নিউইয়র্ক থেকে এনা : বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা হচ্ছে অর্থ পাচারের ঘটনা। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাচার করা হয়েছে ৮১ মিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যাংক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে বাংলাদেশের অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে এবং হচ্ছে। তবে এর মধ্যে আলোচিত পাচার হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রিজার্ভের অর্থ পাচার। বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচারের ঘটনা সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশ থেকে এভাবে অর্থ পাচার হোক তা সরকার চায় না। আবার সরকারের মিত্র দেশগুলোও চায় না। তাই বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার কীভাবে বন্ধ করা যায় এবং দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া যায় তা নিয়ে বাংলাদেশ ও আমেরিকার মধ্যে যৌথ মতবিনিময় সভা শুরু হয়েছে। ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত এই যৌথ সভায় অংশ নেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল ওয়াশিংটন এসেছেন। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হচ্ছেন কাস্টমস ইন্টিলিজেন্টস কমিশনের ডিরেক্টর জেনারেল ড. মঈনুল খান, দুদকের মহা পরিচালক মোহাম্মদ মহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের এক্সজিকিউটিভ ডিরেক্টর নওশেদ আহমেদ চৌধুরী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের যুগ্ম পরিচালক ড. নূরুল আমিন ও মাদক অধিপ্তরের উপ- পরিচালক আহসানুল কবির।
প্রতিনিধি দলের সদস্য কাস্টমস ইন্টিলিজেন্স কমিশনের ডিরেক্টর জেনারেল ড. মঈনুল খান এনাকে জানান, আমাদের বৈঠক শুরু হয়েছে। এই বৈঠক ওয়াশিংটনে ১৪ মে পর্যন্ত চলবে। ইতিমধ্যেই তারা আইআরএস এবং আমেরিকার বিচার বিভাগের সাথে বৈঠক করেছেন। আরো বৈঠক করবেন আমেরিকার স্টেট ডেপার্টমেন্টের কর্মকর্তা, এফবিআই, এটর্নী জেনারেল ও ডিইএ’র কর্মকর্তাদের সাথে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার নিয়ে বাংলাদেশ সরকার যেভাবে উদ্বিগ্ন একইভাবে উদ্বিগ্ন আমেরিকান সরকারও। যে কারণেই আমরা যৌথভাবে বৈঠক করছি কীভাবে বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার বন্ধ করা যায়, বিভিন্ন পাচার হওয়া অর্থ কীভাবে ফেরত আনা যায় এবং যারা এর সাথে জড়িত তাদের কীভাবে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা যায়। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আমাদের যে দুটো বৈঠক হয়েছে তা ফলপ্রসূ হয়েছে, আগামীতে হাই লেবেলে যে বৈঠকগুলো হবে তাও ফলপ্রসূ হবে আশা করা যায়। তিনি আরো বলেন, অর্থ পাচার বন্ধে আমাদের কী সীমাবদ্ধতা রয়েছে তা নিয়েও খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা যৌথভাবে যেভাবে কাজ শুরু করেছি আশা করছি আগামীতে অর্থ পাচার বন্ধ করা যাবে এবং অপরাধীদের আইনেরও আওয়তায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা যাবে।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ থেকে গত ১০ বছরে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন