সিরিয়ার সশস্ত্র জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দেওয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ তরুণী শামীমাকে কোনো ধরনের ঠাঁই দিতে চায় না নেদারল্যান্ডস। এর আগে আইএস বধূ শামীমাকে নিজ দেশে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন ডাচ নাগরিক স্বামী ইয়াগো রিয়েদিজিক। এবার তার সেই সম্ভাবনাকেও পুরোপুরি নাকচ করে দিয়েছে নেদারল্যান্ডস সরকার। সোমবার ডাচ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া বিবৃতির বরাতে করা প্রতিবেদনে এই শামীমাকে দেশে ঢুকতে না দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট।
লন্ডন থেকে পালিয়ে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দেওয়া শামীমা সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে ফিরতে চাইলে তাতেও বাধা দেন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ। ডাচ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, ‘কোনো ডাচ নাগরিকের স্ত্রী কিংবা জীবনসঙ্গীর নেদারল্যান্ডসে বসবাসের অনুমতি পেতে হলে বা বেড়াতে আসতে চাইলে অবশ্যই তার বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে।’
নেদারল্যান্ডসের আইন অনুযায়ী, শামীমা যখন বিয়ে করেন, তখনও তার বিয়ের বয়স হয়নি। মূলত এ কারণে শামীমাকে তার স্বামীর সঙ্গে দেশে যেতে দেবে না ডাচ প্রশাসন। এদিকে যুক্তরাজ্যও শামীমার ব্রিটিশ পাসপোর্ট বাতিলসহ তার নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
বর্তমানে একটি কুর্দি কারাগারে বন্দী অবস্থায় থাকা রিয়েদিজিক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমরা নেদারল্যান্ড ছাড়া অন্য কোথাও গেলে শান্তিতে বসবাস করতে পারবো না। এ কারণে স্ত্রী ও সদ্যোজাত সন্তানকে নিয়ে দেশে ফিরে শান্তিতে বসবাস করাই হচ্ছে আমার শেষ ইচ্ছা।’
এর আগে ২০১৫ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে আইএসে যোগদানের উদ্দেশ্যে লন্ডন ছেড়ে সিরিয়ায় গিয়েছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শামিমা। পরবর্তীতে সেখানে নেদারল্যান্ড থেকে এসে আইএসের যোগ দেওয়া নওমুসলিম ইয়াগো রিয়েদিজিককে বিয়ে হয় তার। এরপর আগের দুইবার তাদের সন্তান জন্মের পর অপুষ্টি আর ক্ষুধায় মৃত্যু হয় তাদের। যদিও গত মাসে সিরিয়ার একটি শরণার্থী শিবিরে আরও একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন আইএস বধূ শামিমা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন