কর্পোরেট ডেস্ক : বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত অভূতপূর্ব সাফল্য দেখিয়েছে। এর কারণে ব্যাংকগুলোর ওপর গ্রাহকরাও সম্পূর্ণ আস্থা রাখছে। কিন্তু, অতি স¤প্রতি কয়েকটি ব্যাংকে জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের ঘটনা শুধুমাত্র গ্রাহকদের জন্যই নয়, তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক ব্যাংকিং-ব্যবস্থার জন্যও উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি করেছে। জালিয়াতির এ ঘটনা অত্যন্ত ভীতিকর ও আশঙ্কাজনক। এর নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া গিয়ে পড়বে আমাদের ব্যাংকিং খাত এবং ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাÐে। সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংকিং খাতে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে অনেকগুলোরই কোনো সমাধান হয়নি, খুঁজে পাওয়া যায়নি প্রকৃত অপরাধীদের। এসব ঘটনা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে আমাদের সচেতন হওয়া কতোটা জরুরি। তবে শুধু আমাদের দেশেই নয় বিশ্বজুড়েই ব্যাংকের অর্থ জালিয়াতির ঘটনা এখন যন্ত্রণা ও উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে তুলনামূলকভাবে, উন্নত বিশ্বে এ ধরনের অপরাধ সংঘটনের হার কম। এর কারণ খুঁজতে গেলে আমরা দেখবো, সে দেশের সব প্রতিষ্ঠান, সংস্থা এবং সরকার তাদের পক্ষে যতখানি সম্ভব অত্যাধুনিক নিরাপত্তা ও নজরদারির ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তাই আমাদেরও উচিৎ এ সমস্যা সমাধানে ত্বরিৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করা, অপরাধীদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা এবং তাদের উপযুক্ত শাস্তিদানের প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা করা।
এক্ষেত্রে গ্রাহকদের উদ্বেগ নিরসনে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে কেন্দ্রীয় নজরদারি ব্যবস্থা চালু করতে হবে। ভিডিও নজরদারির ক্ষেত্রে ভিডিও ফুটেজের মান ও রেজ্যুলেশন অত্যন্ত ভালো হতে হবে। একইসাথে থাকতে হবে রিয়াল টাইম রেকর্ডিং ও ভিডিও স্টোরেজ সুবিধা। পাশাপাশি প্রয়োজন ভিডিও অ্যালার্ম ভেরিফিকেশন, ইন্টিগ্রেটেড ভিডিও সল্যুশন, অ্যাক্সেস কন্ট্রোল, ইমার্জেন্সি অ্যার্লাট সিস্টেম এবং সিকিউরিটি মনিটরিং এর। ভিডিও নজরদারি ব্যবস্থা চুরি, ডাকাতিসহ অর্থ জালিয়াতি প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং পাশাপাশি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে গেলে সেটার তদন্তের ক্ষেত্রেও অগ্রগতি ঘটাবে।
আশার কথা হচ্ছে আমাদেরও দেশেও সুযোগ রয়েছে উচ্চ মানসম্পন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থা কার্যকর করার। এ নিয়ে দেশের র্শীষস্থানীয় নিরাপত্তা ও নজরদারি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সিনেস্টের রয়েছে উদ্ভাবনী ও কার্যকরী ই-নজরদারি ব্যবস্থা, যা নিশ্চিত করবে ব্যাংকের নির্ভরযোগ্য ও অতিরিক্ত সুরক্ষা ব্যবস্থাপনা। এক্সটার্নাল ও ইন্টার্নাল ক্যামেরার অ্যাডভান্স ইমেজ ক্যাপচারিং-এর উচ্চ মানসম্পন্ন ফুটেজ অপরাধী শনাক্ত করতে সহায়তা করবে।
এ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফাহিমুল হক জানালেন, জালিয়াতি করার ক্ষেত্রে অপরাধীরা এখন আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। তাই এটাকে অকেজো করে দিতে ব্যাংকগুলোরও অত্যাধুনিক ও উচ্চ মানসম্পন্ন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা এবং নজরদারির ব্যবস্থা থাকা উচিৎ। তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় দরকার অ্যান্টি স্কিমিং প্রযুক্তি, সাইলেন্ট অ্যালার্ম নোটিফিকেশন এবং সার্বক্ষণিক ভিডিও নজরদারি যা গ্রাহকদের সম্পদ নিরাপদে সঞ্চিত রাখতে ও তাদের আস্থা অর্জনে শতভাগ সাফল্য বয়ে আনবে। তাই সবগুলো ব্যাংকেরই উচিৎ নির্ভরযোগ্য ও অভিজ্ঞ কোনো নিরাপত্তা সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান থেকে এ সেবা নেয়া।
ব্যাংকিং খাতের নিরাপত্তা জোরদারের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যেমন দায়িত্ব রয়েছে, ঠিক একইভাবে দায়িত্ব রয়েছে সরকারেরও। ব্যাংকের শাখা স্থাপন ও ভল্ট নির্মাণ এবং রক্ষণাবেক্ষণে কেন্দ্রীয় নজরদারি ব্যবস্থা (সিএমএস) নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুস্পষ্ট নির্দেশনা ও গাইডলাইন রয়েছে। সরকারের দায়িত্ব হবে স্থানীয় ব্যাংকগুলোকে সামগ্রিক নিরাপত্তা জোরদারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা আবশ্যিকভাবে মেনে চলতে বাধ্য করা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ভরযোগ্য সিএমএস সিস্টেমে যা যা থাকতে হবে- ব্যাংকের অবকাঠামোগত সব ধরনের ভিডিও ফুটেজ নজরদারির ব্যবস্থা, সিকিউরিটি ক্যামেরা, রেকর্ডার, অগ্নি নির্বাপক প্যানেল ও অ্যালার্ম কন্ট্রোলসহ যাবতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং তাৎক্ষণিকভাবে জরুরি নিরাপত্তা পদ্ধতি সর্বোপরি ব্যাংক থেকে গ্রাহক পর্যন্ত প্রয়োজনীয় সকল নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশে একমাত্র সাউথ ইস্ট ব্যাংকেরই সিএমএস রয়েছে।
প্রতিষ্ঠানভেদে প্রয়োজন অনুযায়ী নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সিনেস্ট দিচ্ছে অত্যাধুনিক ও কার্যকরী অ্যাকসেস কন্ট্রোল সল্যুশন ব্যাংকিং যা নিশ্চিত করবে সর্বোচ্চ সুরক্ষা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সমূহের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সিনেস্ট দিচ্ছে আধুনিক সব সরঞ্জামাদি। সিনেস্টের রয়েছে এটিএম সিকিউরিটি, নজরদারির অডিও-ভিডিও সিস্টেম ও বার্গলার অ্যালার্ম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন