রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে ‘১৪তম আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক মেলা-২০১৯’। দেশে প্লাস্টিক পণ্যের প্রসার ও রপ্তানি বাড়ানোর লক্ষ্য সামনে রেখে আয়োজিত এ মেলা চলবে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত। রাজধানীর রেডিসন হোটেলে চার দিনব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন ও মেলা পর্যবেক্ষণ করবেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনসহ ব্যবসায়ী নেতারা। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
গতকাল সোমবার বাংলাদেশ প্লাস্টিকদ্রব্য প্রস্তুুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিজিএমইএ) কনফারেন্স কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সংগঠনের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক মেলার তথ্য তুলে ধরেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক সভাপতি এএসএম কামাল উদ্দিন, ইউসুফ আশরাফ, ফেরদৌস ওয়াহেদ এবং শামীম আহমেদসহ বর্তমান ও সাবেক নেতারা এবং তাইওয়ানের ইয়োর্কাস ট্রেড এন্ড মার্কের্টিং কোম্পানির প্রেসিডেন্ট জুডি ইয়াং।
মো. জসিম উদ্দিন বলেন, মেলার মূল উদ্দেশ্য দেশের উৎপাদিত নতুন নতুন প্লাস্টিক পণ্য ক্রেতাদের কাছে তুলে ধরা। একই সঙ্গে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর আধুনিক প্রযুক্তির মেশিন প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা। মেলায় মেশিনারিজ, মোল্ড, কাঁচামাল উৎপাদনকারী ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানসহ দেশে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো অংশ নিবে। তিনি বলেন, এবারে মেলায় চীন, ভারতসহ মোট ১৯টি দেশ অংশ নেবে। এতে মোট ৪৮০টি কোম্পানির মোট ৭৮০টি স্টল থাকবে। যা গত বছরের ৬২ দশমকি ৫০ শতাংশ বেশি। কোম্পানির গ্রোথ বেড়েছে ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
জসিম উদ্দিন বলেন, দেশে দিন দিন বাড়ছে প্লাস্টিক পন্যের ব্যবহার। বর্তমানে প্লাস্টিক ব্যবহারের পরিমাণ বাড়ছে ২০ শতাংশ হারে। এখন দেশে প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন ও বিপণন হচ্ছে মোট ২৫ হজার কোটি টাকার। এর মধ্য থেকে সরকার ৩ হাজার ৫শ’ কোটি টাকার রাজস্ব পায়। এ খাতে মোট ১২ লাখ লোকের কর্মসংস্থান রযেছে বলেও জানান জসিম উদ্দিন।
প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানিতে ২০০৩ -০৪ অর্থবছরে ছিল ১০৭ মিলিয়ন ডলার। যা ২০১৭-১৮ সালে দাড়িয়েছে প্রায় সাড়ে ৬০০ মিলিয়ন ডরার। গত অর্থবছরে বিশ^বাজরে তেলের দাম বাড়তি থাকায় রপ্তানি হয়েছে বলে জানিয়ে সংগঠনটির সভাপতি বলেন, ভ্যাট প্রত্যাহার, কর অবকাশ সুবিধাসহ সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে এ খাতের দিকে সরকার নজর দিলে পোশাক খাতের ন্যায় এ খাতও দেশের রপ্তানিতে অনেক বড় ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।#
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন