রাজশাহী ব্যুরো : রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে এবার এসএসসি পরীক্ষায় পাশের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তের সংখ্যা বেড়েছে। রাজশাহী বোডের পাশের হার ৯৫ দশমিক ৭০ শতাংশ। গত বছর যা ছিল ৯৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এ বছর পাশের হারের পাশাপাশি জিপিএ-৫ প্রাপ্তের সংখ্যাও বেড়েছে। এবার এ বোর্ডে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৭ হাজার ৫৯৪ পরীক্ষার্থী। গত বছর জিপিএ-৫-এর সংখ্যা ছিল ১৫ হাজার ৮৭৩ জন। গতকাল বুধবার দুপুরে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর সামসুল কালাম আজাদ আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
এ সময় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর সামসুল কালাম আজাদ জানান, এবার রাজশাহী বোর্ডে মোট দুই হাজার ৬১৩টি স্কুলের এক লাখ ৫২ হাজার ৭৮৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১ লাখ ৫২ হাজার ৫৬ জন এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে পাশ করেছে এক লাখ ৪৫ হাজার ৫১৮ জন।
এবারো পাশের হারে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে। এবার মেয়েদের পাশের হার ৯৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ এবং ছেলেদের পাশে হার ৯৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ। গতবার যা মেয়েদের ছিল ৯৫ দশমিক ০৯ শতাংশ এবং ৯৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ ছিল ছেলেদের। তবে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যার দিক থেকে এবারো এগিয়ে রয়েছে ছেলেরা। এবার ৯ হাজার ৪০৫ জন ছাত্র জিপিএ-৫ পেয়েছে এবং ছাত্রী পেয়েছে ৮ হাজার ১৮৯ জন। গত বছর জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ছাত্র সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৬১২ জন এবং ছাত্রী ৭ হাজার ২৬১ জন।
অদম্য ইচ্ছাশক্তির কারণে ওরা সফল হলো
নিজেদের অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর শিক্ষকদের সহানুভূতিশীল আচরণের কারণে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার এসএসসি পরীক্ষায় ১৬ জন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীর মধ্যে পনের জনই কৃতকার্য হয়েছে। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে চারজন। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ১৪ জনই ছিল দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। বাকি দু’জন শারীরিক প্রতিবন্ধী। জিপিএ প্রাপ্ত চার জনই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। জিপিএ-৫ প্রাপ্ত দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা হলোÑসিরাজগঞ্জের মাসুদ করিম, মনিরুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল আমিন এবং মোহাম্মদ আলী।
এদিকে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ৯ জন অর্জন করেছে ‘এ’ গ্রেড। তারা হলো, ভাঙ্গুড়ার হাসিবুল ইসলাম, বগুড়ার নাঈমা আক্তার, সলঙ্গার জান্নাতুল ফেরদৌস, রাজশাহীর পুঠিয়ার মনিরুজ্জামান, জয়পুরহাটের বিলকিস খাতুন, একই জেলার লিপসি খাতুন, পাবনার গোলাপ মলিক, একই জেলার হুমায়ন করিব এবং ইখতিয়ার মৃধা।
এছাড়া একজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী পেয়েছে জিপিএ-৩.৮৩। সে নওগাঁর পোরশা উপজেলার সিতানাথ বর্মন ও শোনেকা রানীর ছেলে অমৃত চন্দ্র বর্মণ।
এদিকে শারীরিক প্রতিবন্ধী দু’জনের মধ্যে রাজশাহীর ইজাজ আহমেদ পেয়েছে জিপিএ-৪.২২। আর বগুড়ার একেএম আকিব আল-জামী একটি বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন