শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বেতন অনেক বাড়িয়েছি দুর্নীতি হবে কেন

প্রশাসন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতাসহ যেসব সুবিধা প্রয়োজন, তা সরকার মেটাচ্ছে। তা হলে কেন দুর্নীতি হবে, সে প্রশ্ন করেন তিনি। সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, মন-মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে এবং মাঠপর্যায়ের কর্মচারীদের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিতে হবে। জনপ্রশাসন থেকে তৃণমূল পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিতে হবে যে, কেউ দুর্নীতি করলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ নির্দেশনা দিয়েছেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রিত্বের পাশাপাশি শেখ হাসিনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, সশস্ত্রবাহিনী বিভাগ, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে পালন করছেন। শেখ হাসিনা বলেন, সরকারি কর্মচারীদের যেটা প্রয়োজন সেটা তো আমরা মেটাচ্ছি। তা হলে দুর্নীতি কেন হবে? প্রধানমন্ত্রী উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলায় সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন। জনপ্রশাসনে দুর্নীতি হলেই সঙ্গে সঙ্গে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।
জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের সততা-আন্তরিকতা নিয়ে জনসেবা করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা সরকার পরিচালনার মূল জায়গাটা হলো আপনাদের এই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বিশাল এক কর্মযজ্ঞ এখানে। সে ক্ষেত্রে আপনাদের দায়িত্ব কিন্তু অনেক অনেক বেশি। রাষ্ট্র পরিচালনার প্রাণকেন্দ্র জনপ্রশাসন। আপনাদের সেভাবে কাজ করতে হবে, আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করবেন। শেখ হাসিনা বলেন, সবাইকে অনুরোধ করব, একটা কথা মনে রাখতে হবে যে দেশটা আমাদের। আমরা এ দেশ স্বাধীন করেছি। আজ সারা বিশ্বে একটা সম্মানজনক জায়গায় আসতে পেরেছি। ১৯৭১ সালের পরাজিত শক্তি সেই পাকিস্তানও এখন আর্থসামাজিক সূচকসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সূচকে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশকে অনুকরণ করতে চায়। এখন সেই পাকিস্তানও বলে আমাদের বাংলাদেশ বানিয়ে দাও। আজকে কিন্তু আমাদের আর তলাবিহীন ঝুড়ি বলার সাহস তাদের নেই। এ কথা বলতেও তারা পারবে না। কারণ, আমরা অনেক এগিয়েছি। এই এগিয়ে যাওয়াটা, এই যাত্রাটা আমাদের কিন্তু অব্যাহত রাখতে হবে। জনপ্রশাসনে পদোন্নতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রশাসনসহ সব ক্ষেত্রে শুধু জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নয়, এখানে দক্ষতাকেও প্রধান্য দিতে হবে। কে কত বেশি কাজ করতে পারেন, সততার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলবেন, সবকিছু বিবেচনা করে প্রমোশন হওয়া উচিত। যিনি যে বিষয়ে অভিজ্ঞ, তাকে সেই বিষয়ে দায়িত্ব দেয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন।
স্বচ্ছতা-জবাবদিহি নিশ্চিতে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন সব ক্ষেত্রে এই ডিজিটাল সুবিধা ব্যবহার করতে হবে। এর মাধ্যমে আমি মনে করি স্বচ্ছতা-জবাবদিহি নিশ্চিত হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা সময় বাংলাদেশে দরপত্র বাক্স ছিনতাই হতো। পরে আমরা ই- টেন্ডারে চলে গেলাম। এখন আর টেন্ডার বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনা শোনা যায় না। এভাবেই আমি মনে করি, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি অনেকটা নিশ্চিত করা যায়। আমরা সেটাও করব। প্রধানমন্ত্রী তার টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠনকে দেশের জন্য সেবা করার একটা বড় সুযোগ উল্লেখ করে বলেন, প্রানমন্ত্রিত্বের পদটি এখানে বড় কথা নয়, মানুষের জন্য কতটুকু করতে পারলাম, সেটাই বড় কথা।
প্রধানমন্ত্রী এখানে সরকারি কর্মচারীদের দায়িত্ব বেশি এবং জনপ্রশাসনে সম্পৃক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্ব সব থেকে বেশি বলে উল্লেখ করে ওই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সদ্য প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম তার অনুজ প্রতীম ছিলেন উল্লেখ করে তিনি এ সময় তার পিতা (সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম) মুজিবনগর সরকারের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নজরুল ইসলামের কথাও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। সংস্থাপন মন্ত্রণালয় থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নামকরণ তিনি করেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমি এ জন্য নামটি পরিবর্তন করে দিয়েছিলাম। কেননা জনগণের সেবা করা যে, এই মন্ত্রণালয়ের সবথেকে বড় দায়িত্ব, এখান থেকেই সেবাটা মানুষের কাজে পৌঁছে যাবে। সেটা সবসময় সকলে যেন মনে রাখতে পারেন। টানা তৃতীয়বার সরকার গঠনের পর ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় পরিদর্শন কর্মসূচির অংশ হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই মন্ত্রণালয় পরিদর্শন করেন। বিগত সরকারের সময়ের মতো মন্ত্রণালয়ের কাজের গতি বাড়াতে এবং সৃজনশীলতার বিকাশে এবারো পর্যায়ক্রমে সবগুলো মন্ত্রণালয় পরিদর্শন করবেন প্রধানমন্ত্রী। গতকাল প্রথম জনপ্রশাসন দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়।
শেখ হাসিনা জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, একেবারে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট একটি নির্দেশনা দিতে হবে, কেউ দুর্নীতি করলে সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ যে হারে বেতন আমরা বাড়িয়েছি, এ উদাহরণ মনে হয় পৃথিবীর কোনো দেশেই নেই। সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে, দুর্নীতির বিরুদ্ধেও অভিযান অব্যাহত থাকবে। সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার সরকার জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি ক্ষুধা এবং দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলায় সুশাসন এবং দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন প্রতিষ্ঠা করা জরুরি। গত অর্থবছরে জাতীয় প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৮৬ ভাগে উন্নীত হয়েছে এবং আগামী ৫ বছরে এই প্রবৃদ্ধি তার সরকার ১০ ভাগে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৪ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হলেই জনগণ অর্থনীতির সুফলটা ভোগ করবে।
অন্যান্যের মধ্যে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়েজ আহমদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজি-বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভের পর গত ৭ জানুয়ারি ৪৭ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। এ মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী ছাড়া ২৪ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী ও তিনজন উপমন্ত্রী রয়েছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (24)
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৪৯ এএম says : 0
১৭ কোটি মানুষের মধ্যে সরকারী কর্মচারী মাত্র ১৫/২০ লক্ষ। সাধারন মানুষের জন্য কি করা হয়েছে??
Total Reply(0)
ahmed ১৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৪৯ এএম says : 1
২০১৮ নির্বাচনে সবার মুখেই ফ্রি, ফেয়ার, নিরপেক্ষ নির্বাচনের বাণী শুনলাম । আর বাস্তবে দেখলাম জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হল ।
Total Reply(0)
রিপন ১৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫০ এএম says : 0
এই মনে করেন ভাল্লাগে, খুশিতে, ঠেলায় আরকি!
Total Reply(0)
MHossain ১৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫০ এএম says : 0
বাস্তবতা হচ্ছে, বেতন বাড়ার সাথে সাথে ঘোষ খাওয়ার চাহিদাও বেড়েছে।
Total Reply(0)
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫০ এএম says : 0
ঘুষদিয়ে চাকরি নেয়া যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখলে ঘুষনেয়ার প্রবণতা কমে যাবে। এমনিতেই জাতির শিরার শিরার ঘুষের রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে, আজকাল বাসের চেকার হেলপার থেকে ঘুষ নিয়ে কয়েকটা সিট্ খালি লিখে দেয়। পুলিশ প্রশাসন ঠিকহলে, সমগ্র দেশ ঠিক হয়ে যাবে। পুলিশ ঠিক করেন আগে, দুর্নীতির শিকড় সেখানেই।
Total Reply(0)
Kabir Sardar ১৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫০ এএম says : 1
চাঁদাবাজি কেন হচ্ছে?নদী,বন ও ভূমি দখল কেন হচ্ছে?পরিবেশ দূষণ কেন হচ্ছে?যানজট কেন হচ্ছে?সড়কে বিশৃঙ্খলা কেন হচ্ছে?
Total Reply(0)
Jahir Ebrahim ১৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫১ এএম says : 0
ঘোষণা ও শর্ত অনুযায়ী তো ২০১৮ তে বেতন বাড়ল না! নরমাল বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে এভাবে বেতন বাড়ানোর চেয়ে ৫ বছর পর পর বেতন কমিশন সিস্টেমই ভাল ছিল।
Total Reply(0)
Mir Md Mofazzal Hossain ১৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫১ এএম says : 0
আগে সরকারি চাকরিজীবিদের বেতনও কম ছিল ঘুষও কম দেওয়া লাগতো এখন তাদের বেতনও চারগুন বেশি হয়েছে ঘুষের পরিমানও চারগুন।
Total Reply(0)
সা মো মছিহ্ রানা ১৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫১ এএম says : 0
দুর্ণীতিবাজ না শুনে নীতি-নৈতিকতার কথা!
Total Reply(0)
ahmed Mozaffar ১৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫১ এএম says : 0
মাননীয়, প্রধানমন্ত্রী কথা সত্য, তবে শিক্ষিত বেকার সমস্যার কোন সমাধান হয়নি, যদি পারেন আমাদের দেশে যত বিদেশী চাকুরী করেন তাদের সাথে আমাদের শিক্ষিত বেকার ছেলে মেয়েদের যোগ্যতানুযায়ী নাম মাত্র বেতনে শিক্ষানবিশ হিসাবে নিয়োগ দিতে পারে ভিবিন্ন সংস্হা আপনার নির্দশে । এতে তাদের অভিজ্ঞতা মনবল বাড়বে, আমাদের ছেলেমেয়েরা বেকারের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে পারে ।
Total Reply(0)
Harun Ur Rashid ১৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫২ এএম says : 0
ময়লা যায়না ধুলে আর স্বভাব যায় না মলে I এদেশে কুলুষিত রাজনীতির সুবাদে প্রায় ৭০ বছর ধরে তিল তিল করে গড়ে ওঠা দুর্বৃত্যায়ন কি এত সহজে যাবে I আর সরকারি কর্মচারীদের রক্ষা কবচ তো আপনারা আইনেই করে দিয়েছেন I তাই আর আহাজারি না করে প্রয়োজনীয় কাজ করুন দুর্নীতি কমাতে I
Total Reply(0)
John Emoll ১৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫২ এএম says : 1
আসলেই কোটি টাকার প্রশ্ন। আমার একটি সহজ প্রশ্ন:ঢাকা শহরে বাসা নিলে সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ শর্ট পড়ে। তাই ফ্যামিলিকে গ্রামে পাঠাতে হলো। কতটা কষ্ট লেগেছে? প্রমোশন না দেন অন্তত টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড দয়া করে ফেরত দিন।
Total Reply(0)
Mohammad Arafat Ali ১৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৩ এএম says : 0
দুর্নীতি কেন হয় তা দেশের প্রধানমন্ত্রীর না জানার কথা নয়। অভাবীরা নয়, ক্ষমতাবান ও পয়সাওয়ালারাই দুর্নীতি বেশি করে
Total Reply(0)
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৩ এএম says : 0
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, তাহলে এতো দিনে হয়তো এই কথা বুঝার সময় আসলো যে মানুষ শুধু আর্থিক নিরাপত্তা না। একটা রাজনৈতিক নিরাপত্তাও চায়। সকল দল ও মতের মানুষদের সাথে ভালোবাসা, আস্থা ও নিরাপত্তার সাথে থাকতে চায়। যাতে অজানা ভবিষ্যতের জন্য টাকার পাহাড়ের প্রয়োজন হবে না। ধন্যবাদ।
Total Reply(0)
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৩ এএম says : 0
পার্থিব চাহিদা পূরণ করলেই কি মানুষ দুর্নীতিমুক্ত হয় ? মনের পশুত্ব দমন করে মনুষ্যত্ব বিকশিত করার আত্নিক চাহিদাও পূরণ করা জরুরী।
Total Reply(1)
Mohammed Shah Alam Khan ১৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ৬:৩২ এএম says : 4
আপনি সঠিক কথাই বলেছেন কিন্তু আপনার এই কথা "মনের পশুত্ব দমন করে মনুষ্যত্ব বিকশিত করার আত্মিক চাহিদাও পুরন করা জরুরী" সরকার কিভাবে পুরন করবে এটা করবে প্রতিটি মানষু তার নিজের জন্যে। প্রধানমন্ত্রী তার নিজের জীবনে উদাহরণ সৃষ্টি করছেন কৈ আমরাতো ওনাকে স্মরণ করছি না?? বরং অন্যের দোষও ওনার উপর চাপিয়ে দিচ্ছি। আপনি বাংলাদেশে যেমন দ্বিতীয় জাতির জনক মুজিব পাবেন না যদিও সেটা বুঝতে আমাদের সময় লেগেছে ওনার মৃত্যুর পর আরও ২১ বছর। ঠিক তেমনি ভাবে আমাদের প্রাণ প্রিয় নেত্রী হাসিনাকে বুঝতে সময় নিয়েন না দয়া করে তাহলে আল্লাহ্‌ আমাদেরকে প্রকৃত সোনার বাংলা উপহার দিবেন ইনশ'আল্লাহ। আমিন
Nur Alam ১৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৩ এএম says : 1
টিআইবি'র প্রতিবেদন অনুসারে সর্বশেষ নির্বাচনে অনিয়ম হয়েছে । এই অনিয়ম ছিলো রাজনীতিবিদ এবং প্রশাসনের যৌথ দূনীতি'র সবচেয়ে বড় মহড়া । রাজনীতিবিদরা যতদিন পর্যন্ত তাদের নিজের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য প্রশাসনকে অনিয়ম করতে বলবে ততদিন দূর্নীতি দূর্বার গতিতে এগিয়ে যাবে । সর্বপ্রথম রাজনীতি থেকে দূর্নীতি দূর করতে হবে । যারা রাজনীতি করে তাদের স্বচ্ছ বৈধ আয়ের ব্যবস্থা করতে হবে । তাদের অবৈধ আয়ই দূর্নীতি'র মূল উৎস ।
Total Reply(0)
Bosir Ubbin ১৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৪ এএম says : 0
If you start from the top level ( very high ranking officers including ministers & secretary level officers ) , investigate by DUDOK neutrally ( if that possible in Bangladesh !! ) & by other Govt. agencies ( Secretly ) , let them defend their cases, then reveal their names in national News Papers and send them to Jail if found convicted ( could consider cross fire ha ha !! ) , I believe Corruption would go down to Zero in less than 1 year.
Total Reply(0)
nurul alam ১৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৪ এএম says : 0
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, দুর্নীতি বন্ধ করে জনগণকে প্রকৃত সেবা দিতে চাইলে আগে 'চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত' বন্ধ করুন। 'একবার সরকারি চাকরি হইলে কাম আছে'- এই সুত্র যেহেতু সবার জানা সেহেতু গিয়ে দেখেন লাখ লাখ টাকা নিয়ে কতো অযোগ্য, অলস লোক ঘুরে বেড়াচ্ছে টাকা দিয়ে চাকরি নেবার জন্য। কতো গুলোকে ঠেকাতে পারবেন !?!? সব টাকার তো খবর হয়না। তার থেকে সিস্টেম পরিবর্তন করুন।
Total Reply(0)
matiur rahman ১৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৪ এএম says : 0
মাননীয় প্রধান্মন্ত্রী, আপনাকে আমি পছন্দ না করলেও অন্যান্যদের তুলনায় আপনাকেই আমি যোগ্য মনে করি । মানুষ দুর্নীতি প্রয়োযনে করে না , ক্ষমতা আছে বলেই দুর্নীতি করে । প্রয়োজন মিটিয়ে দুর্নীতি বন্ধ করা সম্ভব নয় । দরকার জবাবদিহিতা এবং আইনের শাসনের ।
Total Reply(0)
M Baharul Babar ১৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৫ এএম says : 1
সব গবেষনাই বলেছিল দূর্ণীতিহীন ইলেকশন হলেও আওয়ামি লীগ জিতত - তার পরও দূর্ণীতি হল কেন ইলেকশনে ?
Total Reply(0)
sagar ১৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৫ এএম says : 0
সরকারি চাকরি আইন অনুযায়ী “ফৌজদারি মামলায় কোনো সরকারি কর্মচারীকে পূর্বানুমতি ছাড়া গ্রেফতার করা যাবে না।” দুর্নীতি রোধ করতে হলে আইনটি বাতিলসহ আরো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
Total Reply(1)
Mohammed Shah Alam Khan ১৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ৬:৪৫ এএম says : 4
কিছুদিন আগেই পত্রিকায় ছাপা হয়েছে দুদুক একজন কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে। উৎসাহী সাংবাদিকেরা এটাকে টেস্ট কেইছ বলেছে কিন্তু দুদুক সেটা প্রত্যাখ্যান করে বলেছে আমরা আমাদের ক্ষমতা অনুযায়ী কাজ করছি কোন টেষ্ট কেইস নয়। তাহলে এখানে আমাদের বিষয়টা ভাবতে হবে তাই না? এখন আজকের উপরের এই সংবাদ কি বলে একটু ভাবেন কি??? বিষয়টা একটু মিলিয়ে দেখুন তাহলেই সবই আপনা আপনি পরিষ্কার হয়ে যাবে আপনার কাছে...একটা বিষয় মনেরাখবেন কাজ যারা করেন তারাই কাজী আর যারা কাজ করেন তাদেরই কিছু না কিছু ভুল হবেই কারন আমরা ফেরেশতা বা শয়তান কোনটাই নই আমরা মানুষ। তবে ভুলটা সহ্যের বাহিরে যাতে না হয় মানে ইচ্ছাকৃত না হয় মানে ভুলটা সংশোধন যোগ্য হলে অবশ্যই ক্ষমা যোগ্য।
Mohammed Shah Alam Khan ১৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ৭:০৯ এএম says : 0
আমি বহু আগে থেকেই আমার লিখায় বলে আসছিলাম প্রধানমন্ত্রী হাসিনা আবার নতুন করে ক্ষমতায় আসার সাথে সাথে তিনি শুরু করবেন শুদ্ধি অভিযান এটা আমি অনেক ভাল ভাবে জানতাম তাই বড় বড় কথা ওনাকে নিয়ে বলে আসছি। আমি ওনার আরও একটা ভাল দিক জানি সেটা হচ্ছে বয়জৈষ্ঠদেরকে সম্মান করা, শুধু তাই নয় তাদের কথাও তিনি সম্মানের সাথেই গ্রহণ করে থাকেন। তাই তিনি এবার ভাল উপযুক্ত অনেক মন্ত্রীকে ওনার পরিষদে রাখেননি এটা আমি ঠিক বুঝেছিলাম তাই ওনার এই চমক নিয়ে আমি কোন মন্তব্য অদ্যাবদি করিনি যদিও আমি একজন কঠিন মন্তব্যকারী। এবার তিনি (নেত্রী হাসিন) দুর্নীতি দমনে নামবেন তাই সেইভাবেই তিনি প্রস্তুত হয়েই মাঠে নেমেছেন তাদেরকে নিয়ে যাদেকে তিনি নিজ হাতে শাসন করতে পারবেন। সবাই এটাকে চমক বলছেন কিন্তু আমি বলছি তিনি যুদ্ধে নামার জন্যেই এইভাবেই মন্ত্রী পরিষদ গঠন করেছেন এটাই বুঝাগেছে। এখন সবাই দেখবেন ওনার কেরামতি কারন ৫ বছর আর ওনাকে কেহই ওনার স্বপ্ন ভাঙ্গার জন্যে গদী ধরতেই পারবেন না গদী টানাতো দূরের কথা। আমি দুদুকের সেদিনের কাজ দেখেই বুঝেছি আমি যা ভেবে আসছি সেটাই নেত্রী হাসিনা বাস্তবায়িত করতে যাচ্ছেন। আমি ওনার আজকের এই কথার জন্যেই অপেক্ষায় ছিলাম। আমার বয়স হয়েছে এখন আমি ৬৮ বছর পুরো করে ৬৯ বছরে পা দিয়েছি আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা এখন আমি অন্তত এটা বলতে পারবো আমাদের স্বপ্ন আমাদের নেত্রী হাসিনা সম্পন্ন করবেন ইনশ’আল্লাহ। নেত্রী হাসিনা যে তার বাবার চেয়েও উন্নত ধরনের এটাই আমি অনেক বার বলেছি আবারো বলছি তিনি এক এক করে এটা প্রমাণ করে যাচ্ছেন এটা একটু তার কাজকে বিশ্লেষণ করলেই সহজেই বুঝতে পারবেন। ব্যাংক নিয়ে অনেকেই অনেক কথা আমাকেও শুনিয়েছেন আমি কিছুই লিখিনি তবে আলোচনায় বলেছি ব্যাবসায়িদের সুযোগ না দিলে কর্মের সৃষ্টী হবে না দেশে বেকারত্ব দূর হবেনা। নেত্রী এটাকে একটা পর্যায় নিয়ে তারপর তিনি বরশী টান দিবেন এখনও সময় হয়নি আমার কথার কেহই মূল্যায় করেনি আজ সময় এসেছে তাই বলছি এবার দেখেনিবেন নেত্রী আসল খেলা। নেত্রী হাসিন নির্বাচনের শেষের দিকে এসে বলেছিলেন আওয়ামী লীগকে আরও একবার ক্ষমতায় যাওয়া দরকার। সেদিন আমার বুকটা ওনার কথা ভরে উঠেছিল। ওনার এই কর্মের জন্যে ওনার বাবা কবরে থেকে ওনাকে সারক্ষন দোয়া করছেন কারন এই মেয়ে ওনার মুখ উজ্জল করেছে মহান আল্লাহ্‌তালার কাছে। তাই আমি বার বার আল্লাহ্‌র কাছে নেত্রী হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুসাস্থ কামনা করে আসছি। আল্লাহ্‌ আমাকে সহ সবাইকে আল্লাহ্‌র পৃথিবীতে আল্লাহ্‌র হুকুম অনুযায়ী চলার ক্ষমতা দান করুন। আমিন
Total Reply(0)
miraj ১৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ৯:৩২ এএম says : 0
chakri nita taka laga soro kora diea ses nkorla hoba
Total Reply(1)
Md.Ruhul Amin ১৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১১:১৬ এএম says : 4
PM taking like Father of nation(BD) .please create some example by punishing the criminals.Please publish the amount in t aka of all rich man in Bangladesh including the members of parliament.
Nannu chowhan ১৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ২:৩১ পিএম says : 1
Durnitir maddhome khomotai shomashin hole hoya durniti komano jaina borong durniti aro bare...
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন