শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

রূপকথার গল্পের বই নিলামে বিক্রি

প্রকাশের সময় : ৭ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অ্যানা ফ্রাংক স্বাক্ষরিত একটি রূপকথার গল্পের বই নিলামে বিক্রি হয়েছে সাড়ে ৬২ হাজার ডলারে। বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে এ নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। ধারণার চেয়ে বইটি দ্বিগুণ মূল্যে বিক্রি হয় বলে সোয়ান অকশান গ্যালারি জানায়।
সূত্র মতে, ‘গ্রিমস ফেয়ারি টেলস’-এর একটি কপি ছিল অ্যানা ফ্রাংক ও তার বোন মারগটের। বইটির টাইটেল পেজে তাদের স্বাক্ষরও ছিল।
‘দ্য ডায়েরি অব এ ইয়াং গার্ল’ বিশ্বব্যাপী সাড়া জাগানো অ্যানা ফ্রাংকের দিনলিপি। এটি তিন কোটি কপিরও বেশি বিক্রি এবং ৬৭টি ভাষায় অনুদিত হয়। নাৎসী বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে ১৯৪২ সালের জুন থেকে ১৯৪৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত আমস্টারডামে লুকিয়ে থাকাকালে অ্যানা ডায়েরিটি লিখে। নাৎসী বাহিনীর হাতে তার পরিবার ধরা পড়ার এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে বার্গেন বেলসন কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে সে মারা যায়।
আত্মগোপনে যাওয়ার আগে অ্যানা বইটি তার আমস্টারডামের অ্যাপার্টমেন্টে ফেলে যায়। যুদ্ধের পরপরই এক ডাচ দম্পতি আমস্টারডামের এক সেকেন্ড-হ্যান্ড বইয়ের দোকান থেকে ‘গ্রিমস ফেয়ারি টেলস’ কেনেন। ১৯৭৭ সালে বইটিতে তারা ফ্রাংকের বোনের নাম দেখে তা অটো ফ্রাংকের কাছে ফিরিয়ে দেন। উল্লেখ্য, অটো ফ্রাংক ওই পরিবারের একমাত্র জীবিত ব্যক্তি।
সু চি’র জন্য নতুন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব
মায়ানমারে অং সান সু-চি’র রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টার পদের জন্য একটি নতুন মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার আহবান জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট তিন কিয়াউ। দেশটিতে সু চি’র প্রভাব বাড়াতে এ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে অনেকের ধারণা। তবে এতে ক্ষমতাধর সেনাবাহিনী বিরক্ত হতে পারে।
গত নভেম্বরের নির্বাচনে সু চি’র গণতন্ত্রপন্থী দল ব্যাপক জয় পেলেও সামরিক আমলে প্রণীত সংবিধানের জন্য তিনি প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি। তবে তাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রেসিডেন্টের কার্যালয় মন্ত্রী ও রাষ্ট্র কাউন্সিলরসহ অন্যান্য উর্ধ্বতন পদে অধিষ্ঠিত করা হয়েছে। দায়িত্ব নেয়ার পর রাষ্ট্রীয় কাউন্সিলর হিসেবে তিনি গত এপ্রিলে বহু রাজবন্দীকে মুক্তির ঘোষণা দেন।
ইংরেজি ভাষার রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র গ্লোবাল নিউ লাইট অব মায়ানমারের খবরে শুক্রবার বলা হয়েছে, জাতীয় ঐক্য, অভ্যন্তরীণ শান্তি, জাতীয় উন্নয়ন ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সরকারি প্রচেষ্টা জোরদার করার লক্ষ্যে সু চি’র ভূমিকাকে কাজে লাগাতে নতুন এ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে এ প্রস্তাবের ওপর পার্লামেন্টে বিতর্ক হবে। তবে সামরিক এমপিরা আলোচনায় প্রস্তাবের বিরোধিতা করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর অন্যান্য এমপিরা বিস্ময় প্রকাশ করতে পারেন। পার্লামেন্টে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য বেশিরভাগ বিল পাস করতে সু চি’র ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমক্রেসি পার্টির সহজ হয়। সূত্র : এএফপি।
আইএসের বিরুদ্ধে লড়তে আগ্রহী নয় কুর্দিরা
ইরাকে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন ইসলামিক স্টেট (আইএস) বিরোধী লড়াইয়ে নির্ভরযোগ্য মিত্র হিসেবে কাজ করেছে কুর্দি পেশমের্গ। কিন্তু কুর্দিরা এখন আর আইএসের সাথে লড়াই করতে আগ্রহী নয়। কুর্দি সরকারি কর্মকর্তা হিওয়া আফিন্দি বলেন, আইএসকে পরাজিত করা কুর্দিদের স্বার্থের বিরোধী। কারণ শিয়া মিলিশিয়ারা তাদের চেয়ে অনেক বেশি বিপজ্জনক। তাই আইএস নয়, কুর্দিদের দৃষ্টি এখন শিয়াদের দিকে। খবর নিউজউইক।
সাবেক পেন্টাগন কমকর্তা ও বর্তমানে আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের রেসিডেন্ট স্কলার মাইকেল রুবিন বলেন, কুর্দিদের এ মনোভাব মারাত্মক। এ থেকে বোঝা যায় যে কুর্দি আঞ্চলিক সরকার (কে আর জি) তাদের স্বার্থ বিরোধী পদক্ষেপ নিতে অনিচ্ছুক যা যুক্তরাষ্ট্র ও পাশ্চাত্যের স্বার্থের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
কে আর জি বা কুর্দিস্তান ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (কে ডি পি) কিংবা পাট্রিয়টিক ইউনিয়ন অব কুর্দিস্তান (পি ইউ কে) কেউই অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের সংস্কৃতিকে লালন করে না। তারা দলের কোনো পর্যায়েই ভিন্নমতকে সহ্য করে না।
আফান্দি তার সরকারের পক্ষ সত্য কথাই বলেছেন।
কুর্দিরা যুক্তরাষ্ট্র ও পাশ্চাত্যের উপর অন্ধের মত নির্ভরশীল থাকতে অনিচ্ছুক। এর প্রমাণ হল বুলগেরিয়া থেকে তাদের অস্ত্র ক্রয়। তারা যে সব অস্ত্র কিনেছে যুক্তরাষ্ট্র তা তাদের দিত না। ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকা ২০০৮ সালে বুলগেরিয়া কর্তৃক কুর্দিস্তানে অস্ত্র প্রেরণের খবর দেয়। এ খবর প্রকাশ হওয়ার পর ইরাক সরকার তার প্রতিবাদ জানায়। বুলগেরিয়া অস্ত্র সরবরাহের কথা অস্বীকার করে। কিন্তু কে আর জি বাগদাদের আপত্তি প্রত্যাখ্যান করে জানায় যে অস্ত্র আমদানিতে তার অধিকার আছে।
এদিকে জেন’স ডিফেন্স উইকলির ধারণা যে আইএসের হাতে সাবেক যুগোশ্লাভিয়ার তৈরি কর্নেটস ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র আছে যা তারা পেয়েছে সিরিয়ার অস্ত্র ভান্ডার থেকে। তবে বাগদাদ ও আম্মানের সরকারি সূত্র তা সত্য নয় বলে জানায়। বাথ পার্টি ও আইএসের ঘনিষ্ঠ কিছু ইরাকি সূত্রও তা অস্বীকার করেছে। বর্তমানে বাগদাদ ও কে আর জির মধ্যে বড় রকমের উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইরাকের পলাতক ভাইস প্রেসিডেন্ট তারিক আল হাশিমিকে কুর্দিরা আশ্রয় দেয়ার ফলে এ উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন