শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

পুরান ঢাকার রাস্তা প্রশস্তের নির্দেশ

বার্ন ইউনিট পরিদর্শন শেষে প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৬ এএম

পুরান ঢাকার সরু রাস্তা প্রশস্ত করেত ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বেলা সাড়ে ১০টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চকবাজারের চুরিহাট্টায় অগ্নিদগ্ধ রোগীদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, পুরান ঢাকার সরু রাস্তা ও অলি-গলি নতুন করে করতে হবে। রাস্তাগুলো এতই সরু যে সেখানে আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঢোকার কোনও উপায় নেই। এ সময় গণমাধ্যম কর্মীদের দ্বারা অহেতুক প্রশ্ন করে নির্বাচন কাজে ব্যঘাত তৈরির সমালোচনা করেন তিনি। এর আগে দগ্ধ ও আহত রোগীদের খোঁজ-খবর নেন এবং রোগী ও স্বজনদের সাথে চিকিৎসাসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন তিনি। পরে চিকিৎসকদের সঙ্গেও রোগীদের অবস্থা নিয়ে তিনি কথা বলেন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুরান ঢাকায় এত গলি যে, আমরা হেলিকপ্টার দিয়েও পানি দিতে পারিনি। এটাও খেয়াল রাখতে হয়েছে যে হেলি কপ্টারের বাতাস থেকে যেন আগুন ছড়িয়ে না পড়ে। তাই নিরাপদ দূরত্ব থেকে হেলিকপ্টার দিয়ে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। আগুন ছড়ানোর পেছনে কেমিক্যাল গুদামকে দায়ী করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মোবাইল কোর্ট বসিয়ে অনেক কারখানা অপসারণ করেছি। কিন্তু সেগুলো আবারও গড়ে উঠেছে। অতি শীঘ্রই এসব গুদাম সরিয়ে নিতে হবে।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালে নিমতলীর অগ্নিকাণ্ডের পর আমরা পুরান ঢাকার কেমিক্যাল গুদাম সরাতে চেয়েছিলাম। তার জন্য কেরানীগঞ্জে জায়গা করে প্রজেক্ট নিয়েছিলাম। আধুনিক গুদাম তৈরি করে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু মালিকরা রাজি হয়নি। তিনি আরও বলেন, কেমিক্যালের সুরক্ষার জন্য বিশেষ ব্যবস্থার প্রয়োজন হয়। পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিকের গুদাম না সরানো দুঃখজনক। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য। এ কাজে তিনি সবাইকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান। ঢাকাবাসীর উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরের কোথাও এ ধরনের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটলে উৎসুক জনতা হওয়ার পরিবর্তে এক বালতি পানি অথবা কিছু বালু নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভাতে সহযোগিতা করুন। সাংবাদিকদের কারণে আগুন নেভানোর কাজ ব্যাহত হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংবাদ কর্মীদের নানা প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ ব্যাহত হয়েছে। বিশেষ করে টিভি সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেই যাচ্ছেন। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, এটা কী প্রশ্ন করার সময়? উত্তর আশা করেন কীভাবে? তারা কাজে যাবেন। অথচ তাদের আটকে রেখে প্রশ্ন করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে ঘটনা ঘটেছে, তখন উদ্ধারকর্মীদের উদ্ধার কাজ না করতে দিয়ে তাকে ঠেকিয়ে রেখে প্রশ্নের পর প্রশ্ন করাটা সমীচীন নয়। এ বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। এছাড়া আগুন ও দগ্ধদের ছবি তোলার বিষয়ে সংবাদকর্মীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের আরও বেশি সচেতন হতে হবে। যাতে আতঙ্ক ছড়িয়ে না পড়ে।
আগুন নেভানোর জন্য পানির উৎসের অপ্রতুলতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় এক সময় অনেক পুকুর ছিল। সেগুলো ভরাট করে ফেলা হয়েছে। এক সময় পুরান ঢাকার ধোলাই খাল ও আশপাশে অনেক খাল ছিল। কিন্তু বর্তমানে সেগুলোও দখল হয়ে গেছে। স্থানীয়রা এসব খাল-নদী ভরাট করে ফেলায় এসব এলাকায় দুর্ঘটনার সময় পানি পাওয়া যায় না। তিনি বলেন, নেভানোর সময় যদি পানি না পাওয়া যায়, তাহলে ফায়ার সার্ভিসের কী করার আছে?
বার্ন ইউনিট সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে অনেক আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়েছি। আশা করি, যারা চিকিৎসাধীন আছেন তাদের চিকিৎসার কোনো অসুবিধা হবে না। যে ঘটনা ঘটেছে এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। তাৎক্ষণিকভাবে যতটা সম্ভব আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহযোগিতা দিয়েছি।
তিনি বলেন, কাল রবিবার (আজ) অফিস খুললে পার্লামেন্টে মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হবে। তিনি বলেন, এটা একটা বড় ধরনের দুর্ঘটনা, যা আমাদের সবাইকে ব্যথিত করেছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর যাতে না ঘটে সে জন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বার্ন ইউনিট পরিদর্শনকালে প্রধানমন্ত্রীর সাথে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক স্বপন, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী মো. সেলিম, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. সামন্তলাল সেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ডা. আবুল কালাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার রাতে পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টার ৬৪ নম্বর ওয়াহেদ ম্যানশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট প্রায় ১০ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই ঘটনায় গত শুক্রবার সকাল পর্যন্ত মোট ৬৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে ঢাকা জেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে। যদিও ঘটনার পর থেকে এখনো অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। এছাড়া অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বার্ন ইউনিট ও ঢামেকের অন্যান্য বিভাগে অনেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে শুধু বার্ন ইউনিটে ৯ জন চিকিৎসাধীন আছেন। যাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (17)
রাসেল পাঠান ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৪ এএম says : 0
চকবাজারের গোডাউন মালিক কি একজন মানুষের জীবন ফিরিয়ে দিতে পারবেন?এদের চিহ্নিত করে অতিদ্রুত ব্যবস্থা ও মামলা করা হোক সরকারের দৃষ্টি-
Total Reply(0)
Robel Rayhan ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৪ এএম says : 0
Good initiative.
Total Reply(0)
Muhammad Faysal ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৫ এএম says : 0
রাস্তা প্রশস্ত করতে চাইলেই, এলাকাবাসী অসন্তুষ্ট হয়ে যায়।
Total Reply(0)
MD Shaha Riaz ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৫ এএম says : 0
পুরান ঢাকার মানুষ সচেতন না হলে কোন কিছুতেই কিছু হবে না।
Total Reply(0)
M.a. Kader ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৫ এএম says : 0
সারা দেশে আবাসিক এলাকায় রাস্তা গুলো প্রশস্ত হওয়া জরুরি!!
Total Reply(0)
Rakib Uddin ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৭ এএম says : 0
পুরান ঢাকাকে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ঘোষণা করে সব মানুষ ও দোকানপাট-কারখানা সরিয়ে নেয়া উচিত অন্য কোথাও। আধুনিক নগরায়ন ও সভ্যতার যুগে এরকম পরিবেশে একটা রাজধানীতে মানুষ থাকতে পারে না, থাকা উচিত না। যদিও অর্ধেক ঢাকার অবস্থাই প্রায় পুরান ঢাকার মতো। ঢাকাকে বাঁচাতে হলে ও বাসযোগ্য করতে হলে অনেক ভাইটাল ভাইটাল পদক্ষেপ নিতে হবে। ময়লা সরাইলাম, প্রতিদিন রাস্তা ঝাড়ু দিলাম, ফুটওভার বানাইলাম, লাইট লাগাইলাম-- সিটি কর্পোরেশনের এসব রুটিন ওয়ার্কে কোন কাজ হবে না। প্রত্যেকটা মেইনরোড এখন দুইপাশে বাড়ানো অপরিহার্য। কাজটা যদিও কঠিন, কিন্তু সরকার চাইলে ক্ষতিপূরণ দিয়ে রাস্তার পাশের বিল্ডিং গুলা ভেঙে রাস্তা বড় করা অসম্ভব না। ঢাকায় মানুষের বসবাস কমানোর জন্য যা যা করা দরকার সেগুলো দ্রুত করতে হবে। এখন তো অনলাইন সিস্টেমের ব্যবহার বাড়ছে, তাই কিছু সরকারি দপ্তর চাইলেই স্থানান্তর করা যায় অন্য কোথাও। তাহলে সেই সংক্রান্ত প্রাইভেট কম্পানিগুলোও সরে যাবে। মানুষের ঘনত্ব কমানো ছাড়া কিছুতেই সিস্টেম কার্যকর হবে না। একসাথে অনেক মানুষ থাকায় কোনো দুর্ঘটনা হলে ক্ষয়ক্ষতিও বেশি হয়। গাড়িগুলো তো একেকটা বোমা এখন। সবসময় শুনেছি ইরাকে-আফগানিস্তানে গাড়িবোমা হামলা, এখন আমাদের আশেপাশে গ্যাস সিলিন্ডার বোমা নিয়ে ঘুরে সারাদিন। এটার ব্যাপারেও ভাবা দরকার। প্রত্যেকটা প্রয়োজনীয় কাজই জরুরীভিত্তিতে নিরলসভাবে কাজ করে দ্রুত বাস্তবায়ন করা উচিত।
Total Reply(0)
Jewel Jewel Jewel ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৭ এএম says : 0
অবশ্যই দালান কোঠা ভেঙ্গে হলেও রাস্তা প্রসস্থ করতে হবে। এলাকার ভালোর জন্য ব্যাক্তি স্বার্থ ত্যাগ করতে হবে।
Total Reply(0)
Md Azmul Haque Robin ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৭ এএম says : 0
সমস্যা হচ্ছে ঐ দিকের মেয়রতো কোন সমস্যাই সমস্যা মনে করে না, ঐ দিকে নাকি যানজট নাই, তেমন কোন সমস্যা নাই! সব সমস্যা নাকি উত্তরে! অথচ আমরা যারা লঞ্চেে যাতায়াত করি বা প্রয়োজনে আদালতে বা অন্য অফিসে যেতে হয় তাদের ঘন্টার পর ঘন্টা জ্যামেই বসে থাকতে হয়!
Total Reply(0)
Md Mahbub Alam ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৭ এএম says : 0
যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত, যদিও আরো আগেই করা উচিৎ ছিল। বাস্তবায়ন হলেই হয়।
Total Reply(0)
Golam Kibria ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৮ এএম says : 0
সব কিছু‌তে প্রধানমন্ত্রীকে নির্দেশ দি‌তে হ‌বে। ত‌বে মন্ত্রী ,এম‌পি,‌মেয়র ,স‌চিব সহ অন্য‌দের কাজ কি?
Total Reply(0)
Afrin Nusrat ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৮ এএম says : 0
সব জায়গার রাস্তাই প্রশস্ত করা হোক! বিল্ডিংগুলো ভেঙ্গে দেওয়া হোক যেগুলো রাস্তা দখল করে রেখেছে
Total Reply(0)
সায়াহ্নের প্রতিবিম্ব ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৮ এএম says : 0
এটা করতে পারলে অগ্নি দুর্ঘটনায় উদ্ধার কাজে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। ধন্যবাদ আপনাকে। নির্দেশ যেন কার্যে পরিনত হয় শিগগির।
Total Reply(0)
Md Shamim ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৯ এএম says : 0
পুরান ঢাকার যে অবস্থা রাস্তা প্রসস্থ করা প্রায় অসম্ভ। বিকল্প হিসাবে ওয়াসার পানির লাইনে প্রতি১০০/১৫০গজ পরপর পানির পয়েন্ট করতে হবে যা অগ্নি নির্বাপণে সহায়তা করবে।
Total Reply(0)
Adv Shahin Howlader ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৯ এএম says : 0
পুরান ঢাকার ভবন গুলো যেন মৃত্যু ফাদ .এগুলো ভেংগে নতুন করে নির্মান এখন সময়ের দাবি
Total Reply(0)
Fazalmahmud Shazib ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৯ এএম says : 0
চকবাজারের রাস্তা তো অনেক বড় কিন্তু দিনের বেলায় তার কতটুকু যানচলাচলের জন্য বেঁচে থাকে? শুধু চকবাজার নয় পুরো ঢাকা সিটির সব রাস্তায় চলাচলের জন্য কতটা থাকে?
Total Reply(0)
ash ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৬:৪৫ এএম says : 0
AGUNE ATO MANUSHER MRITTUR JONNY PROSHASHON PUROPURI DAI !! PROSHASHONER GUSH KHOR KORMOKORTARA GUSH KHEA KHEA OI SHOB GUDAM KORTE DIEA SE !! SHORKAR ER WCHTH TOP LEVEL KORMOKORTA DER DEMOTION BA KICK OUT KORA !! DESHE ONEK SHIKHITO BEKAR JUBOK ROESE JARA AKTA CHUKRIR JONNY DARE DARE GHURCHE, ODER CHANCE DEW WCHITH , BATPAR GULOKE LATHI MERE SHORANO WCHITH INCLUDING MAYOR
Total Reply(0)
Mohammed Shah Alam Khan ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৮:০৬ পিএম says : 0
প্রধানমন্ত্রী বার্ন ইউনিট পরিদর্শন শেষে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকনকে পুরান ঢাকার সরু রাস্তা প্রশস্থ করার জন্যে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ২০০৯ সালে নিমতলীর অগ্নিকান্ডের পর ঢাকার কেমিক্যাল গুদাম সরাতে চেয়ে পারেননি মালিকরা রাজি না হওয়াতে। আবার সেই প্রশ্ন এসে যায় সরকার চাইবে আর ব্যাবসায়ীরা সেটা মানবে না এটা হয় কিভাবে?? সরকার জনগণের স্বার্থে গুদাম সরিয়ে আধুনিক গুদাম সরকারের পয়সায় করে দিবে তারপরও ব্যাসায়িরা রাজি হবে না এটা কত বড় ক্ষমতার অধিকারি হলে হয়ে থাকে সেটাই ভাবার বিষয় নয় কি??? আমাদের দেশটা যতদিন জিয়া মিয়ার মন্ত্রের রাজনীতিতে চলবে ততদিন দেশ থেকে দুর্নীতি যাবেনা এটাই সত্য। জিয়া মিয়া ব্যাবসায়ি ও পুলিশ রাজার হাতে দেশ তুলেদিয়েছিলেন এখনও সেভাবেই দেশ চলছে। কাজেই আমি নেত্রী হাসিনার কাছে অনুরোধ করতে চাই আপনি থাকতে থাকতে জনগণের কল্যাণে বাংলাদেশ থেকে ব্যাবসায়ি ও পুলিশদের রাজত্ব বন্ধ করে জনগণের প্রতিনিধিদের নিয়ন্ত্রণে দেশের রাজনীতি ও সরকার পরিচালনার ব্যাবস্থা করে দেশের মঙ্গল করবেন। আল্লাহ্‌ আপনাকে সকল দিক থেকেই পুরস্কৃত করেছেন তাই আপনার আল্লাহ্‌র কাছে নিজের জন্যে চাইবার কিছুই নেই। কাজেই আপনি যদি আমাদের কল্যাণে আল্লাহ্‌র কাছে এই কাজটা করার ক্ষমতা চান নিশ্চয় আল্লাহ্‌ আপনাকে ফিরাবেন না। অতএব দয়া করে আপনি ব্যাবসায়ি ও পুলিশকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দেশকে বাচান। আল্লাহ্‌ আপনার সহায় ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন এটাই আমার দোয়া। আমিন
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন