প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ শুনানি গ্রহণ করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যটর্নি জেনারেল জাহিদ সারওয়ার কাজল বিচারিক আদালতের দেয়া মামলার রায়ের অংশ উপস্থাপন করেন।
এর আগে ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এ মামলায় হুজির দশ জঙ্গিকে গুলি করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দেন। রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ২০০০ সালের ২২ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় লুৎফর রহমান সরকারি কলেজ মাঠে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর জনসভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। জনসভার আগে সেনাবাহিনীর বোমা বিশেষজ্ঞ দল দুটি বোমা উদ্ধার করে। বোমা দুটির বিষয়ে যে রিপোর্ট দিয়েছে তাতে দেখা যায় উক্ত বোমা এতই শক্তিশালী ছিল। রায়ে বলা হয়, হুজির প্রধান মুফতি আব্দুল হান্নানসহ অন্য আসামিদের পরিকল্পনা অনুযায়ী গোপালগঞ্জের সাবান কারখানায় বিস্ফোরক সরঞ্জামাদি আসে। আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, সাক্ষীদের সাক্ষ্য ও ঘটনার পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনায় নিয়ে মুফতি হান্নানের নেতৃত্বে এ মামলার দণ্ডিতরা জনসভাস্থলের কাছে এবং হেলিপ্যাড সংলগ্ন স্থানে বোমা পুঁতে অন্তর্ঘাতে পরস্পরকে সহায়তা করার বিষয়টি প্রমাণিত হয়। এ কারণে তাদেরকে বিশেষ ক্ষমতা আইনের কয়েকটি ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন