মানব পাচারকারীদের খপ্পরে পড়া ১৯৩ জন বাংলাদেশিকে ইন্দোনেশিয়ার একটি গুদামঘর থেকে উদ্ধার করেছে সেদেশের পুলিশ। মানবপাচারকারীরা ওই বাংলাদেশিদেরকে মালয়েশিয়ায় নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ওই গুদামঘরে আটকে রেখেছিল। মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে তাদেরকে বন্দিদশা থেকে উদ্ধার করে ইন্দোনেশীয় পুলিশ। উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশিরা শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন। তাদেরকে দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। বৃহস্পতিবার ইন্দোনেশিয়ার এক অভিবাসন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এসব কথা জানিয়েছে।
উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশিদেরকে অভিবাসন আটক কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে
সুমাত্রা দ্বীপের মেদান এলাকায় ওই গুদামঘরটির অবস্থান। ভবনটির আশেপাশে বসবাসরতরা হঠাৎ করে সেখান থেকে সন্দেহজনক শব্দ শুনতে পান। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন তারা। পরে ইন্দোনেশীয় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৯৩ জন বাংলাদেশিকে উদ্ধার করে। উত্তর সুমাত্রার অভিবাসন বিভাগের প্রধান ফেরি মোনাং সিহিতে টেলিফোনে রয়টার্সকে জানান, ওই ১৯৩ বাংলাদেশি পর্যটক হিসেবে ইন্দোনেশিয়ায় প্রবেশ করেছিল। কাজের সন্ধানে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার ইচ্ছে ছিল তাদের। ফেরি বলেন, ‘তারা (বাংলাদেশিরা) মানবপাচারের শিকার হয়েছে এবং তাদেরকে এখানে প্রলোভন দেখানো হয়েছে।’ তিনি আরও জানান, উদ্ধারের পর ওই বাংলাদেশিদেরকে অভিবাসন আটক কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে এবং সেখান থেকে তাদেরকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে।
ইন্দোনেশিয়ার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ত্রিবুন মেদানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মাহবুব নামের ৩৯ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি জানান, তাদের ওই দলটির কাউকে কাউকে তিন মাস ধরে আটকে রাখা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘আমাদের সবাইকে ধোঁকা দেওয়া হয়েছে। আমাদের মালয়েশিয়ায় যাওয়ার কথা ছিল। বাংলাদেশ থেকে বালিতে আসি আমরা এরপর চারদিনের বাস ভ্রমণ শেষে এখানে এসে পৌঁছাই।’
রয়টার্স জানিয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশি কিংবা ইন্দোনেশীয় পুলিশের বক্তব্য জানতে পারেনি তারা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন