বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সুইফটের অবহেলায় হ্যাকাররা পায় বাড়তি সুবিধা

রিজার্ভ চুরি নিয়ে সিআইডির বরাতে রয়টার্স

প্রকাশের সময় : ১০ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : সুইফট কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণেই অর্থ চুরিতে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্ভারে প্রবেশে হ্যাকাররা বাড়তি সুবিধা পেয়েছিল বলে ধারণা করছেন পুলিশের তদন্তকারীরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮০০ কোটি টাকা চুরির ঘটনা তদন্ত করছে বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ। ঘটনার তদন্তের প্রধান এখন সিআইডির অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক শাহ্ আলম।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, পুলিশের অভিযোগ, সুইফটের টেকনিশিয়ানরা অর্থ চুরির ঘটনার তিন মাস আগে বাংলাদেশ ব্যাংকে সুইফট মেসেজিং প্ল্যাটফরমের সঙ্গে একটি নতুন ট্রানজেকশন সিস্টেম যুক্ত করে যান। আর তাতেই হ্যাকারদের কাজ অনেকটা সহজ হয়ে যায়।
শাহ আলমকে উদ্ধৃত করে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুইফটের টেকনিশিয়ানরাই বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট সিস্টেম (আরটিজিএস) এর সঙ্গে সুইফটকে যুক্ত করে যান। তিনি বলেন, আমরা বেশ কিছু লুপহোল পেয়েছি। উক্ত পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঝুঁকি অনেক বেশি বেড়ে যায়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা এবং শাহ আলম রয়টার্সকে জানান, সুইফট কর্মীরা আরটিজিএসের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মেসেজিং প্ল্যাটফরমের সংযোগ স্থাপনে ভুল করে যান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা রয়টার্সেকে বলেন, সুইফট কর্তৃক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যে প্রক্রিয়াগুলো অনুসরণ করার কথা, তাদের টেকনিশিয়ানরাই তা করেননি।
আর এসব কারণেই হ্যাকারদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুইফট মেসেজিং প্ল্যাটফরমে প্রবেশ করার সুযোগ অনেক বেড়ে যায়। সহজ পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে রিমোট একসেসের মাধ্যমেও ওই প্ল্যাটফরমে ঢোকার সুযোগ থেকে যায়।
পুলিশ অভিযোগ করে বলে, ব্যাংকের প্ল্যাটফরমটিতে কোনো ধরনের ফায়ারওয়ালের পরিবর্তে শুধু একটি সাধারণ সুইচ ব্যবহার করা হয়েছিল। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ রয়টার্সকে বলেন, সিস্টেম বসিয়ে দিয়ে যাওয়ার কারণে সুইফটের দায়িত্ব ছিল দুর্বলতাগুলো খুঁজে দেখা। কিন্তু দেখা গেছে, তারা তা করেনি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, সুইফটের প্রধান মুখপাত্র নাতাশা ডি টেরান এ অভিযোগের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। বাংলাদেশ বিষয়ে কোনো ধরনের মন্তব্যই করতে রাজি হননি নাতাশা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রয়টার্স বাংলাদেশের এমন অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করতে না পারলেও জানিয়েছে, তাদের (বাংলাদেশের) অভিযোগ সঠিক হয়ে থাকলে সুইফটের উপর আস্থায় ফাটল ধরবে। কারণ এই প্ল্যাটফরমই বর্তমানে আন্তর্জাতিক আর্থিক লেনদেনের মেরুদ-।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন