সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগের দায়ের করা মামলায় হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের ওপর নো অর্ডার (কোনো আদেশ নয়) দিয়েছেন চেম্বার আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে করা আবেদনের শুনানি নিয়ে চেম্বার বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান এ আদেশ দেন। ফলে মানহানির অভিযোগে শেরপুর, কুড়িগ্রাম, ভোলা, ঝিনাইদাহ, রাজবাড়ী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, কক্সবাজার, মাগুরা, নড়াইল, চট্টগ্রাম, যশোর ও নেত্রকোনায় দায়ের হওয়া মোট ১৪ মামলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের মুক্তিতে আর কোনো বাধা থাকছে না ইনকিলাবকে জানিয়েছেন তার আইনজীবী মো: মাসুদ রানা। মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে সারা দেশে দায়েরকৃত ২২ মামলার মধ্যে ১৯ টিতে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন।
এর আগে মানহানির অভিযোগে বিভিন্ন জেলায় দায়ের হওয়া মামলার মধ্যে ১৫টি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে ছয় মাসের জামিন দেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোমতাজ উদ্দিন ফকির। মইনুল হোসেনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন; সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. মাসুদ রানা।
এর আগে মানহানির অভিযোগে বিভিন্ন জেলায় দায়ের হওয়া মামলার মধ্যে ১৫টি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে মইনুল হোসেনকে ছয় মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। এরপর খন্দকার মাহবুব হোসেন জানিয়েছিলেন, মানহানির অভিযোগে বিভিন্ন আদালতে দায়ের করা ১৫ মামলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে এখনো একই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া আরো তিনটি মামলা বিচারের প্রক্রিয়ায় না থাকায় এসব মামলায় তার জামিনের প্রয়োজন নেই। এর ফলে তার কারামুক্তিতে আর কোনো বাধা থাকছে না।
পরে হাইকোর্টে জামিন পাওয়া ১৫ মামলার মধ্যে ১৪টি মামলার জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ চেম্বার আদালতে আবেদন জানায়। কিন্তু চেম্বার আদালত নো অর্ডার আদেশ দেয়ায় হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল থাকল।
প্রসঙ্গত, গত বছর ১৬ অক্টোবর রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টক শোতে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে উদ্দেশ্য করে বিরুপ মন্তব্য কনে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে। মাসুদা ভাট্টিসহ নারী সাংবাদিকরা মইনুল হোসেনকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান। তার মন্তব্যের জন্য প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। কিন্তু প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাওয়ায় তার বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মানহানির মামলা করেন ওই সাংবাদিক। নারী সমাজের জন্য অবমাননাকর দাবি করে একই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে জামালপুরের আদালতেও মামলা করেন একজন নারী। যদিও ওই দুটি মামলায় তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন। এ ছাড়াও একই ঘটনায় জামালপুর, কুড়িগ্রাম ও রংপুরের আদালতেও পৃথক মামলা হয়। ২২ অক্টোবর উত্তরায় থেকে মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন