সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

দোয়া কবুলের বিশেষ সময় রজব মাসের পহেলা রাত

মো. আব্দুর রহিম | প্রকাশের সময় : ৮ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৯ এএম

হিজরি সালের ৭ম মাস পবিত্র রজব। এ মাস বান্দাদের গুনাহের সাক্ষী হয় না বলেই রজব মাসকে পবিত্র বধির মাস (রজবুল আছাম্ম) বলা হয়। এ মাসের পহেলা তারিখের রাতে বান্দা-বান্দীদের যে কোনো দোয়া মহান আল্লাহ পাক কবুল করে থাকেন।
হাদিস শরীফে এরশাদ হয়েছে, ‘রজবুল হারাম মাস মহান আল্লাহ পাক এর খাছ মাস। এছাড়া পবিত্র হাদিস শরীফে মধ্যে এসেছে, “নিশ্চয়ই বান্দা-বান্দীদের দোয়াসমূহ বিশেষ পাঁচ রাতে কবুল হয়ে থাকে। আর সেসব রাত হচ্ছে ১. পবিত্র রজবুল আছাম্ম (বধির)-এর পহেলা রাত, ২. পবিত্র লাইলাতুল বরাতের রাত, ৩. পবিত্র লাইলাতুল ক্বদরের রাত, ৪. পবিত্র ঈদুল ফিতরের রাত, ও ৫. পবিত্র ঈদুল আজহার রাত।” বান্দা-বান্দী যত বড় গুনাহগারই হোক না কেন, এ রাতে দোয়া করলে নির্ঘাত কবুল হয়, এবং বান্দা-বান্দী নিষ্পাপ হয়। এ রাতে বান্দা-বান্দীদের শুধু চাইতে দেরি, কিন্তু মহান আল্লাহ পাকের কবুল করতে দেরি হয় না (সুবহানাল্লাহ)। পবিত্র রজব মাস যেমনিভাবে হিজরি সালের ৭ম মাস তেমনি এ মাসের পয়লা রাতে ইবাদতকারী বান্দা-বান্দীরা ৭টি দোযখ থেকে পরিত্রাণ পেয়ে থাকে (সুবহানাল্লাহ)।
পবিত্র রজব মাস হচ্ছে রমজান মাসের ইবাদতের বীজ বপনের মাস। পবিত্র শাবান মাস এবাদতের পানি সেচের মাস, আর পবিত্র রমযান মাস হলো ইবাদতের ফসল কাটার মাস (সুবহানাল্লাহ)।
অতএব, বান্দা-বান্দীদেরকে এই পাঁচ রাতে বিশেষ করে পহেলা রজবের রাতে বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগী করে মুখলিস ও নেককার বান্দা হওয়ার কোশেশ করতে হবে।
হাদিস শরীফে ইরশাদ হয়েছে, ‘রজবুল হারাম আল্লাহপাকের অন্যতম খাছ মাস। যে ব্যক্তি রজব মাসকে সম্মান করবে সে দুনিয়া ও আখিরাতে সম্মানিত হবে।’ তাই ১ রজব রাতে প্রতিটা মূহুর্তকে আমাদের প্রত্যেকের উচিত কাজে লাগানো। এ রাতে যিকির, ফিকির, দরুদ শরীফ, কুরআন তেলাওয়াত, তওবা-ইস্তিগফার, দোয়া-কালাম এবং কবর জিয়ারতের মাধ্যমে সারা রাত জাগ্রত থাকা প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা, জিন-ইনসান সকলের জন্য অবশ্য কর্তব্য।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন