শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

নয় বছরে প্রাণ হারিয়েছে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক মানুষ

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১৭ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

নয় বছরে পা রেখেছে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ। ২০১১ সালে শুরু হওয়া সরকারবিরোধী এ যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছে সাড়ে তিন লাখের বেশি মানুষ, বাস্তুচ্যুত হয়েছে এক কোটির বেশি। সিরিয়া যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন শুক্রবার প্রকাশ করেছে এএফপি। যুক্তরাজ্যভিত্তিক যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের রেকর্ড অনুসারে, ২০১১ সালের ১৫ মার্চ সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটিতে ৩ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। দীর্ঘ যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ৬২৩ জন বেসামরিক নাগরিক, যার মধ্যে ২১ হাজার শিশু ও ১৩ হাজার নারী রয়েছে। জাতিসংঘের অফিস ফর দ্য কো-অর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাফেয়ার্সের (ওসিএইচএ) মতে, যুদ্ধে স্থায়ীভাবে বিকলাঙ্গ হয়েছে ২৯ লাখ মানুষ। ২০১৭ ও ২০১৮ সালে ফরাসি সংস্থা হ্যান্ডিক্যাপ ইন্টারন্যাশনাল পরিচালিত একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে, সিরিয়ার তিন-পঞ্চমাংশের বেশি পরিবারে অন্তত একজন বিকলাঙ্গ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি সংস্থা কেয়ারের হিসাব অনুসারে, সিরিয়ার রক্তক্ষয়ী এ সংঘাতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় জনগোষ্ঠী বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জাতিসংঘের তথ্যানুসারে, এ যুদ্ধে দেশটির প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ তাদের আবাস থেকে উচ্ছেদ হয়েছে, যা যুদ্ধ-পূর্ববর্তী ২ কোটি ৩০ লাখ জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি। জাতিসংঘের শরণার্থী-বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছে, ২০১১ সালের পর সিরিয়ার অভ্যন্তরেই ৬২ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। আর আঞ্চলিক শরণার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৬ লাখ। এর মধ্যে তুরস্ক একাই ৩৬ লাখের বেশি সিরীয় শরণার্থীকে গ্রহণ করেছে। এর পর রয়েছে লেবানন। দেশটি ১৫ লাখ সিরীয় শরণার্থীকে গ্রহণের কথা জানিয়েছে। কিন্তু লেবাননে অবস্থিত সিরীয় শরণার্থীরা নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে বসবাস করছে এবং আন্তর্জাতিক ত্রাণের ওপর নির্ভরশীল। আঞ্চলিক দেশগুলোর বাইরেও কয়েক লাখ সিরীয় শরণার্থী ইউরোপে, বিশেষত জার্মানিতে আশ্রয় গ্রহণ করেছে। এএফপি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন