প্রশ্ন : আমি হিজাব করি। কলেজে আসা-যাওয়ার জন্য বাস/ম্যাক্সি ব্যবহার করি। প্রায় প্রতিদিনই কিছু অসভ্য লোক বিভিন্নভাবে যৌন হয়রানি করে। আমি আল্লাহর কাছে এর প্রতিকার চাই। এদের কী বিচার হবে?
উত্তর : হিজাব পরেন শুনে খুশি হলাম। এটি আল্লাহর ফরজ হুকুম। যেহেতু কলেজে আসা-যাওয়া করতেই হয়, চেষ্টা করবেন কোনো মহিলা বা শিশুর পাশে বসতে। কমপক্ষে সুন্নতি লেবাস পরা ব্যক্তিত্ববান ও বয়সী মানুষের পাশে বসাও ভালো। যারা নারীর সম্মান বোঝে না, তারাই যৌন হয়রানি করে। চলাচলে এদের সাথে বসতেই হয়। যতদূর পারেন নিজেকে গুটিয়ে রাখবেন। বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে গেলে প্রতিবাদ ও হৈ চৈ করবেন। এসব ভবিষ্যত বিপদ বা অনিরাপত্তার কারণ হলে এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। আপনার পরিবেশ পরিস্থিতি আপনি বেশি বুঝবেন। আল্লাহর কাছে এসব লোকের শাস্তি বড়ই কঠোর। তাদের শাস্তি ডাবল হবে। এক. ইচ্ছা ও আচরণে ধর্ষণের পাপ। দুই. একজন মানুষকে কষ্ট দেয়ার পাপ। শরিয়তে এ দু’টোই হারাম। আমাদের রাষ্ট্র ও সমাজব্যবস্থা ত্রুটিযুক্ত হওয়ায় আপনার ও আপনার মতো লাখো নারীর কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। ইসলামি ব্যবস্থা কার্যকর থাকলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে এসব অসভ্যকে সোজা করে ফেলা হতো।
প্রশ্ন : আমার বাসার কাজের বুয়া প্রতিদিনই কিছু না কিছু চুরি করে। বললেও স্বীকার করে না। এই মুহূর্তে আর কোনো অপশন নাই তাকে বাদ দেয়ার। আমি তার প্রতি নির্দয় হতে চাই না। কি করি?
উত্তর : সরিয়ে ফেলার মতো জিনিসপত্র গুছিয়ে বা তালা মেরে রাখুন। যদিও এটি খুবই কঠিন কাজ। চুরি করতে চাইলে অনেক কিছুই করা যায়। যদি এটি তার অভাবজনিত কারণে হয়ে থাকে, তাহলে তার পারিশ্রমিক বাড়িয়ে দিন। পাশাপাশি অন্য বাসায়ও কাজের সুযোগ দিন। যদি চুরি করা অভ্যাসবশত হয়ে থাকে, তাহলে, এসবে কাজ হবে না। চোখে চোখে রাখুন। যেহেতু বিদায় করার উপায় নেই, তাই শাস্তি দিয়েও লাভ নেই। শুনে খুশি হলাম যে, আপনি তার প্রতি নির্দয় হতে চান না। এটি বড় গুণ। দয়া করুন, ক্ষমা করতে থাকুন, সম্ভব হলে বুঝিয়ে বলুন ও আল্লাহর নিকট দোয়া করুন। হয়তো তার অভ্যাস ফিরে যাবে। অন্য মানুষও পেয়ে যেতে পারেন। তা ছাড়া এসব অত্যাচার ও ক্ষতি সহ্য করার ফলে আল্লাহ আপনাকে অনেক বেশি প্রতিদান দিতে থাকবেন।
-আল্লামা মুফতী উবায়দুর রহমান খান নদভী
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন