শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ঘুমেই চিরবিদায়

জলঢাকায় শোকের মাতম

মো. আকতারুজ্জামান, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) থেকে | প্রকাশের সময় : ২৬ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:১০ এএম

চৌদ্দগ্রামে কয়লার ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে ১৩ শ্রমিকের মৃত্যু
৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি

বিপ্লব, শংকর চন্দ্র, সেলিম, মোরসালিন, প্রশান্ত রায়, তরুণ চন্দ্র রায় নীলফামারী জলঢাকার মীরগঞ্জ হাট বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। পারিবারিক আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে ও পড়ালেখার খরচ যোগাতে গত নভেম্বর মাসে চৌদ্দগ্রামে এসেছে ইটভাটায় কাজ করতে। সেখানে তারা শ্রমিক হিসেবে কমিশন ভিত্তিতে কাজ করছিল। 
চোখে ছিলো রঙিন স্বপ্ন টাকা পয়সা জোগার করে আবারো স্কুলে যাবে। পড়ালেখা করে প্রতিষ্ঠিত হয়ে মা-বাবার মুখে হাসি ফুটাবে কিন্তু তাদের সে স্বপ্ন চাপা পড়ে গেলো ইটভাটার কয়লাতে। প্রতিদিনের ন্যায় কাজ শেষ করে গত বৃহস্পতিবার রাতে তারা ঘুমিয়ে পড়ে। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস গতকাল শুক্রবার ভোর সোয়া পাঁচটায় কয়লায় ট্রাক উল্টে চাপা পড়ে এই ছয় স্কুলছাত্রসহ ১৩ জন নিহত হয়েছেন। শ্রমিকদের সবার বাড়ি নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলায়। 
গতকাল শুক্রবার ভোরে উপজেলার ছুপুয়া-নালঘর সড়কের পাশে নারায়নপুর গ্রামে অবস্থিত কাজী এন্ড কোং প্রকাশ মজুমদার ইটভাটায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মো. শহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুস সোবহান ভুঁইয়া হাসান, থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মাহফুজ, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক শাহজালাল মজুমদার, ঘোলপাশা ইউপি চেয়ারম্যান কাজী জাফরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর। জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার ভোর সোয়া পাঁচটায় কয়লাভর্তি ট্রাক (ঢাকামেট্রো-ট-১৬-০১১৪) থেকে ওই ইটভাটায় কয়লা নামার প্রস্তুতি নিচ্ছিল শ্রমিকরা। হঠাৎ করে ট্রাকটি উল্টে গেলে কয়লাগুলো ঘুমন্ত শ্রমিকদের মেসের উপর পড়ে। এতে ঘটনাস্থলে ১৩ শ্রমিক নিহত ও ৩ জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার শেষে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। নিহতরা হলেন- নীলফামারী জেলার জলঢাকার উপজেলার নিজপাড়া গ্রামের সুরেশ চন্দ্র রায়ের ছেলে রঞ্জিত চন্দ্র রায়, সুনীল চন্দ্র রায়ের ছেলে তপন চন্দ্র রায়, জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মো. সেলিম, রাম প্রসাদের ছেলে বিপ্লব, কিশোর চন্দ্র রায়ের ছেলে শংকর চন্দ্র রায়, অমল চন্দ্র রায়ের ছেলে দিপু চন্দ্র রায়, কামিক্ষার ছেলে অমিত চন্দ্র রায়, পাঠানপাড়া গ্রামের নুর আলমের ছেলে মোরসালিন, ফজলুল করিমের ছেলে মো. মাসুম, শিমুলবাড়ি গ্রামের মনোরঞ্জন চন্দ্র রায়, খোকা চন্দ্র রায়ের ছেলে মৃণাল চন্দ্র রায়, রাজবাড়ি গ্রামের খোকা চন্দ্র রায়ের ছেলে বিকাশ চন্দ্র রায়, ধলু চন্দ্র রায়ের ছেলে কলেক চন্দ্র রায়। 
ইটভাটার ম্যানেজার কামরুল হাসান জানান, নিহত শ্রমিকরা কমিশনে গত নভেম্বর মাসে এই ইটভাটায় কাজে যোগদান করে। বৃহস্পতিবার রাতে কাজ শেষে টিনশেটের মেসে ঘুমিয়ে পড়ে আর ভোর বেলায় কয়লা চাপা পড়ে ১৩ জন মারা যায়।
নিহতদের গ্রামের বাসিন্দা ওহিদুর ইসলাম লাবলু মুঠোফোনে জানান, নিহত শ্রমিকদের সকলে হদ্রদরিদ্্র। তাদের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. হামিদুর রহমান দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, আমার ইউনিয়নের ৪জন বাসিন্দা এই দুর্ঘটনায় মারা য়ায়। তাদের মৃত্যুতে আমি গভীর ভাবে মর্মাহত। প্রত্যকের পরিবার খুব গরীব। নিহদের পরিবারের আহাজারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে আসছে।
মীরগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান হুকুম আলী খান দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, এ ঘটনায় আমার এলাকায় ছয় স্কুল শিক্ষার্থীসহ নয়জন নিহত হয়েছে। তাদের মৃত্যুর সংবাদে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। 
এ ব্যাপারে চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার শেষে হাসপাতালে ভর্তি করি। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে ট্রাকের চালক ও হেলপার পলাতক রয়েছে। 
নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি 
কুমিল্লায় ট্রাক উল্টে ১৩ শ্রমিক নিহতের ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কাইজার মোহাম্মদ ফারাবীকে আহ্বায়ক করে গতকাল শুক্রবার এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দীপন দেবনাথ, চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল-মাহফুজ এবং কুমিল্লা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সহকারী পরিচালক রতন কুমার নাথ।

জলঢাকায় চলছে আহাজারি
নীলফামারী সংবাদদাতা জানান, কুমিল্লায় কয়লার ট্রাক উল্টে ঘুমন্ত অবস্থায় নিহত ১৩ শ্রমিকের বাড়িতে চলছে কান্না আর আহাজারি। তাদের সকলের বাড়ি নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার মীরগঞ্জ ইউনিয়নের পাঠানপাড়া ও শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের ঘুঘুমারী গ্রামে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সংসারের একমাত্র উপার্জনকারীকে হারিয়ে পরিবারের সদস্যরা দিশেহারা। এ খবর প্রকাশিত হলে জলঢাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। প্রাণ হারানো শ্রমিকদের বাড়িতে বাড়িতে ছুটে আসেন প্রতিবেশী ও স্বজনরা। পরিবারগুলোকে সহায়তার কথা জানিয়েছে নীলফামারী জেলা প্রশাসনও। 
নীলফামারী জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন শ্রমিকদের পরিবারের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানিয়ে বলেন, মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় আমরা মর্মাহত। নিহত শ্রমিকদের প্রতিটি পরিবারকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেয়া হবে। এরই মধ্যে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনকে নিহত শ্রমিকদের বাড়িতে পাঠানো হয়ছে বলেও জানান তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (20)
Lazy Fahmida ২৬ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৪ এএম says : 0
টিভিতে ব্রেকিং নিউজে দেখে বুকের ভিতরটা কেপে উঠছে। আল্লাহ যেনো এমন মৃত্যু কারো ভাগ্যে না রাখেন, শেষ মুহুর্তে যেনো প্রিয় মানুষগুলা পাশে থাকা অবস্থায় মৃত্যুটা হয়।
Total Reply(0)
M. Chowdhury ২৬ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৫ এএম says : 0
একটি রেল দুর্ঘটনার পরে ভারতের লাল বাহাদুর শাস্ত্রী একদা মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। অনেক কাল পরে একই কারণে রেলমন্ত্রিত্ব ছেড়েছিলেন মাধব রাও সিন্ধিয়া। নৈতিক দায়িত্ব বলে কোনও কথা আজকের রাজনীতির অভিধানে লেখাই নেই। এদেশেও রেল, সড়ক দুর্ঘটনা হয়, কিন্তু কেউ দায়িত্ব নেয় না, মন্ত্রী-আমলা ভারপ্রাপ্ত কারও শাস্তি হয়না। আজ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কয়লার ট্রাক উল্টে ইটভাটার ঘুমন্ত ১৩ জন হতভাগ্য শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। মন্ত্রী-সান্ত্রী গোছের কেউ হয়তো অকুস্থলে ফুটেজ খেতেও যাবেন না। তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব যাদের তাদের কোনও শাস্তিও হবে না। কারন তারা হতভাগ্য শ্রমিক এবং এদেশের গরীব শ্রেনীর মানুষ। কিস্যু হবেনা। দুর্ঘটনাটি কাগজ আর চ্যানেলের শিরোণাম থেকে সরে গেলে কেউ আর এ নিয়ে উচ্চবাচ্য করবে না! মলত্যাগ ছাড়া এদেশের কোনও দলের কোনও নেতা অথবা নেত্রী আর কিছু ত্যাগ করতে শেখেনি। আম-জনতার ভরসা কেবল আল্লাহ্!
Total Reply(0)
MD Momin ২৬ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৫ এএম says : 0
ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্নাইলাইহে রাজিউন,আল্লহ সবাইকে জান্নাত নসিব করুন।
Total Reply(0)
আনিকা নাওয়ার রহমান ২৬ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৬ এএম says : 0
একে তো মানুষ, তার উপর গরীব তাদের জীবনের কোন দাম নাই। প্রধানমন্ত্রীর ট্রাস্টে টাকা থাকলে হয়তো ২০ হাজার পাবেন।
Total Reply(0)
Liakot Hossain Sumon ২৬ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৬ এএম says : 0
বাংলাদেশে কাজের পরিবেশ কেমন এতেই বুজা যায়। কল কারখানা গুলো তে কাজের পরিবেশ নেই বললেই চলে আর সেফটি সম্পরকে না আছে শ্রমিকদের ধারনা না আছে কারখানা মালিকদের মাথা ব্যাথা। এ কারনেই বার বার এসব দুর্ঘটনারর শিকার হয় সাধারণ শ্রমিকরা
Total Reply(0)
H M Masud Rana ২৬ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৭ এএম says : 0
এদের নিয়ে কারে কোন শোক নাই দুঃখ নাই,,কারণ তারা তো মানুষ না,,শ্রমিক
Total Reply(0)
Musa Chowdhury ২৬ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৭ এএম says : 0
দেশে কারখানা, কোম্পানীতে কোন কাজের পরিবেশ নেই। শ্রমিকদের কোন নিরপত্তা নেই। তারপর কিছু কারখানা শ্রমিকদের থাকার জায়গা দেয়, যেখানে মানুষের পক্ষে থাকা খাওয়া, ঘুমানো প্রায় অসম্ভব। এক কথায় দেশে কোন রকম, কোন কাজে, বা রাস্তায় জনসাধারণের সাধারণ মৃত্যুর কোন গ্যারান্টি নেই। এটাও একটা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। এখন প্রতি লাশের দাম হবে ২০ হাজার টাকা।
Total Reply(0)
Nazim Uddin Nazim ২৬ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৭ এএম says : 0
বাঙ্গালীর জীবনের দাম কত সস্তা! ১৫ প্রাণের দায় কে নিবে? জবাবদিহিতা কে নেবে?
Total Reply(0)
Gazi Parvez ২৬ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৭ এএম says : 0
আমাদের এলাকার পাশেই ঘটনাটি। মর্মান্তিক । ইতিহাসে কখনো এরকম দুর্ঘটনা দেখিনি আমরা। আল্লাহ সবাইকে জান্নাত দান করুক, আমিন।
Total Reply(0)
Saif Al Bakir ২৬ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৮ এএম says : 0
ইলিয়াস কাঞ্চন নিরাপদ সড়ক চাই করতে করতে জিবন প্রায় শেষের দিকে ......আফসোস এই জাতির জন্য !! তারা নিরাপদ বা সেফটি কি জিনিস বুঝেই না আর যারা বুঝে তারাই ভেজাল, ড্রাইভার ভেজাল,গাড়ি ভেজাল, রোডে ভেজাল , ড্রাইভার যে মদ খেয়ে গাড়ি চালাইছে সেই মদেও ভেজাল যাবা কোথায় মরতে তো হবেই
Total Reply(0)
M A Tahir Khan ২৬ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৮ এএম says : 0
আমাদের দেশে শ্রমিকের জীবনের মূল্য নাই! এখন সরকার থেকে হতো ২০-২৫ হাজার টাকা করে ধরিয়ে দেবে! না হবে ইট ভাটার মালিকের বিচার, না হবে ট্রাক চালকের বিচার
Total Reply(0)
Amadul Haque ২৬ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৮ এএম says : 0
সমবেদনা জানানো ছাড়া আমাদের আর কিছুই করার নেই,তবে সরকারের কিন্তু অনেক কিছু করার আছে,সরকার চাইলে ভুক্তভোগী পরিবারকে কিছু টাকা অনুদান দিতে পারে যা হবে এসকল পরিবারের জন্য আশির্বাদ।
Total Reply(0)
মোঃ সোহেল ২৬ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৮ এএম says : 0
সরকার ইট ভাটা, কলকারখানা, বড় বড় দালান প্রাসাদ তৈরিকরা, ইন্টাড্রিজ কাজ করা, রাস্তাঘাট, ফ্রাইওভার সেতু তৈরিকরা, কথ কষ্ট করে জীবনের বাজি রেখে শ্রমিকরা কাজ করে তৈইরি করে দেয় আমাদের জন্য, অতছ এই শ্রমিকরাই বন্ছিত হয় তাদের নেয্য মজুরী থেকে, এদের টকিয়ে বড় বড় পকেটের জামা গায় দিয়ে গুড়ে ভেরায় এসি ওলা গাড়িতে, আমার মনে হয় জন্মলগ্ন কাল থেকেই শ্রমিকরাই বেশি টকেছে, যার হিসাব এই দুনিয়াতে হবে বলে মনে হয় না..।
Total Reply(0)
হাসিবুর রহমান ২৬ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৯ এএম says : 0
নিম্ন আয়ের মানুষরা সাধারণত স্বল্প ভাড়ায় ভ্রমণের জন্য ট্রাকে আরোহন করেন। মালবাহী গাড়ি আনলোড করার পর যখন নিজ এলাকায় ফেরত যায় তখনই অল্প ভাড়ায় এসব মানুষ ট্রাকে উঠেন।
Total Reply(0)
Hasan Mahmud ২৬ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৯ এএম says : 0
অনেক খারাপ লাগলো খবরটা দেখার পর।। তাদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই। আমি আসা করি শ্রমিকদের পরিবারের পাশে সরকারের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিবেন।।
Total Reply(0)
Mirza Arifur Rahman ২৬ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৯ এএম says : 0
কয়লার ট্রাক উপড়ে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু- স্বজনদের সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা জানা নেই। ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত বিচার করা হোক।
Total Reply(0)
Ahmed Jubayer ২৬ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৯ এএম says : 0
আমি জানিনা এদের পরিবারের বিষয়ে সরকার আর ইট ভাটার মালিক কি ব্যবস্থা নিবে। আল্লাহ সবাইকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন। আমিন
Total Reply(0)
Jasim Uddin ২৬ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:০০ এএম says : 0
হতদরিদ্র পরিবারের উপার্জনকারী মেশিন অচল হয়ে গেল! আর মেশিন ফিরে আসবে না, আল্লাহ, ওদের পরিবার না জানি কত অসহায় আর অতল গহবরের ভিতর চলে গেল! আমি খুব কষ্ট পাচ্ছি। এদের খবর কেউ নিবেনা!
Total Reply(0)
Engr Tahmid Rony Khan ২৬ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:০০ এএম says : 0
এখন এই মালিক কে চাপ দিয়ে।স্থানীয় প্রশাসননের কাজ হবে নিহতদের পরিবারের জন্য কমপক্ষে ৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপুরন আদায় করে দেওয়া। কাজের আগে জীবনের নিরাপত্তা আগে।
Total Reply(0)
Mizanur Rahman ২৬ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:০০ এএম says : 0
ইটভাটায় কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা জনিত অনেক সমস্যা এখানে কাজ করার মত কোনো সুষ্ঠ বেবস্থা নেওয়া হয় না। তাই প্রথমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন