৬৫ তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিপ এরদোগান। দিনব্যাপী ভক্ত, শুভানুধ্যায়ীদের শুভেচ্ছোর জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে এরদোগান বলেছেন, আমি আপনাদের সকলের কাছে কৃতজ্ঞ। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা এক ভিডিওবার্তায় এরদোগান বলেন, আমার প্রিয় দেশবাসী, আজ আমি ৬৫ বছর বয়স অতিক্রম করছি। এ খুশির দিনে যারা আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, তাদের সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। জীবনের এ দীর্ঘ পথচলায় আপনাদের সেবা করার যে সুযোগ আমি পেয়েছি,তা আল্লাহ তায়ালার বিশেষ অনুগ্রহ ছাড়া কিছু নয়। মানবসেবার এ পথচলায় কখনও আমি আপনাদের একাকী ছেড়ে দেবো না। আল্লাহ তায়ালা আপনাদের সুস্থ ও নিরাপদে রাখুক। রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান ১৯৫৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তুরস্কের ১২ তম এ রাষ্ট্রপতি ২০১৪ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০১ সালে তিনি একে পার্টি (জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলাপমেন্ট পার্টি বা একেপি) প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার অল্প দিনের মধ্যেই দলটি জনসমর্থনের মাধ্যমে এক নম্বর অবস্থানে চলে আসে। দলটি ১৯৮৪ সালের পর প্রথমবার তুরস্কের ইতিহাসে একদলীয় দল হিসেবে এবং পরপর ৪ বার (২০০২,২০০৭, ২০১১,২০১৪) সাংসদীয় নির্বাচনে বিজয়ী হয়। রাষ্ট্রপতি হবার পূর্ব পর্যন্ত তিনি ক্ষমতাসীন এই দলের সভাপতি ও প্রধান দলনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বেও ২০০৩ সাল হতে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এবং তার পূর্বে ১৯৯৪ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ইস্তাম্বুলের মেয়র হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে বাণিজ্যিক প্রবেশাধিকারের চুক্তি, বিগত দশবছর ধরে চলাকালীন মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও তুর্কি লিরার (তুর্কি মুদ্রা) মুল্য পুনর্নিধারণ, সুদের হার কমানো,অতীতে অটোমান (উসমানীয়) শাসনাধীন দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন ও বিশ্ব মহলে নেতৃস্থানীয় ও সৌহার্দ্যপূর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠাপ্রাপ্তিকে মূল লক্ষ্য রেখে বৈদেশিক নীতি গ্রহণ (নব্য-অটোম্যানবাদ),বিরোধী বিক্ষোভকারীদের সফলভাবে নিয়ন্ত্রণ প্রভৃতি কারণে বিশ্বমহলে তিনি ব্যাপকভাবে আলোচিত। বর্তমান মুসলিম বিশ্বে সফল ও জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন এরদোগান। রয়টার্স, আনাদোলু।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন