শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

কক্সবাজারে ৫০ একর সরকারী জমি উদ্ধার, একজন গ্রেপ্তার

পাহাড় কাটা ও অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৬:১৪ পিএম

কক্সবাজার শহরে পাহাড় কাটা ও বেদখলে যাওয়া সরকারি জমি উদ্ধারে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে দুর্ণীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানের দ্বিতীয় দিন শহরের কলাতলীস্থ নতুন জেল গেইট এলাকায় সরকারি জমিতে পাহাড় কেটে গড়ে উঠা ৫০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। উচ্ছেদকৃত স্থাপনার মধ্যে বেশ কয়েকটি বহুতল ভবন ও পাকা স্থায়ী ভবনও রয়েছে।
 
সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে বিকাল পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালিত হয়। ওই সময় সরকারি জমি দখল ও পাহাড় কাটার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মোহাম্মদ জোবায়ের নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
 
আটক মোহাম্মদ জোবায়ের ওই এলাকার আজিজুর রহমানের ছেলে বলে জানাগেছে। দুর্ণীতি দমন কমিশনের (দুদক) নেতৃত্বে পরিচালিত এই অভিযানে সহায়তা করে জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, পুলিশ ও র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।
দুদক সূত্র জানিয়েছেন, সংস্থার অভিযোগ কেন্দ্রে অভিযোগ আসার পর তাদের তত্ত্বাবধানে পাহাড় কাটা ও সরকারি জমি দখলের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
দুদকের এনফোর্সমেন্ট অভিযানের সমন্বয়কারি দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে পরিবেশবিধ্বংসী ও সরকারি জমি অবৈধভাবে দখলে নেয়ার মতো তৎপরতা প্রতিহত করতে কঠোর নির্দেশ দেন। তারই প্রেক্ষিতে সোমবার সকালে অভিযান শুরু করে বিকালে শেষ হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন দুদকের চট্টগাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক লুৎফুল কবির চন্দন, কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সেলিম শেখ ও পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক কামরুল হাসান।
অভিযানের নেতৃত্ব দেয়া দুদকের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক লুৎফুল কবির চন্দন বলেন, ‘দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরীর নির্দেশে পরিচালিত যৌথ এই অভিযানে কক্সবাজার শহরে পাহাড় কাটা বন্ধের পাশাপাশি প্রায় ৫০ একর সরকারি জমি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত একজনকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি পেছনে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
 
এ প্রসঙ্গে দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, ‘পাহাড় কাটা, সরকারি জমি অবৈধভাবে দখলে নেয়ার মতো পরিবেশবিধ্বংসী ও আইন বিরোধী কাজের প্রধান কারণ দুর্ণীতি। প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের নজরদারির অভাবে এই ধ্বংসযজ্ঞ ঘটছে।’
তিনি বলেন, ‘দুদক পাহাড় কাটার ঘটনার পেছনে দুর্ণীতির উৎস অনুসন্ধান ও তদন্ত করবে। দায়ী কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলেও তনি জোর দিয়ে বলেন।
 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন