আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি তাদের কর্মকাণ্ডে নিজেদের এলোমেলো ও লেজেগোবরে করে ফেলেছে। দলটি অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণেই ভেঙে যাবে। ঐক্যফ্রন্টও থাকবে না। ঐক্যফ্রন্ট একটা জগাখিচুড়ি। এই জগাখিচুড়ির ঐক্য থাকবে না, এটা সবাই জানে।
বিএনপির মধ্যে ভাঙনের শুরু ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে তাদের নেতারা ভিন্ন ভিন্ন সুরে কথা বলছেন। তাদের নিজেদের মধ্যেই ভাঙনের সুর। যাদের নিজের ঘরেই শত্রু, তাদের সঙ্গে শত্রুতা করার জন্য বাইরের শত্রুর কোনও প্রয়োজন আছে বলে কেউ মনে করে না।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘এলেঙ্গা-হাটিকমরুল-রংপুর মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ’ প্রকল্পের চুক্তিস্বাক্ষর শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
‘সরকার বিএনপিকে ভাঙার চক্রান্ত করছে’- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির যা পারফরম্যান্স আন্দোলনে ও নির্বাচনে, তাতে দলটি যদি ভাঙনের মুখে যায়, তাহলে তা তাদের ঘরোয়া কলহ-কোন্দলের জন্যই ভাঙবে। সরকারের এমন কী প্রয়োজন আছে যে নড়বড়ে, এলোমেলো বিএনপিকে ভেঙে দিতে হবে। আমরা তো একটা শক্তিশালী বিরোধী দল চাই।
তিনি জানান, ইতোমধ্যে জাতীয় পার্টির সিদ্ধান্ত হয়েছে, জাতীয় সংসদে তারা বিরোধী দলের ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে। বিএনপি না আসায় ইতোমধ্যে জাতীয় পার্টি অপজিশনের ভূমিকায় চলে গেছে। ১৪ দলের যারা সংসদে আছেন, তারাও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্ট্রং অপজিশনের ভূমিকায় থাকবেন। কাজেই বিরোধী দল থাকবেই। তারপরও যদি বিএনপি আসে তাহলে আরও কণ্ঠ যোগ হবে। অপজিশনের কণ্ঠ সোচ্চার হবে। সেটা গণতন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো তো।
এলেঙ্গা-রংপুর মহাসড়ক চার লেন
প্রায় বারো হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১৯০ কিলোমিটার দীর্ঘ এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর জাতীয় মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করা হচ্ছে। দ্বিতীয় সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্পের আওতায় এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক-এডিবি’র আর্থিক সহযোগিতায় এ কাজ বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে।
নির্মাণ কাজ শুরুর লক্ষ্যে গতকাল রাজধানীর হোটেল রেডিসনে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাথে নির্মাণ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ৬নং প্যাকেজের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এসময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তিকৃত প্যাকেজ-৬ এর আওতায় ৬৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্ত থেকে হাটিকুমরুল মোড় পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করা হবে। মহাসড়কের এ অংশে চুক্তির আওতায় ৭টি সেতু, ১৭টি কালভার্ট, কড্ডা এলাকায় ১ ফ্লাইওভার, ৫টি আন্ডারপাস এবং ১২টি বাস-বে নির্মাণ করা হবে। আগামী ৩৬ মাসের মধ্যে এ নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা রয়েছে।
তেরোটি প্যাকেজের আওতায় গুরুত্বপূর্ণ এ জাতীয় মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করা হবে। চারলেনের পাশাপাশি মহাসড়কের দু’পাশে ধীরগতির যানবাহনের জন্য মূল সড়ক থেকে সামান্য নিচুতে দুটি সংরক্ষিত লেনও থাকবে। চুক্তিপত্রে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের পক্ষে প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান এবং নির্মাণ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চীনের প্রতিষ্ঠান হিগো ও বাংলাদেশের মীর আকতার হোসেন লি. এর পক্ষে লিও শিওয়াও ম্যে স্বাক্ষর করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন