শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

চট্টগ্রাম বোর্ডে বেড়েছে পাসের হার ও জিপিএ-৫

প্রকাশের সময় : ১২ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আইয়ুব আলী : এবারের এসএসসি পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ও জিপিএ-৫ সংখ্যা দুটোই বেড়েছে। বেড়েছে শতভাগ পাস করা বিদ্যালয়ের সংখ্যাও।
গতকাল (বুধবার) চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের হলরুমে আনুষ্ঠানিকভাবে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেন বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মাহবুব হাসান। তিনি বলেন, গত বছর মাধ্যমিকে প্রথমবারের মতো সৃজনশীল চালু হওয়ায় তখন গণিতে ফলাফল খারাপ হয়েছিল। এবার তা কাটিয়ে উঠেছে শিক্ষার্থীরা। এবার গণিতের ফলাফল ভাল হওয়ায় সামগ্রিকভাবে গতবারের তুলনায় ফল ভাল হয়েছে। এছাড়া তিন পার্বত্য জেলায়ও ফল ভাল হয়েছে এটাও গণিতের কারণে।
চট্টগ্রাম বোর্ডে এবার পাসের হার ৯০ দশমিক ৪৪ শতাংশ। যা গতবারের চেয়ে ৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেশি। ২০১৫ সালে পাসের হার ছিল ৮২ দশমিক ৭৭ শতাংশ। গতবারের তুলনায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী বেড়েছে ৫৫০ জন। এবার চট্টগ্রাম বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ হাজার ৬৬৬ জন শিক্ষার্থী। গতবার এ সংখ্যা ছিল ৭ হাজার ১১৬।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ১৬৯টি কেন্দ্রে ৯৯৮টি বিদ্যালয়ের ১ লাখ ১৩ হাজার ২৮৭ জন পরীক্ষার্থী নিবন্ধন করে পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ লাখ ১৩ হাজার ৭০ জন। পাস করেছে ১ লাখ ২ হাজার ২৬১ জন। এর মধ্যে বিজ্ঞানে ২৩ হাজার ৬৪২, মানবিকে ২৫ হাজার ৭০০ ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পাস করেছে ৫২ হাজার ৯১৮ জন। বিজ্ঞান বিভাগের গড় পাসের হার ৯৫ দশমিক ৯১ শতাংশ, মানবিকে ৮৩ দশমিক ৮২ শতাংশ ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৯১ দশমিক ৬২ শতাংশ।
এবার চট্টগ্রাম বোর্ডে মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা ভাল ফলাফল করেছে। তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে পাসের হার সবচেয়ে বেশি বেড়েছে বান্দরবানে। কক্সবাজার জেলায় পাসের হার ৯১ দশমিক ২৭ শতাংশ, রাঙ্গামাটিতে ৮৪ শতাংশ, খাগড়াছড়িতে ৭৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ। চট্টগ্রাম বোর্ডে গত বছর শতভাগ পাস করা বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৪০ হলেও এবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৮। গত বছর একটি বিদ্যালয়ে পাসের হার শূন্য থাকলেও এবার এমন কোন বিদ্যালয় নেই।
জিপিএ-৫ এর ভিত্তিতে চট্টগ্রাম বোর্ডে প্রথম হয়েছে কলেজিয়েট স্কুল। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ৪০২ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৪০২ জনই পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৭৯ জন। দ্বিতীয় হয়েছে চট্টগ্রাম মুসলিম হাই স্কুল। ৪১৪ জন পরীক্ষায় অংশ করে ৪১৪ জনই পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৩৮ জন। তৃতীয় হয়েছে ডা. খাস্তগীর স্কুল। ৩১৯ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৩১৯ জনই পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৮০ জন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন