শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

শীতকালীন সবজিতে সয়লাব মীরসরাই

মীরসরাই (চট্টগ্রাম) থেকে ইমাম হোসেন | প্রকাশের সময় : ৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

মীরসরাই উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে রবি মৌসুমে শীতকালীন শাক সবজি ব্যাপকহারে উৎপন্ন হয়েছে। তাই বাজারে আসছে প্রচুর টাটকা তরি-তরকারি।
ক্ষুদ্র চাষীদের কাছ থেকে সবজি ক্রয় করতে উপজেলার বিভিন্ন পাইকারি সবজি ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন জাতের সবজি ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে। এখানকার সবজির ব্যাপক চাহিদা আছে চট্টগ্রাম ফেনীসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে। শীতকাল আসলে এখানে ছুটে আসে চট্টগ্রাম ও ফেনীর পাইকারী সবজি ব্যবসায়ীরা।

এখানকার অধিকাংশ কৃষকরা বিষমুক্ত কেচো কম্পোজ সার ব্যবহার করায় সবজির ফলন বেশি ও স্বাস্থ্যসম্মত হয়। কৃষকরা সবজি চাষাবাদে বিষমুক্ত কেঁচো কম্পোচসার ব্যবহারের কারণে দিন দিন জমির ঊর্বরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাথে ফলনও হচ্ছে অনেক বেশী। তাই দামও কিছুটা বেশি। শীতের শুরুতে যে দামে সবজি বিক্রি হয়েছে বর্তমানে তা দ্বিগুণ হারে বিক্রি করছে কৃষকরা।
ধানি জমিতেও ব্যাপকহারে সবজি চাষ হচ্ছে। জানা যায়, উপজেলার ওয়াহেদপুর, খৈয়াছরা, মীরসরাই সদর ও দুর্গাপুর এলাকায় বেশি সবজি চাষ হয়ে থাকে বলে কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়।

এছাড়াও উপজেলার সাহেরখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ মঘাদিয়া এলাকায় ব্যাপকভাবে সবজি চাষ করে শত শত কৃষক। অন্য ফসলের চেয়ে সবজি চাষের প্রতি ঝুঁকে পড়ছে কৃষকরা। সবজি চাষের মধ্যে আলু, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মূলা, শসা, বেগুন, টমেটো, শিম, মরিচ, তিতকরলা, পেয়াজ, লাল শাক, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, ধনিয়া পাতা। এসব সবজি হাট-বাজারে শীতের শুরুতে আসতে শুরু করেছে এবং তা ব্যাপক হারে বিক্রিও হচ্ছে।
দক্ষিণ মঘাদিয়ার কৃষক সাইদুল ইসলাম জানান, “এখানকার সবজি সারা দেশে যায়। চাহিদা খুব বেশী। পাইকারী ব্যবসায়ীরা এখান থেকে ট্রাকে ট্রাকে করে সবজি নিয়ে যায়।” বেগুন, টমেটো, আলুসহ উৎপাদিত সবজির প্রচুর পরিমাণে চাহিদা রয়েছে। প্রতি কেজি টমেটো ৪০ টাকা হারে বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৩০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৩৫ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।

মীরসরাই বাজারের সবজি বিক্রেতা রতন বড়–য়া জানান, “আমরা পাইকারি ভাবে সবজি কিনে নিয়ে আসি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে। স্থানীয় বাজারে নিয়ে এসে কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা বেশি দরে বিক্রি করে থাকি।” করেরহাট এলাকার আজমপুর গ্রামের কৃষক দিদারুল আলম জানান, “এবার ২ একর কৃষি জমিতে সবজি চাষ করেছি। সবজির ফলন ভাল হওয়ায় দামও পাচ্ছি ভাল। আশা করি যা খরচ করেছি তা উঠে এসে লাভের মুখও দেখব।”
মীরসরাই কৃষি সুপারভাইজার নুর আলম জানান, “উপজেলায় প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে রবি মৌসুমে শীতকালীন সবজি চাষাবাদ হয়েছে। কৃষকরা আগাম চাষ করে ব্যাপক সবজি উৎপাদন করেছে। কৃষকরা চাহিদা অনুযায়ী বাজারে দামও পাচ্ছে।”

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন