাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন। জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামাতে সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে ৭ জন বেসামরিক লোকের মৃত্যু হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাক প্রধানমন্ত্রীর এই হুঁশিয়ারি বলে জানানো হয়েছে। স¤প্রতি জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামাতে সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ হয়। এতে মৃত্যু হয়েছে সাত কাশ্মীরির। নিহত হয় তিন বিদ্রোহীর। এরপরই পাক সরকারের পক্ষ থেকে টুইটে এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়। পুলওয়ামার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইমরান খানের ছবিসহ লেখা হয়েছে- ‘ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতীয় নিরাপত্তারক্ষীদের দ্বারা নিরীহ কাশ্মীরিদের হত্যার আমি কঠোর সমালোচনা করছি। হিংসা ছড়িয়ে নয়, আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। কাশ্মীরে ভারতের পক্ষ থেকে করা মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি আমরা জাতিসংঘের কাছে নিয়ে যাবো। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ থেকে দেওয়া কাশ্মীর গণভোটের প্রতিশ্রুতি পূরণের দাবি করব।’’ সাত কাশ্মীরির মৃত্যুতে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে রাজ্যটিতে। ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বক্তব্য কাশ্মীরের জনগণকেই তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে দেওয়া করতে উচিৎ। অপর এক খবরে বলা হয়, অবরুদ্ধ জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চলে স্বাধীনতাকামী নেতাদের ধরপাকড় করেছে পুলিশ। এবং গত সপ্তাহে বেসামরিক নাগরিক হত্যার প্রতিবাদে যে বিক্ষোভ হচ্ছে, সেটা ঠেকানোর জন্য সোমবার সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকায় সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে অস্থিতিশীলতা তীব্র হয়েছে এবং শনিবার নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে সাতজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। তিনজন কথিত জঙ্গিকে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের উপর গুলি চালায়, এতে নিহত হয় তারা। স্বাধীনতাকামী নেতা মোহাম্মদ ইয়াসিন মালিক এবং মিরওয়াইজ উমর ফারুক বলেছেন, তারা কাশ্মীরের প্রধান শহর শ্রীনগরের সেনা সদরদপ্তর অভিমুখে মার্চের চেষ্টা করলে তাদেরকে আটক করা হয়। আরেক নেতা সাইয়েদ আলি শাহ গিলানিকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মালিককে যখন সাদা গাড়িতে করে নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ, তখন তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “ভারতীয় সেনারা কাশ্মীরীদের হত্যা করছে। বিগত বহু বছর ধরে তারা হত্যার উৎসবের মধ্যে রয়েছে”। পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে এক সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই মালিক ও ফারুককে ছেড়ে দেয়া হবে”। নয়াদিল্লীতে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করবেন না বলে জানান। পুলিশ ও প্যারা-মিলিটারি বাহিনী শ্রীনগরের বিভিন্ন অংশে ব্যারিকেড দিয়েছে। সেনা সদরদপ্তরমুখি সড়কও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। রাস্তায় তারা শক্তি নিয়ে টহল দিচ্ছে। সেনাবাহিনী জনগণের উদ্দেশে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে তারা যেন কারও দ্বারা ব্যবহৃত না হয় এবং কোন সমস্যা তৈরি না করে। শনিবারের সহিংসতায় এক সেনা নিহত হয়েছে। শ্রীনগর ও আশেপাশের জেলাগুলোর দোকানপাট, সরকারী অফিস এবং ব্যাংকগুলো বন্ধ ছিল। এসএএম, রয়টার্স
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন