অর্থনৈতিক রিপোর্টার : গত তিন বছরে ৬১৮ তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়েছে। নতুন করে ৩১৯ কারখানা বন্ধ হওয়ার পথে আছে। প্রতিযোগিতা সক্ষমতায় টিকতে না পেরে কারখানাগুলোর এই পরিণতি হচ্ছে। গতকাল (শনিবার) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেছে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিজিএমইএ কার্যালয়ে দুপুরে এ সংবাদ সম্মেলন হয়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান জানান, ৬১৮ কারখানা বন্ধ হলেও নতুন করে প্রায় ২৫০ কারখানা উৎপাদনে এসেছে। গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট ও ব্যাংকঋণের উচ্চ সুদহারের কারণে পোশাকশিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ ছাড়া ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন ও বিশ্ববাজারে পোশাকের দরপতনের কারণে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন শিল্প উদ্যোক্তারা।
সিদ্দিকুর রহমান ২০২১ সালে পোশাক রপ্তানি পাঁচ হাজার কোটি ডলারে নিয়ে যেতে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে জাতীয় বাজেটে কয়েকটি দাবি বাস্তবায়নে সরকারের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি পোশাকশিল্পের জন্য ১০ শতাংশ হ্রাসকৃত হারে কর আরোপের সুবিধাটি আগামী পাঁচ বছরের জন্য বৃদ্ধি করার কথা বলেন।
এ ছাড়া রপ্তানিমুখী এই শিল্পের উৎসে কর হার বর্তমানের মতো দশমিক ৩০ রাখা, পোশাকশিল্পের সহযোগী খাতগুলো মূল্য সংযোজন করমুক্ত (মূসক) এবং অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতি আমদানি শুল্কমুক্ত করার দাবি করেন বিজিএমইএর সভাপতি।
সব কারখানাকে বিজিএমইএর ডাটাবেজের অধীনে আসতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারি উদ্যোগে গঠিত শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে বিজিএমইএ প্রতিবছর ৮০ কোটি টাকা দেবে। এ সহায়তার জন্য সব কারখানাকে বিজিএমইএর ডাটাবেজের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে। যারা করবে না, তারা আমাদের সহায়তা পাবে না। ৪ বছরে এ পর্যন্ত ৬০৩টি কারখানা এ ডাটাবেজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সহ-সভাপতি ফারুক হাসান, এস এম মান্নান, মাহমুদ হাসান খান, মোহাম্মদ নাছির, ফেরদৌস পারভেজ প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন