পাইলটের গাফিলতির কারণেই নেপালে ইউএস বাংলা বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে গঠিত নেপালি তদন্ত কমিশনের রিপোর্ট।
গত রোববার নেপালের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের কাছে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করা হয়েছে। ভারতের নয়াদিল্লিভিত্তিক সংবাদ সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনালের (এএনআই) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
খবরে বলা হয়, তদন্ত কমিশন নেপালের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের কাছে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটির ওই বিবৃতিতে বলা হয়, তদন্ত কমিশন এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, বিমানটির নিয়ন্ত্রণকারীর অপারগতা ও ক্রু সদস্যদের পরিস্থিতিগত সচেতনতার অভাবেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
তদন্ত কমিশনের বিবৃতির মাধ্যমে আরো জানানো হয়েছে, দেশের অভ্যন্তরে ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে কোম্পানির ধুমপান নিষিদ্ধের নিয়ম আছে। কিন্তু কামিশনের হাতে আসা তথ্যমতে বিমানটির পাইলট ইন কমান্ড (পিআইসি) ছিলেন একজন ধুমপায়ী। ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (সিভিআর) থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিমান চলাকালীন ককপিটে বসে সিগারেট খাচ্ছিলেন তিনি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিয়ন্ত্রণকারীর অপারগতা ও ক্রু সদস্যদের পরিস্থিতিগত সচেতনতার অভাবেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। আর সে কারণেই বিমানটি তার সঠিক গন্তব্যে যেতে না পেরে রানওয়েতে নামার জন্য অনিরাপদ ও ঝুঁকিপূর্ণ পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়। কমিটি বলছে, বিমানটি স্বাভাবিক নিয়মে রানওয়ে ছোঁয়ার পথে যেতে দেখা যায়নি। আর সে কারণেই বিমানটি চরম পর্যায়ে এসে রানওয়ে ছোঁয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। তাছাড়া বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের যে ত্রুটি ছিল সেটাও উঠে এসেছে তদন্ত প্রতিবেদনে।
এদিকে নেপালি তদন্ত কমিশনের রিপোর্ট অস্বীকার করে ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়ার জন্যই এ ধরনের তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১২ মার্চ ঢাকা থেকে নেপালের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস বাংলার একটি বিমান নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয়ে ৫১ জন আরোহীর মৃত্যু হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন