বিশেষ সংবাদদাতা,যশোর : জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে যশোরে একটি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
যশোরের স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা সোমবার ওই আদেশ দেন। একইসঙ্গে মামলার আরেক অভিযুক্ত মীর শহিদুল্লাহ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তার জামিন না-মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন আদালত। অভিযুক্ত মীর শহিদুল্লাহ লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ কেরুয়া গ্রামের হাজী মীর আবদুর রশিদের ছেলে এবং যশোরের নওয়াপাড়ার বেঙ্গল টেক্সটাইল মিলের সাবেক প্রধান সময়রক্ষক ও এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
আদালত সূত্র মতে, বেঙ্গল টেক্সটাইল মিলে চাকরি করার সময়ে ১৯৮৮ সালের ৬ মে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মীর শহিদুল্লাহ চাকরিচ্যুত হন। ১৯৮৯ সালের ১৭ আগস্ট বেতনবিহীন শর্ত সাপেক্ষে বস্ত্র ও শিল্প কর্পোরেশন মন্ত্রণালয়ের আদেশে আবার তার চাকরি বহাল রাখা হয়। সে মোতাবেক পাঁচ দিন পর ২৩ আগস্ট তিনি চাকরিতে যোগদান করেন। এরপর তিনি সে সময়ের বস্ত্র ও শিল্পমন্ত্রী বর্তমান জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, বেঙ্গল টেক্সটাইল মিলের উপ-মহাব্যবস্থাপক নুরুল হক এবং উপ-মহাব্যবস্থাপক (হিসাব) হুমায়ুন কবিরের সাথে যোগসাজসে ১৯৯০ সালের ৩০ আগস্ট এক লাখ ৬১১ টাকা বেতন উত্তোলন করেন।
এই অনিয়মের ঘটনায় যশোর জেলা দুর্নীতি দমন ব্যুরোর তৎকালীন পরিদর্শক সুখরঞ্জন জমাদ্দার বাদী হয়ে ১৯৯২ সালের ২৮ জুলাই অভয়নগর থানায় মামলা করেন। মামলায় মীর শহিদুল্লাহ, এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, নূরুল হক এবং হুমায়ুন কবিরসহ চারজনকে অভিযুক্ত করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন ব্যুরোর তৎকালীন সহকারী পরিচালক আবুল বাসার এ মামলায় মীর শহিদুল্লাহ ও এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেন। অব্যাহতি পান নুরুল হক হুমায়ুন কবির।
এরপর ১৯৯৫ সালের ৪ জানুয়ারি রুহুল আমিন হাওলাদার যশোর আদালত থেকে জামিন নেন। কিন্তু এরপর তিনি আর আদালতে হাজিরা দেননি। সে কারণে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
মন্তব্য করুন