স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সাতদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। আগামী ১৭ মে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। গতকাল শনিবার বিকালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সঙ্গে আয়োজিত এক যৌথসভা শেষে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ।
হানিফ বলেন, ’৭৫ পরবর্তীতে জিয়াউর রহমানের অপশাসনে যখন দেশের মানুষের রুদ্ধশ্বাস অবস্থা ছিল ঠিক সে সময়ে ১৯৮১ সালের ১৭ মে আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়ে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই এ দিবসটি জাতির কাছে গুরুত্বপূর্ণ। দিবসটি সফল করতে সাতদিনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছি আমরা।
তিনি বলেন, কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ১৭ মে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস এবং ৩৫ বছরের দীর্ঘ রাজনৈতিক পথচলা নিয়ে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা। এছাড়াও ১৮ মে কৃষক লীগ, ১৯ মে স্বাধীনতা চিকিৎসক ফোরাম-স্বাচিপ, ২০ মে স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ২১ মে যুবলীগ, ২২ মে জাতীয় শ্রমিক লীগ এবং ২৩ মে ছাত্রলীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা হবে।
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, আমরা আশা করি এ কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার ৩৫ বছরের পথচলা এবং কোন প্রেক্ষাপটে তিনি বাংলাদেশের হাল ধরেছেন সে বিষয় জাতির সামনে তুলে ধরতে পারবেন আমাদের জাতীয় নেতারা।
যৌথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য মির্জা আজম, আমিনুল ইসলাম আমিন, এসএম কামাল হোসেন, মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ।
যুবলীগের সাতদিনের কর্মসূচি ঘোষণা
আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সাতদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী যুবলীগ। গতকাল এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংগঠনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী। আগামী ১৭ মে শেখ হাসিনার ৩৫তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস।
ওমর ফারুক জানান, আগামীকাল সোমবার থেকে ৭দিন শিল্পকলা একাডেমির ৬ নম্বর গ্যালারিতে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সফল রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মময় জীবনী ও সংবাদচিত্র প্রদর্শন করা হবে। এই কর্মসূচি প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত। কর্মসূচির প্রথমদিন অংশ নেবেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. শামসুজ্জামান খাঁন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান খাঁন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি সামীম মোহাম্মদ আফজাল, শিল্পকলা একাডেমির ডিজি লিয়াকত আলী লাকী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান, একুশে টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক মনজুরুল আহসান বুলবুল, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম।
এ সব কর্মসূচি তদারক করবেন যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশিদ।
প্রসঙ্গত, ১৯৮১ সালের ১৭ মে দীর্ঘদিনের নির্বাসন শেষে শেখ হাসিনা দেশে ফেরেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট কালরাতে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী কর্মকর্তা ও সৈনিকেরা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবনে হামলা করে তাকেসহ তার পরিবারের সকল সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এসময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা প্রবাসে অবস্থান করায় ঘাতকদের হাত থেকে প্রাণে রক্ষা পান। পঁচাত্তর-পরবর্তী রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণেই দীর্ঘদিন বিদেশে নির্বাসিত ছিলেন শেখ হাসিনা। ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫, ও ১৬ই ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ১৯৮১ সালের ১৭ই মে ঢাকায় লাখো জনতার প্রাণঢালা উষ্ণ সম্ভাষণ নিয়ে প্রিয় স্বদেশ ভূমিতে ফিরে এসেছিলেন শেখ হাসিনা। এসেই আওয়ামী লীগের হাল ধরেন তিনি। জড়িত হন সক্রিয় রাজনীতিতে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন