ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন তার জামিন নামঞ্জুর করে গ্রেফতার পরোয়ানা জারি করেন। গত ১৯ অক্টোবর সাইবার ট্রাইব্যুনালের দেয়া এ আদেশ সম্পর্কে গতকাল বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারি শামীম আল মামুন। তিনি জানান, ১৯ অক্টোবর মামলার চার্জশিট গ্রহণের তারিখ ধার্য ছিল। ওইদিন শামীমা আদালতে উপস্থিত না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। একইসঙ্গে আগামী ২২ জানুয়ারি মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। ডিজিটাল মাধ্যমে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির গ্রাহক আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে শামীমা ও তার স্বামী রাসেলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বাদী ২০২০ সালের শুরুর দিকে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইভ্যালি সম্পর্কে জানতে পারেন। সেখানে ইলেকট্রনিক পণ্যসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কম মূল্যে অফার করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাজার মূল্যের প্রায় অর্ধেক দামে বিক্রি করার বিজ্ঞাপন দেখতে পান। তিনি ইভ্যালির অ্যাপসের মাধ্যমে দুটি মোবাইল নম্বর দিয়ে পৃথক অ্যাকাউন্ট খোলেন। নিজের আইডি দিয়ে আনুমানিক ৫ লাখ টাকার বিভিন্ন পণ্য অর্ডার করেন তিনি। আরেকটি আইডি বন্ধুর নামে খুলে ২৩ লাখ টাকার বিভিন্ন পণ্য অর্ডার করেন।

তিনি দুই আইডি দিয়ে ২৮ লাখ টাকার অর্ডার করেন। বিকাশ/নগদ ও বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এই টাকা পেমেন্ট করেন। কিন্তু ইভ্যালি কর্তৃপক্ষ তার অর্ডার করা পণ্যগুলো নির্ধারিত ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে ডেলিভারি দেয়নি। এমনকি ৭ মাস পেরিয়ে গেলেও অর্ডার করা পণ্যগুলো বুঝে পাননি তিনি। এ ব্যাপারে ইভ্যালি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তারা পণ্য ডেলিভারির দেয়ার আশ্বাস দিয়ে কালক্ষেপণ করেন। মামলার তদন্ত শেষে এ বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডির উপ-পরিদর্শক প্রদীপ কুমার দাস।