স্টাফ রিপোর্টার : ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক এবং দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এস আসলাম চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর কুড়িল-বিশ্বরোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (উত্তর) এর একটি দল। এর পরই তাকে নিয়ে যাওয়া হয় মিন্টু রোডের গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে। আসলাম চৌধুরীর একান্ত সচিব মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, একইসঙ্গে আসলাম চৌধুরীর গাড়ি চালক ও এক সহকারীকেও আটক করা হয়।
ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (জনসংযোগ) মারুফ হোসেন সরদার জানান, গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে আসলাম চৌধুরীকে কুড়িল-বিশ্বরোডের তিনশ ফিট সড়কের মাথা থেকে গ্রেফতার করে মহানগর ডিবির (উত্তর) একটি টিম। গতকাল সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা আছে। তিনি কেবল দেশে নাশকতা করে ক্ষান্ত হননি, বিদেশেও গিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গ্রেফতারকৃত বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরী সম্প্রতি ভারতে গিয়ে বিশ্বব্যাপী ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক এবং বাংলাদেশ সরকারকে উচ্ছেদ করতে গোপন ষড়যন্ত্র করছেন বলে দেশের বিভিন্ন সংবাদপত্রে খবর প্রকাশিত হয়। ইসরায়েলের প্রভাবশালী নেতা মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে আসলাম চৌধুরীর একাধিক ছবি এবং ইসরায়েলি একটি অনলাইনে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা তৎপর হয়ে উঠে।
এ বিষয়ে গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কমিশনার ইকবাল বাহার সিএমপির সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, আসলাম চৌধুরীকে দেখামাত্রই গ্রেপ্তার করা হবে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলাচ্ছে পুলিশ। সিএমপি কমিশনার বলেন, ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে আসলাম চৌধুরী ভারতে বসে বাংলাদেশ সরকার উৎখাতের বৈঠকের বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ আমাদের হাতে এসেছে। আমরা এ ব্যাপারে আরো অনুসন্ধান করছি। এর আগে আসলামসহ আরো কয়েকজনের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
এদিকে আসলাম চৌধুরী গ্রেফতারের পর ডিএমপি উপকমিশনার (মিডিয়া) মারুফ হোসেন সর্দার জানান, ভারতে ইসরাইলী গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এক নেতার সঙ্গে ‘সরকার উৎখাতের’ অভিযোগে আলোচনা করেছেন এই অভিযোগেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
২০০১ সালে চারদলীয় জোট ক্ষমতায় এলে জিয়া পরিষদের মাধ্যমে বিএনপির রাজনীতিতে আসেন আসলাম চৌধুরী। ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে সীতাকুন্ড আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন।
২০১৪ সালের ২৬ এপ্রিল তিনি উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক হন। এর আগে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। সম্প্রতি বিএনপির কেন্দ্রিয় সম্মেলন শেষে যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে তার নাম ঘোষণা করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন