চট্টগ্রাম ব্যুরো : বঙ্গোপসাগরে বিরাজমান নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। গভীর নিম্নচাপের বর্ধিত প্রভাবে ঢাকাসহ দেশের অনেক এলাকায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সেই সাথে বিভিন্ন এলাকায় তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। জ্যৈষ্ঠের গোড়াতে বৃষ্টি ও তাপদাহের দ্বিমুখী আবহাওয়া বিরাজ করছে। গভীর নিম্নচাপের কাছে সাগর উত্তাল রয়েছে। সমুদ্র বন্দরসমূহকে সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। গতকাল (বুধবার) সকাল পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৩৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় ঢাকায় সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ৩৫.৪ ও ২৬.৯ ডিগ্রি সে.। এ সময় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে সিলেটে ১৮২ মিলিমিটার।
আবহাওয়া বিভাগ পূর্বাভাসে জানায়, রংপুর, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে।
রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, তারাশ ও কুমারখালী অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
এদিকে সর্বশেষ গত সন্ধ্যায় আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরো উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে রূপ নিয়ে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় (১৩.৫ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮১.০ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ১৫৪০ কিলেমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৮০ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪০০ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
গভীর নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ১নং দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন