বরিশাল ব্যুরো : ঢাকা থেকে বরিশাল আসার পথে যাত্রীবোঝাই ‘এমভি সুন্দরবন-৮’ নৌযানটিতে গতকাল রাতের প্রথম প্রহরে আগুন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এসময় প্রায় ৮শ যাত্রী বোঝাই নৌযানটি ‘হিজলা চ্যানেল’-এর একটি চড়ায় প্রায় কুড়ি মিনিট নোঙরে রেখে খোলের অভ্যন্তরে পানি মেরে ধোয়া নিয়ন্ত্রণ করা হয়। গতকাল প্রত্যুষে নৌযানটি নিরাপদে বরিশালে পৌঁছে।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ‘এমভি সুন্দরবন-৮’ ঢাকার সদরঘাট থেকে প্রায় ৮শ যাত্রী নিয়ে বরিশালের উদ্যেশে যাত্রা করে। এসময় নৌযানটির এক নম্বর হ্যাচে পণ্য পরিবহনের নির্ধারিত স্থানে বরিশালের কিছু ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন পণ্য বোঝাই করা হয়। মধ্যরাতের পরে হ্যাচের কভারের ওপর শুয়ে থাকা যাত্রীরা ভেতর থেকে তাপ ছড়ানোর টের পেয়ে লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে খবর দেয়। নৌযানটির কাপ্তেন ও সুকানীরা হ্যাচের ঢাকনা খুললে সেখান থেকে ধোয়া বের হতে শুরু করলেও কোন আগুন দেখা যায়নি। দ্রুত অগ্নি নির্বাপন যন্ত্রের সাহায্যে হ্যাচে পানি দেয়ার পাশাপাশি যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় নিয়ে নৌযানটি হিজলা চ্যনেলের কিনারায় নোঙরে রাখা হয়।
ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণে এলে হাচের ভেতর তল্লাশী চালিয়ে কোন আগুন দেখা না গেলেও একটি চটের বস্তার কিছু অংশ পোড়া অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। দ্রুত ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণে আসায় নৌযানটি আধ ঘন্টার মধ্যেই বরিশালের উদ্দেশে যাত্রা করে। প্রাথমিকভাবে যাত্রীদের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও পরে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ সকলকে আশ্বস্ত করেন।
তবে ঐ আগুনের ঘটনায় বরিশারের জগন্নাথ ক্লোথ স্টোর্সের সাড়ে ৬ লাখ টাকার কাপড় ও এল ওয়াস স্টোরের দেড়লাখ টাকার মালামাল নষ্ট হবার দাবী করা হয়েছে। এছাড়াও প্লাস্টীকের পাইপ, ইলেকট্রিক সামগ্রী, জুতাসহ নানা পণ্য আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ও পুড়ে গেছে।
এদিকে বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা লঞ্চটি ঘাটে পৌঁছালে পরিদর্শন করেন। ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক ফারুক হোসেন জানান, তাদের এক সদস্য নৌযানটিতে যাত্রী হিসেবে ছিলো। তার সাহসিকতায় লঞ্চের লোকদের সহায়তায় আগুন নেভানো হয়। না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। পুরো বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন