তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, ক্রয়ক্ষমতা সমতার (পিপিপি) ভিত্তিতে আগামী বছর বিশ্বের দ্বাদশতম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হবে তুরস্ক । এসময় তিনি আরও বলেন, পিপিপির ভিত্তিতে দেশটি বর্তমানে ত্রয়োদশ অবস্থানে রয়েছে। ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একে) এক বৈঠকে ভাষণ দেয়ার সময় এসব কথা বলেন তিনি। এসময় তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, ২০১৯ সালে লক্ষ্যমাত্রার ভিত্তিতে মদ্রাস্ফীতি কমিয়ে আনবে তুরস্ক সরকার। আমাদের গৃহীত প্রতিটি পদক্ষেপের লক্ষ্য হচ্ছে প্রবৃদ্ধি, উনড়বয়ন ও শক্তিমত্তা বজায় রাখা। গত সেপ্টেম্বরে তুরস্কের নতুন অর্থনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে চলতি অর্থবছরে মদ্রাস্ফীতি ২০.৮ শতাংশে, পরের বছর ১৫.৯ শতাংশ, ২০২০ সালে ৯.৮ শতাংশ ও ২০২১ সালে ৬.০ শতাংশ নামিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে। তুরস্ক বছর শেষে ১৭০ বিলিয়ন ডলার রফতানির মাধ্যমে আগের রেকর্ড ভেঙে ফেলবে। তুরস্কের পরিসংখ্যান ইনস্টিটিউটের তথ্যানুসারে গত নভেম্বরে দেশটির বার্ষিক মদ্রাস্ফীতি ছিল ২১.৬২ শতাংশ। অপর এক খবরে বলা হয়, যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে ন্যাটো মিশনের অংশ হিসেবে আরও দুই বছরের জন্য সেনা রাখার প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে তুরস্কের পার্লামেন্ট। আগামী বছরের ৬ জানুয়ারি থেকে নতুন এ প্রস্তাব কার্যকর হবে। ২০১৮ সালে ন্যাটো নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক সহায়তা বাহিনীর ১৭ বছরের যুদ্ধ মিশনের ইতি ঘটবে। আফগান নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেয়ার জন্যই দেশটিতে সেনা রাখছে ন্যাটো মিশন। ২৮টি ন্যাটো মিত্র ও আরও ১৪টি দেশের ১২ হাজার সেনা আফগানিস্তানে তাদের মিশনের সহায়তার জন্য অবস্থান করছে। এদিকে সিরিয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকেও কয়েক হাজার সৈন্যকে ফিরিয়ে আনার কথা বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যমগুলো। বিবিসি, আনাদোলু।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন