অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বিশ্বব্যাপী আর্থিক মেসেজিং নেটওয়ার্ক সুইফট জানিয়েছে, গত ফেব্রুয়ারিতে নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ থেকে যেভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ চুরি হয়েছিল, ঠিক একই ধরনের আরো একটি সাইবার হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার সুইফটের মুখপাত্র সর্বশেষ ওই হ্যাকিং ঘটনার কথা জানালেও হামলার শিকার ব্যাংকের নাম ও খোয়া যাওয়া অর্থের পরিমাণ জানাননি। গত ৫ ফেব্রুয়ারি ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। এর বড় অংশই চলে গেছে ফিলিপাইনের বিভিন্ন ক্যাসিনোতে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, কোনো ব্যাংকের নাম উল্লেখ না করে সুইফটের মুখপাত্র নাতাসা ডি তেরান জানিয়েছেন, এবার হ্যাকারদের টার্গেট ছিল একটি কমার্শিয়াল ব্যাংক। তবে কত টাকা চুরি হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে সেটা জানানো হয়নি।
বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরির পরই সুইফট জানিয়েছিল এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, কিন্তু তাদের মূল মেসেজিং সিস্টেম অক্ষত। কিন্তু দ্বিতীয় এই হামলার ঘটনা নিশ্চিতভাবেই বিশ্ব আর্থিক ব্যবস্থার নেটওয়ার্ক নিরাপত্তার উপর আস্থা আরো কমাবে বলে বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন। বিবৃতিতে সুইফট বলেছে- নির্দিষ্ট কর্মক্ষম এবং অত্যাধুনিক জ্ঞান সম্পন্নরা গভীরভাবে এটি (হ্যাকিং) নিয়ন্ত্রণ করছে। ব্যাংকের ভেতরের কেউ বা বাইরের-ভেতরের উভয়ের সমন্বয়ে এটি হচ্ছে।
সুইফট বলছে, দ্বিতীয় ক্ষেত্রে হামলাকারীরা একটি ‘ট্রোজান পিডিএফ রিডার’ ব্যবহার করেছিল যাতে তাদের পিডিএফ রিপোর্ট নিপূণভাবে লুকাতে সাহায্য করে। বেলজিয়ামভিত্তিক এই সেবাদান প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের ১১ হাজার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে সুইফট সুবিধা দেয়। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্বিতীয় এই ঘটনা প্রমাণ করছে, বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরির ঘটনা কোন একক ঘটনা ছিল না। কিন্তু ওই ঘটনাটি ছিল ব্যাপকতর। দ্বিতীয় সাইবার হামলার সংবাদ এমন সময় এসেছে যখন বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ এবং নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ টাকা চুরির ব্যাপকতর তদন্ত করছে। সুইফট স্বীকার করেছে যে প্রতারণাপূর্ণ অর্থ স্থানান্তর প্রমাণ লুকাতে সফ্টওয়্যার পরিবর্তনকারীরা জড়িত। কিন্তু মেসেজিং সিস্টেম নিয়ন্ত্রণে তারা কোনো প্রকার আপোস করেনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন