শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

চট্টগ্রামে ট্রেনের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষে নিহত ২ : আহত ৭

প্রকাশের সময় : ১৭ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:৫১ পিএম, ১৬ মে, ২০১৬

চট্টগ্রাম ব্যুরো : নগরীর ষোলশহর রেলক্রসিংয়ে তেলবাহী ওয়াগনের সঙ্গে বিআরটিসির দোতলা বাসের সংঘর্ষে দুইজন নিহত এবং আরও ৭ জন আহত হয়েছে। গতকাল (সোমবার) বেলা ১১টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- মরিয়ম বিবি (৪০) ও আনুমানিক ৩০ বছর বয়সী একনারী। চমেক পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক মো. হামিদ জানান, মরিয়মের ১২ বছর বয়সী ছেলে সায়েম, নুরুন্নবী, রতœা বেগম ও তার ছেলে নোমান হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিআরটিসির বাসটি বায়েজিদ বোস্তামী সড়ক হয়ে ষোলশহর ২নং গেইট এলাকায় যাওয়ার পথে রেললাইনে উঠে পড়ে। এ সময় ওয়াগনটি কাছাকাছি চলে আসে। কিন্তু রাস্তায় যানজট থাকায় বাসটি সরতে পারেনি। এ অবস্থায় কিছু যাত্রী দরজা-জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়ে। মরিয়ম বিবিও জানালা দিয়ে পালাতে গিয়ে ওয়াগনের নিচে চাপা পড়ে। ওয়াগনের ধাক্কায় বাসটির একাংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়। বাসে থাকা বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়।
বিভাগীয় রেল ব্যবস্থাপক মঞ্জুরুল আলম বলেন, ওয়াগনটি ফার্নেস অয়েল নিয়ে হাটহাজারী বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যাচ্ছিল, ষোলশহর রেল ক্রসিং অতিক্রম করার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। বাসটি সিগন্যাল অমান্য করে রেল লাইনে উঠে যাওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে দাবি করেন এই রেল কর্মকর্তা।
তবে বাসযাত্রীরা বলেন, বাসটি নতুনপাড়া থেকে নগরীর টাইগারপাস যাচ্ছিল। ক্রসিংয়ে সিগন্যাল বার ফেলার আগে বাসটি রেল লাইন পার হচ্ছিল। এসময় ষোলশহর এলাকায় ট্রাফিক সিগন্যাল পড়ায় বাসটি এগুতে পারেনি। বাস লাইনে ওঠার আরও কিছু সময় পরে ট্রেনের হুইসেল শোনা যায় এবং ওই সময় সিগন্যাল বার ফেলা হয় বলে জানান যাত্রীরা।
এই ঘটনায় পূর্ব রেলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) ফিরোজ ইফতেখারকে প্রধান করে চার সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার আসিফ বলেন, তেল নিয়ে যাওয়ার সময় একটি ওয়াগন রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় বিআরটিসির একটি বাসের সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ হতাহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
মাকে হারিয়ে নির্বাক ৩ ভাই!
এ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান মরিয়ম বিবি। ওই বাসটিতে তার তিন শিশু পুত্র আরহাম সামি, সাজিদ আরহাম নাবিল ও সাঈদ আরহাম সায়ানও ছিল। নগরীর রুবি গেইটের ফুফুর বাসা থেকে হালিশহরের বাসায় ফিরছিল তারা। মাকে নিয়ে আর বাসায় ফেরা হলো না তাদের। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে তার বড় ছেলে সামিও। অন্য দুজন সুস্থ আছে। গ্রীষ্মের ছুটি পেয়ে তিন সন্তানকে নিয়ে ননদের বাসায় বেড়াতে যান মরিয়ম। মরিয়মের স্বামী শাহাদাত হোসেন দুবাই প্রবাসী।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন