শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

আল্লাহ-রাসূল (সা.)কে নিয়ে কটূক্তি নারায়ণগঞ্জে শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে গণধোলাই

প্রকাশের সময় : ১৪ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জ বন্দরে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত করে মন্তব্য এবং শিক্ষার্থীকে প্রহার করায় ব্যাপক জনরোষের পড়ে গণধোলাইয়ের শিকার হয়ে পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় উত্তেজিত জনতা ওই শিক্ষককে গণধোলাই দেয়। পুলিশ তাকে উদ্ধার করলেও কয়েক হাজার বিক্ষুদ্ধ জনতা তাদের ঘেরাও করে রাখে। বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী হাবীব, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ আতাউর রহমান মুকুল, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রশিদ, জেলা জাতীয়পার্টির সভাপতি আবুল জাহের, কলাগাছিয়া ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান বন্দর থানার ওসি আবুল কালামসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তরা উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করতে ব্যর্থ হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দাঙ্গা পুলিশ ডাকা হয়। পরে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন। অভিযুক্ত শিক্ষককে পুলিশ গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। এমপি বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ বিলুপ্ত করে ইউএনওর মাধ্যমে নতুন করে পরিচালনা পরিষদ গঠনের নির্দেশ দেন।
এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থী সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ মে বন্দরের কল্যান্দি এলাকার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র রিফাতকে প্রহার করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত। সে মার খেয়ে আল্লাহ রাসুলের নাম বলে উঠলে প্রধান শিক্ষক তা নিয়ে কটুক্তি করে বলেন কিসের ইসলাম, তোদের আল্লাহ-নবী নাপাক তোরা মুসলমানরাও নাপাক। বেধরক পিটুনিতে ছাত্র রিফাত অচেতন হয়ে পড়ে। পরে রিফাতের মা রিনা বেগম তার ছেলেকে এভাবে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় লিখিত ভাবে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদকে অবহিত করেন এবং বিচার দাবি করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল শুক্রবার বিষয়টি সুরাহার জন্য বিদ্যালয়ে সভা ও সালিশ বৈঠক বসেন ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা। ছাত্র রিফাত তার বক্তব্যে ধর্ম নিয়ে শিক্ষকের কটুক্তির কথা শুনে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং সভা চলাকালে ব্যাপক জনরোষ তৈরি হয়। উত্তেজিত এলাকাবাসী প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানায় ব্যাপক গণধোলাই দেয়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ এসে শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে উদ্ধার করলেও উত্তেজিত জনতা প্রায় ৬ ঘন্টা পুলিশ ও শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি আবুল কালাম বলেন, স্কুলের ছাত্রকে পিটিয়ে আহত ও ধর্মী অনুভুতিতে আঘাত হানায় উত্তেজিত জনতা স্কুলের প্রধান শিক্ষককে গণধোলাই দিয়েছে। পুলিশ আসার পর তাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়ার পর সে জনরোষ থেকে রক্ষা পায়। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন