শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

নির্বাচনী সহিংসতা আহত আরেক জনের মৃত্যু সারাদেশে আহত শতাধিক

প্রকাশের সময় : ৯ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : গত শনিবার অনুষ্ঠিত চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনপরবর্তী সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। গতকাল আহত এক যুবলীগ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে চাঁদপুরে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে সহিংসতায় আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ।
চাঁদপুরে নির্বাচনী সহিংসতায় আহত যুবলীগ কর্মীর মৃত্যু
চাঁদপুর জেলা সংবাদদাতা : চাঁদপুরের শাহরাস্তির রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়নের নাহারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে আ’লীগ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় আহত যুবলীগ কর্মী জামাল হোসেনের (২৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। রোববার সকালে কুমিল্লার টাওয়ার হাসপাতালে তিনি মারা যান। নিহত জামাল শাহরাস্তি পৌর এলাকার নিজমেহার গ্রামের শহীদ উল্লাহর ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, জামাল হোসেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডা. মো. আবদুর রাজ্জাকের সমর্থক ছিলেন। গত শনিবার নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্র দখলের প্রস্তুতির সময় আ’লীগ ও বিএনপি কর্র্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় জামাল মাথায় আঘাত পায়। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্যে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
কিন্তু আহতর স্বজনরা তাকে কুমিল্লা টাওয়ার হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করায়। সেখানেও কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা গুরুতর বলে জানায়। পরে জামালকে নিয়ে ঢাকা নেওয়ার প্রস্তুতি নিলে ঐ হাসপাতালেই সে মারা যায়।
কালকিনিতে নির্বাচনপরবর্তী সহিংসতায়
১০টি বাড়িঘর ভাঙচুর, আহত ২০
কালকিনি (মাদারীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় গত ৭মে ৪র্থ দফার ইউপি নিবাচন শেষে পৃথক পৃথক ভাবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনায় নারী সহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এসময় ১০টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত শনিবার নিবাচনে হেরে গিয়ে সন্ধ্যায় উপজেলার শিকারমঙ্গল এলাকার উত্তর ভবানীপুর গ্রামে মেম্বার পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাইদুল হক মৃধার বাড়িতে হামলা চালায় প্রতিদ্বন্দ্বী অপর প্রার্থী ফজলুল হক মৃধা। এসময় সালাম মৃধা, সবুজ মৃধা, আবুল হাশেম, এমদাদুল, সোহেল, আলউিদ্দিন, মান্নান মৃধার বসত ঘর সহ একটি ব্র্যাক পরিচালিত স্কুল ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। এ ঘটনায় শাহনাজ বেগম, হেনোরা বেগম, ফাতেমা বেগম, তাসলিমা বেগম, ফারজানা বেগম সহ ১০জনকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে।
শিবগঞ্জে সহিংসতায় আহত ২৫ ভাঙচুর
শিবগঞ্জ উপজেলা সংবাদদাতা : চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার রানীনগরে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইউপি সদস্য পদে বিজয়ী প্রার্থী শুকুরুদ্দিানের  লোকজন সদস্য পরাজিত প্রার্থী নুরুল ইসলাম ও তার সমর্থকদের উপর হামলা, বাড়িঘর ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অপরদিকে বিজয়ী প্রার্থী ও তার সমর্থকদের দাবি বিজয় মিছিল করার সময় পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকরা মিছিলের উপর হামলা করেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের প্রায় ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে গুরুতর আহত ৫ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও ১৫ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের রানীনগর গ্রামে রোববার সকালে বিজয়ী প্রার্থী শুকুরুদ্দিন ও তার সমর্থকরা বিজয় মিছিল করার সময় নুরুলের সমর্থকদের প্রায় ২০টি বাড়িতে ইট-পাটকেল ও বাড়িঘর ও দোকার ভাঙচুর করে। এতে প্রায় অর্ধশতাধিক ককটেল বিস্ফোরিত হয়।
কুড়িগ্রামে ১০ জন আহত
কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা : কুড়িগ্রামে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনপরবর্তী সহিংসতায় ৪ ইউনিয়নে ১০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ২ জনকে গুরুত্বর অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ৭ মে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ফলাফল প্রকাশের পর রাতে সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে সদস্যপদে পরাজিত প্রার্থীরা নির্বাচিত প্রার্থী ও সমর্থকদের বাড়ীতে হামলা চালিয়ে ৪ জনকে গুরুত্বর আহত করে। এসময় বাড়ি-ঘর ভাংচুরসহ লুটপাট চালায় তারা।
নাজিরপুরে যুবলীগ নেতার মারধরের অভিযোগ
নাজিরপুর উপজেলা সংবাদদাতা : পিরোজপুরের নাজিরপুরে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্ত্রীর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত ওই প্রার্থী বাদী হয়ে গতকাল শনিবার ওই যুবলীগ নেতাসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, উপজেলার শ্রীরামকাঠী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক গোপাল স্বর্ণকার (৩৮) গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে একই  ইউনিয়নের শ্রীরামকাঠী বন্দর সংলগ্ন রামকৃষ্ণ রোড এলাকার রাখাল চন্দ্র হালদারের স্ত্রী নয়ন রানী হালদারের (৩৫) গৃহে প্রবেশ করে তাকে মহিলা ইউপি সদস্য পদে মনোনয়নপত্র জমা দিতে নিষেধ করেন। এ সময় ওই যুবলীগ নেতা ও তার লোকজন নয়ন রানীকে বেধম মারপিটসহ শ্লীলতাহানী ঘটায়। ওই সময় হামলাকারীরা তার সাথে থাকা একটি স্বর্ণের চেইন ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন।
রায়পুরায় ১৮টি ইউপিই আ’লীগের
সরকার আদম আলী, নরসিংদী থেকে : উস্কানিমূলক বক্তব্যের কারণে রায়পুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাদেকের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের মামলা করার আদেশ কার্যকর হয়নি। উপরন্তু আব্দুস সাদেকের উস্কানিমূলক নির্দেশই শেষ পর্যন্ত কার্যকর হয়েছে। আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও তাদের সন্ত্রাসী ভোট কর্মীরা মানুষ মেরে হাত-পা ভেঙ্গে সীলমারামারি করে রায়পুরা উপজেলার সবকটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছে। শুধু তাই নয় আব্দুস সাদেক নিজেও বিএনপির প্রার্থীকে অপহরন করে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। গত শনিবার অনুষ্ঠিত রায়পুরা উপজেলার ২৩টি ইউনিয়নেই বিএনপি প্রার্থী দিয়েছিল। পক্ষান্তরে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীসহ বিদ্রোহী প্রার্থী ছিল একাধিক। ১টি ইউনিয়নের নির্বাচন পূর্বেই স্থগিত ছিল। গোলযোগের কারণে ৩টি ইউনিয়নের ৩টি ভোট কেন্দ্রের নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় সেখানে ফলাফল স্থগিত রয়েছে। ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী ১৮টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনে ১৩টিতে নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। ৫টিতে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা। ২/১টি ইউনিয়ন বাদে সকল ইউনিয়নের ভোট কেন্দ্রগুলোতে ব্যাপক কারচুপি, জালভোট, সীলমারামারি, কেন্দ্র দখল ইত্যাদির অভিযোগ রয়েছে। চরআড়ালিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার প্রার্থী মোঃ নুরুজ্জামান শিকদার প্রায় সবকটি ভোট কেন্দ্রেই অবাধে সীল মেরেছে। এর মধ্যে বাতাকান্দি, বটতলী, ও খামার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে শতভাগ ভোট সীল মেরেছে নৌকামার্কার প্রার্থী নুরুজ্জামান। জনগনের দাবী নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারলে নুরুজ্জামান শোচনীয়ভাবে পরাজিত হতো। একই অবস্থা আমিরগঞ্জ ইউনিয়নেও। আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী নাছির খান ও তার সন্ত্রাসী ভোটকর্মীরা এককভাবে সীল মেরে দুপুর ১২টার আগেই সকল চেয়ারম্যান ব্যালট শেষ করে দেয়।
সোনাইমুড়ীতে সহিংসতা
সোনাইমুড়ী উপজেলা সংবাদদাতা : ৪র্থ দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে জাল ভোট, অগ্নিসংযোগ ও কেন্দ্র দখলের মধ্য দিয়ে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। ১টি ইউনিয়নে (৪নং বারগাঁও) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সহ ৯টিতে আওয়ামী লীগ বিজয়ী ১টি বন্ধ রয়েছে। ভোট কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার অভিযোগে ১৬টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ করেছে প্রিজাইডিং অফিসাররা।
এদিকে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ছড়িয়ে পড়েছে। গতকাল রবিবার নদনা ইউনিয়নের কালুয়াই, বগাবাড়িয়া, বোরপিট গ্রামে আওয়ামীলীগ-বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় বিএনপি সমর্থিত মোঃ রাসেল (২১), নুর মোহাম্মদ মমু (৪৭), আ.লীগ সমর্থিত শামছুল আলম দয়াল (৩৫), মোশারফ হোসেনসহ (২০) অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে রাসেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অন্যদিকে সরকার দলীয় ক্যাডাররা সোনাইমুড়ী বাজারে বিএনপি সমর্থিত ৪টি দোকানে তালা লাগিয়ে দেয়। দোকানগুলো হলো- মীম জীম মেডিকেল হল, সামিয়া ফ্যাশন এন্ড কসমেটিকস, এফ এন এফ ইলেকট্রনিক্স, ল্যাব এইড হাসপাতালের ল্যাব ফার্মেসী।
নিলক্ষার চরে আওয়ামী লীগের দুই
গ্রুপের সংঘর্ষ আহত ১০  
স্টাফ রিপোর্টার নরসিংদী থেকে : নির্বাচনোত্তর সহিংস ঘটনায় গতকাল সকালে রায়পুরার নিলক্ষারচরে আওয়ামী লীগের বিজয়ী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে কমবেশি ১০ ব্যক্তি আহত হয়েছে। ভাংচুর, অগ্নি সংযোগ ও লুটপাট হয়েছে কমবেশী ৫টি বাড়ী। আহতদের মধ্যে আনোয়ার হোসেন (৩৮) মোস্তফা মিয়া (৩৫) সরু মিয়া (২৮), হযরত আলী (২৫) নামে ৪ জনকে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদেরে মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় আনোয়ার হোসেনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করা হয়েছে।
সোনারগাঁয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তার সমর্থক ইউপি সদস্যর বাড়িঘর ভাঙচুর হামলা আহত ৫
সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা : আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আধিপত্য বিস্তার ও সমর্থনকে কেন্দ্র করে সোনারগাঁয়ের সনমান্দি ইউনিয়নের নাজিরপুর গ্রামে শনিবার রাতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী (বর্তমান চেয়ারম্যান) সাহাবুদ্দিন সাবুর সমর্থক ওই ইউপির ৯নং ওয়ার্ড সদস্য জয়নাল আবেদীনের ঘরবাড়ি ও অফিস ভাঙচুর করেছে আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী জাহিদ হাসান জিন্নাহর সমর্থকরা। এসময় তাদের হামলায় ৫ জন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। পরে রাত ২টার দিকে জিন্নাহর সমর্থকরা ফের সাহাবুদ্দিনের বাসায় হামলা চালায়।  এ ঘটনায় এলাকার চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে বড় ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করছে এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী জানান, উপজেলা সনমান্দি ইউনিয়নের নাজিরপুর এলাকায় শনিবার রাত ৯টার দিকে সনমান্দি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জাহিদ হাসান জিন্নাহর সমর্থক নাজিরপুর গ্রামের গোলজার হোসেনের নেতৃত্বে মাছুম, মোখলেসুর রহমান তার ভাই জয়নাল মিয়া, জাকির হোসেন, জালাল মিয়া, নূর নবী ও বাবুলের নেতৃত্বে ৩০/৪০ জনের একটি দল সাহাবুদ্দিন সাবুর সমর্থক ও সনমান্দি ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীনের ঘরবাড়ী ও অফিসের হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এসময় তাদের বাধা দিতে এসে সাবুর সমর্থক দুলাল, মিজান, সোহেল, রাজু ও মামুনসহ সহ ৫জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় বিভিন্ন হাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে রাত ২টার দিকে জিন্নাহর সমর্থকরা ফের সাহাবুদ্দিনের বাসায় হামলা চালিয়ে তার অফিসে ভাংচুর চালায়।
এ ব্যাপারে সাহাবুদ্দিন সাবু জানান, জিন্নাহর লোকজন নৌকা প্রতীকের জোড়ে আমার সমর্থক জয়নাল মেম্বারের বাড়ীঘর ভাংচুর করেছে এতে বাধা দিতে গিয়ে আমার ৫কর্মী আহত হয়েছে। এ ব্যাপারে আমি রিটানিং অফিসার ও থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের সমর্থিত দলীয় প্রার্থী জাহিদ হাসান জিন্নান জানান, হামলার ঘটনা সঠিক না বরং সাবুর লোকজনই আর্তর্কিত ভাবে আমার সমর্থদের উপর হামলা চালিয়েছে বলে শুনেছি।
সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, উভয়পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোনারগাঁয়ে ভাঙচুর হামলা আহত ৫
সোনারগাঁ উপজেলা সংবাদদাতা : আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আধিপত্য বিস্তার ও সমর্থনকে কেন্দ্র করে সোনারগাঁয়ের সনমান্দি ইউনিয়নের নাজিরপুর গ্রামে শনিবার রাতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী (বর্তমান চেয়ারম্যান) সাহাবুদ্দিন সাবুর সমর্থক ওই ইউপির ৯নং ওয়ার্ড সদস্য জয়নাল আবেদীনের ঘরবাড়ী ও অফিস ভাঙচুর করেছে আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী জাহিদ হাসান জিন্নাহর সমর্থকরা। এ সময় তাদের হামলায় ৫ জন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে রাত ২টার দিকে জিন্নাহর সমর্থকরা ফের সাহাবুদ্দিনের বাসায় হামলা চালায়। এ ঘটনায় এলাকার চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে বড় ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করছে এলাকাবাসী।
ঝিকরগাছায় সংঘর্ষে ১০ জন আহত
যশোর ব্যুরো : নির্বাচনপরবর্তী সহিংসতায় যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় ফলাফল ঘোষণার পর এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে ৬ জনকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, শিমুলিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেয়া হয় মতিয়ার রহমান সরদারকে। তার বিরুদ্ধে প্রার্থী হন দলের অপর নেতা শফিউদ্দিন আহমেদ। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে জোর কোন্দল চলে আসছিল। শনিবার ভোট গ্রহন শেষে শফিউর রহমান বিজয়ী হলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় উভয় পক্ষ বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। তাদের মধ্যে ৬ জনকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শৈলকূপায় হামলা ভাঙচুর গুলি
ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা : ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার গাড়াগঞ্জ বাজারে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবদার হোসেন মোল্লার সমর্থকরা জেপি প্রার্থী মিজানুর রহমান বাবুলের মার্কেটে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে। ইউপি নির্বাচনে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রে করে রোববার সন্ধায় আওয়ামীলীগের কর্মীরা এই হামলা চালায়। আত্মরক্ষার্থে জেপি প্রার্থী মিজানুর রহমান বাবুল তার লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়ে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। এ সময় উভয় দলের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন