পৃথিবীতে কোনো বড় ঘটনাই হঠাৎ করে, রাতারাতি ঘটে না। ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন সম্পর্কেও একই কথা বলা চলে। যে আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাকে ১৯৪৭ সালে সদ্য-স্বাধীন পাকিস্তান রাষ্ট্রের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার লক্ষ্যে আন্দোলন পরিচালিত হয়, সেই আন্দোলনকেই বুঝানো হয়ে থাকে।
এখানে উল্লেখযোগ্য যে, ১৯৪৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশ যদি সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটেনের পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে অবিভক্তভাবে মুক্তি পেতো, তা হলে অবিভক্ত ভারতে বসবাসকারী জনগণের মধ্যে হিন্দীভাষীদের বিপুল সংখ্যাধিক্যের কারণে হিন্দীর বাইরে অন্য কোনো ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি তোলা সম্ভবপরই হতো না। কিন্তু উপমহাদেশে ভারত ও পাকিস্তান নামের দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের উদ্ভব হওয়ায় পরিস্থিতি অন্যরকম হয়ে দাঁড়ায়। উপমহাদেশের পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় পাকিস্তান নামের একটি স্বতন্ত্র এবং ভারত নামের আরেকটি স্বতন্ত্র স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ব্রিটিশ-শাসিত ভারতবর্ষ স্বাধীন হয় বলে পাকিস্তানের দুটি ভৌগোলিকভাবে বিচ্ছিন্ন অঞ্চলের মধ্যে আন্তঃ আঞ্চলিক সম্পর্ক কিছুটা জটিল হয়ে দাঁড়ায়।
প্রতিবেশী রাষ্ট্র স্বাধীন ভারতের রাষ্ট্রভাষা যে হিন্দী হবে এ ব্যাপারে পূর্বাহ্নেই তাদের সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা প্রশ্নে আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ার আগেই পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয়ে যাওয়ায় এ সমস্যা অমীমাংসিতই থেকে যায়। পাকিস্তান রাষ্ট্রের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের অধিকাংশ ছিলেন অবাঙ্গালী ও উর্দুভাষী। তাদের ইচ্ছাক্রমে রাষ্ট্রভাষা প্রশ্নে কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত হওয়ার পূর্বেই উর্দুকে নতুন রাষ্ট্রের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ধরে নিয়ে ব্রিটিশ শাসন আমলের প্রচলিত রীতি অনুসারে পোস্ট কার্ড, এনভেলাপ মানি অর্ডার ফর্ম প্রভৃতি নিত্য প্রয়োজনীয়কালে ইংরেজির পাশাপাশি শুধু উর্দু ব্যবহার শুরু করা হয়। এতে পূর্ববঙ্গের সাধারণ শিক্ষিত সমাজের মধ্যে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়।
এই প্রশ্নের প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্টি হয় ভাষা আন্দোলন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের তরুণ শিক্ষক অধ্যাপক আবুল কাসেম ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর পর নতুন রাষ্ট্রের সাংস্কৃতিক ভিত্তি জোরদার করার লক্ষ্যে ঐ বছরের ১ সেপ্টেম্বর তমদ্দুন মজলিস নামের একটি সাংস্কৃতিক সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। ঐ সংগঠনের পক্ষ থেকে ১৯৪৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা বাংলা, না উর্দু’ শীর্ষক একখানি পুস্তিকা প্রকাশের মাধ্যমে ভাষা আন্দোলনের সূচনা করা হয়। ঐ পুস্তিকায় তিনটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। একটি অধ্যাপক আবুল কাসেমের। অন্য দুটি প্রবন্ধের লেখক ছিলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. কাজী মোতাহার হোসেন এবং বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও সাংবাদিক আবুল মনসুর আহমদ।
অধ্যাপক আবুল কাসেম তাঁর প্রবন্ধে ভাষা আন্দোলনের মূল দাবি তুলে ধরেন এভাবে: (এক) পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষা ও অফিস-আদালতের মাধ্যম হবে বাংলা ভাষা। (দুই) কেন্দ্রীয় পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে দুটি: বাংলা ও উর্দু। (তিন) আন্তর্জাতিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষার সাহায্য নেয়া হবে।
সমগ্র ভাষা আন্দোলন পরিচালিত হয় এইসব দাবির ভিত্তিতে। এসব দাবি ছিল আন্দোলনকারীদের সহজ-সরল মানসিকতার অভিব্যক্তি। আর তাঁরা সবাই পাকিস্তান আন্দোলনের একনিষ্ঠ কর্মী ও সমর্থক ছিলেন বলেই তাঁদের দাবির মধ্যে তাদের সহজ-সরল অভিব্যক্তি প্রকাশ পাওয়াটা ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু এসব সত্তে¡ও ভাষা আন্দোলন নিয়ে কম অপপ্রচার চালানো হয়নি এদেশে।
ভাষা আন্দোলন বাহান্ন সালের একুশে ফেব্রুয়ারির রক্তাক্ত ঘটনার পর এখন অনেকেই ভাষা আন্দোলন বলতে শুধু একুশে ফেব্রুয়ারির রক্তাক্ত ঘটনার কথাই বুঝাতে চান। অথচ ভাষা আন্দোলন শুরু হয় সাতচল্লিশ সালের ১৪ আগস্ট স্বতন্ত্র স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর পরই। ঐ বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর তমদ্দুন মজলিস নামের সাংস্কৃতিক সংস্থা কর্তৃক ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু’ শীর্ষক পুস্তিকা প্রকাশের মাধ্যমে। এর মধ্যে কোনো উগ্রতার স্থান ছিল না। ভাষা আন্দোলনের সমর্থকরা সবাই ছিলেন পাকিস্তান আন্দোলনের সমর্থক কর্মী। তারা ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পক্ষপাতী ছিলেন। তৎকালীন সদ্যপ্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের কোনো ক্ষতি হোক তা তারা চাননি, কারণ তারা নিজেরাই ছিলেন পাকিস্তান আন্দোলনের সমর্থক এবং কর্মী হিসেবে পাকিস্তান রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা।
অথচ এই ভাষা আন্দোলন নিয়ে কম অপপ্রচার চালানো হয়নি। এক শ্রেণির মুসলিম লীগের গণবিচ্ছিন্ন নেতা নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে এমন অপপ্রচার প্রায়ই চালাতেন যে, ভাষা আন্দোলনের পেছনে রয়েছে ভারত। এ কথা সত্য যে, ভারতীয় নেতারা কখনো ব্রিটিশ রাজ্যেত্বের অবসানে উপমহাদেশে ভারত ছাড়া কোনো মুসলিম শক্তি যেন স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে সফল না হয় সেটা মনেপ্রাণে চাইতেন। কিন্তু ভাষা আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ পাকিস্তান আন্দোলনের কর্মী ও সমর্থক ছিলেন বলে তারা নিজেদের অর্জন স্বাধীন পাকিস্তান রাষ্ট্রের স্বাধীন সার্বভৌম সত্ত্বাকে ক্ষুণ্ন ও দুর্বল করার কথা কখনো কল্পনাও করতে পারতেন না।
ভাষা আন্দোলনের বিরুদ্ধে কত প্রকারের অবিশ্বাস্য অপপ্রচার চালানো হতো তার নমুনা উল্লেখ করা যেতে পারে। ভাষা আন্দোলন বললে পরবর্তীকালে অনেকে ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির রক্তাক্ত ঘটনা স্মরণ করতে এতটাই অভ্যস্ত যে, এর আগে ১৯৪৮ সালেও যে একবার রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে বিরাট সফল অভ্যুত্থান হয়েছিল তা তারা কল্পনাও করতে পারেন না। অথচ সে সময়কার আন্দোলনের ফলে সরকার আন্দোলনকারীদের কাছে নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছিল এবং রাষ্ট্রভাষা বাংলা সমর্থকদের সকল দাবি মেনে নিয়ে তাদের সাথে চুক্তি স্বাক্ষরেও বাধ্য হয়েছিল।
সে ১৯৪৮ সালের কথা। তখন ভাষা আন্দোলনে তমদ্দুন মজলিস আর একা নয়। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি জন্ম হয় পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্র লীগ নামের এক ছাত্র সংগঠনের। জন্মের পর থেকেই এই প্রতিষ্ঠান তমদ্দুন মজলিসসূচিত ভাষা আন্দোলনের আন্তরিক সমর্থক হয়ে দাঁড়ায়। এই প্রতিষ্ঠানের জন্মের পূর্বে ভাষা সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন তমদ্দুন মজলিসের অন্যতম সদস্য অধ্যাপক নূরুল হক ভূঁইয়া। এই ছাত্র সংগঠন ভাষা আন্দোলনে অংশ গ্রহণ শুরুর পর সংগ্রাম পরিষদ পুনর্গঠিত হয় উভয় প্রতিষ্ঠানের সাধারণ সদস্য জনাব শামসুল আলমকে আহবায়ক করে। এ সময় করাচীতে অনুষ্ঠানরত পাকিস্তান গণপরিষদের কংগ্রেস দলীয় সদস্য বাবু ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত গণপরিদদে ইংরেজি ও উর্দুর পাশাপাশি পাকিস্তানের মেজরিটি জনগোষ্ঠির মাতৃভাষা বাংলাতে কথা বলার দাবি জানালে সে দাবি প্রত্যাখ্যাত হয়। এই ঘটনার বিরুদ্ধে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানের সর্বত্র ধর্মঘট পালিত হয়।
রেলওয়ে কর্মচারী লীগের সাথে তমদ্দুন মজলিসের সুসম্পর্ক থাকার সুবাদে ১১ মার্চ চট্টগ্রাম থেকে কোনো ট্রেন সেদিন ঢাকার উদ্দেশে রওনা হতেই পারেনি। ঢাকার পরিস্থিতি ছিল আরও ভয়াবহ। সেদিন ঢাকা সেক্রেটারিয়েটের চার দিকে ভোর থেকে অবস্থান ধর্মঘট চলার কারণে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী সেক্রেটারিয়েটে অফিস করতেই যেতে পারেননি। তখন সেক্রেটারিয়েটের চার দিকে পাকা দেয়াল ছিল না। ছিল কাঁটাতারের বেড়া। অনেকে সেই কাঁটাতারের বেড়া ডিঙ্গিয়ে ভিতরে উপস্থিত সচিব এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করে বাংলাভাষাকে রাষ্ট্রভাষা না করা হলে প্রতিবাদে তাদের চাকরি থেকে ইস্তফা দানে রাজী করিয়ে আসেন।
অবস্থান ধর্মঘটে অংশগ্রহণকারী অনেককে পুলিশ লাঠিচার্জ করে, অনেককে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের লাঠিচার্জ ও গ্রেপ্তারের খবর শহরের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে গেলে, জনরোষ আরও বৃদ্ধি পায়। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিবাদী মানুষেরা সেক্রেটারিয়েটের চারপাশে ভিড় জমালে ঐ এলাকায় বিক্ষুব্ধ জনসমুদ্রের মতো সৃষ্টি হয়ে যায়। এরূপ পরিস্থিতি ১১ মার্চ থেকে শুরু করে ১২, ১৩, ১৪, ১৫ মার্চ পর্যন্ত চলতে থাকায় সেক্রেটারিয়েট এলাকাসহ সমগ্র ঢাকা মহানগরীতে একটা অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়ে পড়ে।
এ পরিস্থিতি দেখে তদানীন্তন প্রাদেশিক চিফ মিনিস্টার খাজা নাজিমুদ্দিন ভয় পেয়ে যান এবং রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের দেয়া শর্তসমূহে রাজী হয়ে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তি স্বাক্ষরের পর অবস্থা আপাতত শান্ত হয়ে যায়। চিফ মিনিস্টার খাজা নাজিমুদ্দিন আসলে ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন এ কারণে যে, কয়েকদিনের মধ্যে কায়েদে আজম জিন্নাহ সাহেবের ঢাকা আসার কথা। তিনি ঢাকায় এসে ঢাকার এলোমেলো অবস্থা দেখলে নিশ্চয়ই চিফ মিনিস্টারের প্রতি খুশি হবার কথা নয়। শুধু মাত্র কায়েদে আজমের কথা চিন্তা করে নাজিমুদ্দিন এই চুক্তি স্বাক্ষরে রাজী হয়েছিলেন। রাষ্ট্রভাষা প্রশ্নে তিনি আন্তরিক ছিলেন না। আন্তরিকতার অভাবের কুফল বুঝা যায় ১৯৫২ সালে তিনি যখন সমগ্র পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় প্রধানমন্ত্রী হন, তখন তিনি ঢাকার পল্টন ময়দানে এসে উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা ঘোষণা করেন। এর সুফল পরবর্তী ইতিহাস বা এই মুহূর্তে বলা নিষ্প্র্রয়োজন।
তবে এদেশের মানুষ রাষ্ট্রভাষা প্রশ্নে কোনোদিন সামান্যতম দুর্বলতার পরিচয় দান করেনি। ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চের সফল কর্মসূচির পর ১৯৪৮ থেকে ১৯৫১ পর্যন্ত প্রতি বছর ১১ মার্চ রাষ্ট্রভাষা দিবস পালন করে সংশ্লিষ্ট সকল সরকারকে তারা জানিয়ে দেয় যে, বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রশ্নে তারা এক চুলও টলতে রাজী নন।
এদেশের জনগণ যেমন জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নে কোনোদিন এক পা-ও পিছাতে রাজী নয়, তেমনি রাজী নয় বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার প্রশ্নে। তাই বাস্তবে দেখা যায়, এদেশের মানুষ বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রশ্নে তাদের দাবি সরকার কর্তৃক স্বীকৃত হওয়ার প্রশ্নে কোনো সুস্পষ্ট প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত সাংবিধানিক কোনো সংশোধনে তারা রাজী হয়নি। অথচ বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার প্রশ্নে জনগণের সাথে কত চতুরতার পথই না অবলম্বন করা হয়েছে। আমাদের এখনও মনে পড়ে, এদেশের মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে ব্যবহার করে বাংলা ভাষার দাবি থেকে তাদের বিচ্যুত করার লক্ষ্যে একবার বাংলা ভাষার হরফ বদলিয়ে আরবি (বা উর্দু) হরফে বাংলা লেখার প্রকল্প চালু করে সরকার। কিন্তু তারপরও বাংলা ভাষার দাবি থেকে তাদের সরাতে পারেনি।
একবার চেষ্টা হয়েছিল বাংলা ভাষাকেই ইসলাম বিরোধী ঘোষণা করে ভাষা আন্দোলনের পক্ষ থেকে তাদের বিচ্যুত করার। কিন্তু সে অপপ্রয়াসও ব্যর্থ হয়। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের সমর্থনকারীরা পবিত্র কোরআন শরীফের সূরা ইবরাহিম-এর ৪ নং আয়াত উল্লেখ করেন, যেখানে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলা হয়েছে ‘অমা আরছালনা মিন রাছুলিন ইল্লা বিলিছানে কাউমিহি লেউইবাইয়েনা লাহুম’। অর্থাৎ আমরা কোনো রাসূলকে পাঠাইনি তার মাতৃভাষায় ব্যতীত, যাতে তারা তাদের বক্তব্য সকলের মধ্যে ব্যাখ্যা করতে পারেন। এরপর ভাষা আন্দোলন যে ইসলামের সমর্থন লাভে ধন্য হয়, এ বিষয়ে কোনো সংশয় থাকার কথা নয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন