ইনকিলাব ডেস্ক : ইয়েমেনের মুকাল্লা বন্দরের একটি পুলিশ ফাঁড়ির সামনে এবং ইরাকের রাজধানী বাগদাদের একটি গ্যাস কারখানায় গতকাল ইসলামি স্টেট গোষ্ঠীর পৃথক দু’টি আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ৫১ জন নিহত হয়েছেন। এসব হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৮০ জনের বেশি লোক আহত হয়েছেন। ইরাক ও সিরিয়াভিত্তিক সংগঠন আইএস দু’টি হামলার দায় স্বীকার করেছে।
ইয়েমেনের হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, দেশটির হাজরা মউত প্রদেশের রাজধানী মুকাল্লার দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে একটি পুলিশ ঘাঁটির কাছে পুলিশে নিয়োগ পাওয়ার জন্য নিয়োগপ্রার্থীরা যখন সারিবদ্ধভাবে অপেক্ষা করছিলেন তখনই হামলা হয়। এতে ৩৭ জন নিহত এবং ৬০ জন আহত হয়। আরব উপদ্বীপের আল কায়েদা (একিউএপি)-কে মুকাল্লা থেকে হটানোর পর শহরটিতে এটি আইএসের দ্বিতীয় হামলা। গত সপ্তাহেও সেনা সদস্যদের ওপর আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছিল আইএস।
এদিকে ইরাকের রাজধানী বাগদাদের ঠিক উত্তরে একটি গ্যাস কারখানায় ইসলামিক স্টেট সদস্যদের আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ১৪ লোক নিহত এবং ২০ জনের বেশি আহত হয়েছে। বিস্ফোরক-ভর্তি বেল্ট পরিহিত ৬ জন আত্মঘাতী আক্রমণকারী এই হামলাটি চালায়। তারা প্রথমে কারখানাটির প্রবেশপথে তিনটি গাড়ি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এরপর আক্রমণকারীরা কারখানার ভেতরে ঢুকে পড়ে এবং তিনটি গ্যাস ট্যাংক উড়িয়ে দেয়। এ সময় কারখানাটি থেকে আগুন ও ধোয়ার বিশাল কু-লী আকাশে উঠতে দেখা যায়। কারখানার কর্মী এবং কয়েকজন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যও এ হামলায় নিহত হয়।
তাজি নামের এলাকায় অবস্থিত সরকারি মালিকানাধীন গ্যাস কারখানাটিতে এখন নিরাপত্তা বাহিনী তাদের নিয়ন্ত্র¿ণ পুনপ্রতিষ্ঠিত করেছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ আক্রমণ মোকাবিলা করতে ইরাকি যুদ্ধবিমানের সহায়তাও নেয়া হয়। সম্প্রতি ইরাক এবং সিরিয়াতে ইসলামিক স্টেটের অবস্থা কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়লেও বাগদাদের এত কাছে এ ধরনের আক্রমণ চালানোর ফলে বোঝা যাচ্ছে যে তারা এখনো বড় হুমকি। সূত্র : এএফপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন